পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ন ফসলি মাঠ জুড়ে আউশ ধানের আবাদ চলছে। কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওতায় চলতি মৌসুমে কৃষকরা আউশ ধানের আবাদ করছে। চাষাবাদে কম পরিশ্রম ও খরচ কম হওয়ায় এবং অধিক ফলনের আশায় কৃষকদের মধ্যে আউশ ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে। টানা কয়েক দিনের প্রবল বর্ষনের ফলে ফসলি জমি পানির নিচে ডুবে থাকায় কৃষকের দুশ্চিন্তা থাকলেও এই আশংকা কেটে গেছে। জমির পানি নেমে যাওয়ায় উপজেলার কৃষকরা আউশ ধানের চারা রোপন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি নির্ভর আউশ ধান রোপন করায় ক্ষেতগুলোতে চারার সবুজ আভা দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন খড়ার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে ধানের ক্ষেতগুলো সতেজ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কৃষকদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিন যাবৎ স্বস্তির বৃষ্টিতে আউশ ধানের ক্ষেতগুলো সবুজে ভরে উঠেছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে সোনালী আউশ ধানের ক্ষেত দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওতায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের সফল কৃষকদের মধ্যে প্রনোদনা হিসাবে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। খরিপ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে কৃষকদেরকে ব্রিধান-১০৬ জাতের আউশের বীজ দেয়া হয়ে ছিল। এই ধানের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে কৃষকরা ক্ষেতে ধানের চারা রোপন করছে। উপজেলার বেশির ভাগ মানুষের আয়ের উৎস কৃষি। চলতি মৌসুমে আউশ ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার হেক্টর ধরা হয়। আউশ ধানের ক্ষেতগুলোতে সঠিক সময়ে বৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিন যাবৎ থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে আউশ ধানের ভালো উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে। উপজেলার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের খারিজা বেতাগী ব্লকের মর্দনা গ্রামের কিষানী কাজল রেখা জানান, এই বছর ব্রিধান-১০৬ জাতের আউশের চারা প্রায় ২ একর জমিতে রোপন করেছি। এই বৃষ্টি আমাদের কাছে ঈদের খুশির মতো। এখন ধানের চারা তাড়াতাড়ি বড় হবে। আউশ ধানের গাছ হতে অতি দ্রুত ধানের শীষ বের হয়। এছাড়া উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর ব্লকের মধ্য যৌতা গ্রামের চাষী মো. তুহিন মৃধা এবং আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুর ব্লকের মৌবাড়িয়া গ্রামের চাষী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এই বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আউশ ধানের ক্ষেতগুলোতে ধানের চারা রোপন করতে সহজ হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় ধানের চারার জন্য ভালো হয়েছে। আউশ ধান চাষে পরিশ্রম ও খরচ দুটোই কম হয়। লোকসানের ভয় না থাকায় কৃষকদের আউশ ধান চাষের উপর আগ্রহ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে আউশ ধানের বাম্পার ফলন ও লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জাফর আহমেদ বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতেই বেশি বৃষ্টিপাত হলেও দীর্য সময় বৃষ্টির পানি না নামায় কৃষকরা একটু চিন্তিত হয়ে পড়ে ছিল। এই বৃষ্টির ফলে আউশ ধানের ক্ষেতগুলো সবুজে ভরে যাবে। আশা করছি আউশ ধানের বাম্পার ফলন হবে।
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ন ফসলি মাঠ জুড়ে আউশ ধানের আবাদ চলছে। কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওতায় চলতি মৌসুমে কৃষকরা আউশ ধানের আবাদ করছে। চাষাবাদে কম পরিশ্রম ও খরচ কম হওয়ায় এবং অধিক ফলনের আশায় কৃষকদের মধ্যে আউশ ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে। টানা কয়েক দিনের প্রবল বর্ষনের ফলে ফসলি জমি পানির নিচে ডুবে থাকায় কৃষকের দুশ্চিন্তা থাকলেও এই আশংকা কেটে গেছে। জমির পানি নেমে যাওয়ায় উপজেলার কৃষকরা আউশ ধানের চারা রোপন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি নির্ভর আউশ ধান রোপন করায় ক্ষেতগুলোতে চারার সবুজ আভা দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন খড়ার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে ধানের ক্ষেতগুলো সতেজ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কৃষকদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিন যাবৎ স্বস্তির বৃষ্টিতে আউশ ধানের ক্ষেতগুলো সবুজে ভরে উঠেছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে সোনালী আউশ ধানের ক্ষেত দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওতায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের সফল কৃষকদের মধ্যে প্রনোদনা হিসাবে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। খরিপ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে কৃষকদেরকে ব্রিধান-১০৬ জাতের আউশের বীজ দেয়া হয়ে ছিল। এই ধানের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে কৃষকরা ক্ষেতে ধানের চারা রোপন করছে। উপজেলার বেশির ভাগ মানুষের আয়ের উৎস কৃষি। চলতি মৌসুমে আউশ ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার হেক্টর ধরা হয়। আউশ ধানের ক্ষেতগুলোতে সঠিক সময়ে বৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিন যাবৎ থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে আউশ ধানের ভালো উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে। উপজেলার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের খারিজা বেতাগী ব্লকের মর্দনা গ্রামের কিষানী কাজল রেখা জানান, এই বছর ব্রিধান-১০৬ জাতের আউশের চারা প্রায় ২ একর জমিতে রোপন করেছি। এই বৃষ্টি আমাদের কাছে ঈদের খুশির মতো। এখন ধানের চারা তাড়াতাড়ি বড় হবে। আউশ ধানের গাছ হতে অতি দ্রুত ধানের শীষ বের হয়। এছাড়া উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর ব্লকের মধ্য যৌতা গ্রামের চাষী মো. তুহিন মৃধা এবং আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুর ব্লকের মৌবাড়িয়া গ্রামের চাষী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এই বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আউশ ধানের ক্ষেতগুলোতে ধানের চারা রোপন করতে সহজ হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় ধানের চারার জন্য ভালো হয়েছে। আউশ ধান চাষে পরিশ্রম ও খরচ দুটোই কম হয়। লোকসানের ভয় না থাকায় কৃষকদের আউশ ধান চাষের উপর আগ্রহ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে আউশ ধানের বাম্পার ফলন ও লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জাফর আহমেদ বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতেই বেশি বৃষ্টিপাত হলেও দীর্য সময় বৃষ্টির পানি না নামায় কৃষকরা একটু চিন্তিত হয়ে পড়ে ছিল। এই বৃষ্টির ফলে আউশ ধানের ক্ষেতগুলো সবুজে ভরে যাবে। আশা করছি আউশ ধানের বাম্পার ফলন হবে।