সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : ফসলি জমি, বসতবাড়ি রেহাই পাচ্ছে না তিস্তার ভাঙনে -সংবাদ
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। জিও ব্যাগ-জিওটিউব এবং ব্লক ফেলে ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে গত সাত দিনের ব্যবধানে ৭৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ও শতাধিক একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতাধিক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা কাপাসিয়া, হরিপুর, শ্রীপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘদিনেও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ, ড্রেজিং, নদী খনন ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সরকার-যার কারণে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে নদীতে। সরকার কোটি টাকা খরচ করে ব্লক, জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব ফেলেও ভাঙন ঠেকাতে পারছে না
ভাঙনের মুখে পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে। তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। প্রতি বছর তিস্তায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নদী ভাঙন। চলতে থাকে বছরব্যাপী। নদী পাড়ের মানুষের দাবি, স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ, ড্রেজিং, নদী খনন ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সরকার- যার কারণে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে নদীতে। সরকার কোটি টাকা খরচ করে ব্লক, জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব ফেলেও ভাঙন ঠেকাতে পারছে না।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামের আব্দুস ছালাম বলেন, হঠাৎ করে তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে তার তার বসতবাড়িসহ এক বিঘা জমির তোষাপাটসহ নদীতে চলে গেছে। ভোরের পাখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ভাঙনের মুখে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি। তিনি আরও বলেন নদীতে পানি বাড়লে এবং বন্যা আসলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। অথচ দেখার কেউ নাই। সামন্য ত্রাণ বিতরণ করে দায় এড়িয়ে যান সকলে।
শ্রীপুর ইউনিয়নের পূর্ব শ্রীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, আবাদী জমি বিলীন হচ্ছে নদীতে। একজন চরবাসিকে মৌসুমে কমপক্ষে ৪ বার ঘরবাড়ি সরাতে হচ্ছে। কিন্ত আজও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়া বলেন, গত সাত দিনের ব্যাবধানে তার ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামে তিস্তার তীব্র ভাঙনে ৭৫ পরিবারের বসতবাড়ি ও শতাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙন রোধের জন্য বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে জিও ব্যাগ ও জিওটিউব ফেলা হচ্ছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ও জিওটিউব ফেলা হচ্ছে। তবে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ সরকারের ওপর মহলের সিদ্ধানের ব্যাপার।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : ফসলি জমি, বসতবাড়ি রেহাই পাচ্ছে না তিস্তার ভাঙনে -সংবাদ
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। জিও ব্যাগ-জিওটিউব এবং ব্লক ফেলে ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে গত সাত দিনের ব্যবধানে ৭৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ও শতাধিক একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতাধিক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা কাপাসিয়া, হরিপুর, শ্রীপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘদিনেও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ, ড্রেজিং, নদী খনন ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সরকার-যার কারণে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে নদীতে। সরকার কোটি টাকা খরচ করে ব্লক, জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব ফেলেও ভাঙন ঠেকাতে পারছে না
ভাঙনের মুখে পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে। তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। প্রতি বছর তিস্তায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নদী ভাঙন। চলতে থাকে বছরব্যাপী। নদী পাড়ের মানুষের দাবি, স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ, ড্রেজিং, নদী খনন ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সরকার- যার কারণে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে নদীতে। সরকার কোটি টাকা খরচ করে ব্লক, জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব ফেলেও ভাঙন ঠেকাতে পারছে না।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামের আব্দুস ছালাম বলেন, হঠাৎ করে তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে তার তার বসতবাড়িসহ এক বিঘা জমির তোষাপাটসহ নদীতে চলে গেছে। ভোরের পাখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ভাঙনের মুখে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি। তিনি আরও বলেন নদীতে পানি বাড়লে এবং বন্যা আসলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। অথচ দেখার কেউ নাই। সামন্য ত্রাণ বিতরণ করে দায় এড়িয়ে যান সকলে।
শ্রীপুর ইউনিয়নের পূর্ব শ্রীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, আবাদী জমি বিলীন হচ্ছে নদীতে। একজন চরবাসিকে মৌসুমে কমপক্ষে ৪ বার ঘরবাড়ি সরাতে হচ্ছে। কিন্ত আজও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়া বলেন, গত সাত দিনের ব্যাবধানে তার ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামে তিস্তার তীব্র ভাঙনে ৭৫ পরিবারের বসতবাড়ি ও শতাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙন রোধের জন্য বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে জিও ব্যাগ ও জিওটিউব ফেলা হচ্ছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ও জিওটিউব ফেলা হচ্ছে। তবে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ সরকারের ওপর মহলের সিদ্ধানের ব্যাপার।