নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শাহিনুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তার ও বিলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল মালিথার স্ত্রী ফাইমা খাতুন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ‘অতি দরিদ্র মহিলা ভাতা’ কার্যক্রমের (ভিডব্লিউবি) আওতায় ভাতাভোগীর তালিকায় নাম আসায় এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহিনুল ইসলাম ও রফিকুল মালিথা দুজন বিত্তবান ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, তাদের স্ত্রীর বাবার বাড়ির আর্থিক অবস্থাও ভালো। এরপরও আয়েশা আক্তার ও ফাঈমা খাতুনকে ‘অতি দরিদ্র’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ভাতাভোগীর তালিকায়।
এ বিষয়ে শাহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ইউনিয়নে মাত্র পাঁচটা কার্ড পেয়েছি। দরিদ্র অনেকেই বাদ পড়ে গেছেন। কার্ডটা আমার স্ত্রীর নামে করে নিয়েছি যেন চাল এনে অন্য গরিবদের মধ্যে ভাগ করে দিতে পারি। অন্যদিকে রফিকুল মালিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন করে ফেলেছি, কি আর করার। বাদ দিলে দিয়ে দিক সমস্যা নেই। একটা মেম্বার যে টাকা বেতন পায় তা দিয়ে তো চলে না। একটু এদিক সেদিক তো হবেই।
তবে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, যারা প্রকৃত দরিদ্র, তারা বঞ্চিত হচ্ছেন অথচ ইউপি সদস্যরা বৃত্তবান হওয়া সত্ত্বেও নিজেদের স্ত্রীর নামে গরিব মানুষের হক ভোগ করতেছেন।
এদিকে এই প্রথম ভাতাভোগীদের তালিকা আর গোপন নয়, গত ১৪ জুলাই ওয়েবসাইটে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়। লালপুর উপজেলা প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নজির স্থাপন করেছে।
অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত কারও যোগ্যতা নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে আগামী ২৪ জুলাই এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অথবা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছি, যেন সবাই জানতে পারেন কারা ভাতাভোগী হয়েছে এবং অভিযোগ থাকলে আমরা সেটা সংশোধন করতে পারি।
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শাহিনুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তার ও বিলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল মালিথার স্ত্রী ফাইমা খাতুন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ‘অতি দরিদ্র মহিলা ভাতা’ কার্যক্রমের (ভিডব্লিউবি) আওতায় ভাতাভোগীর তালিকায় নাম আসায় এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহিনুল ইসলাম ও রফিকুল মালিথা দুজন বিত্তবান ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, তাদের স্ত্রীর বাবার বাড়ির আর্থিক অবস্থাও ভালো। এরপরও আয়েশা আক্তার ও ফাঈমা খাতুনকে ‘অতি দরিদ্র’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ভাতাভোগীর তালিকায়।
এ বিষয়ে শাহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ইউনিয়নে মাত্র পাঁচটা কার্ড পেয়েছি। দরিদ্র অনেকেই বাদ পড়ে গেছেন। কার্ডটা আমার স্ত্রীর নামে করে নিয়েছি যেন চাল এনে অন্য গরিবদের মধ্যে ভাগ করে দিতে পারি। অন্যদিকে রফিকুল মালিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন করে ফেলেছি, কি আর করার। বাদ দিলে দিয়ে দিক সমস্যা নেই। একটা মেম্বার যে টাকা বেতন পায় তা দিয়ে তো চলে না। একটু এদিক সেদিক তো হবেই।
তবে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, যারা প্রকৃত দরিদ্র, তারা বঞ্চিত হচ্ছেন অথচ ইউপি সদস্যরা বৃত্তবান হওয়া সত্ত্বেও নিজেদের স্ত্রীর নামে গরিব মানুষের হক ভোগ করতেছেন।
এদিকে এই প্রথম ভাতাভোগীদের তালিকা আর গোপন নয়, গত ১৪ জুলাই ওয়েবসাইটে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়। লালপুর উপজেলা প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নজির স্থাপন করেছে।
অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত কারও যোগ্যতা নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে আগামী ২৪ জুলাই এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অথবা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছি, যেন সবাই জানতে পারেন কারা ভাতাভোগী হয়েছে এবং অভিযোগ থাকলে আমরা সেটা সংশোধন করতে পারি।