অবশেষে এক বছর এক মাস পর জানা গেল ১২ বছরের শিশু রিংকনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মাত্র দুই মাস অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই এ তথ্য নিশ্চিত করে। শুধু তাই নয়, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
শিশুটিকে (বিলের গোবর পানিতে) ডুবিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়ে পিবিআই বলে, গ্রেপ্তারকৃতরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। অথচ, হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আসামীরা প্রচার করেছে, শিশুটি আম গাছ থেকে পড়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে। আর এই ঘটনায় শিশুটির পিতাকে দিয়ে দুইদিন পর জোর করে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।
সিলেটের সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাটি অপমৃত্যুর মামলা হিসাবে তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়। শিশুটির মায়ের পক্ষ থেকে আদালতে সিআর মামলা করলেও সেই মামলাও পুলিশের তদন্তে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও ডাউনিং হিসেবে উল্লেখ করেছে। পৃথক তিনটি প্রতিবেদন শিশুর মা আদালতে নারাজি দিয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআইয়ের টিম মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। তারা টানা মামলার তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা সিলেট জেলার পিআইয়ের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান সংবাদকে জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে ২২ জুন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউরা গ্রামে ১২ বছরের শিশু রিংকন বিশ্বাসের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। প্রভাবশালীরা পরিকল্পিতভাবে শিশুটির বাবা শ্রীকান্তকে দিয়ে তড়িগড়ি করে মুখাগ্নি করে শেষে লাশ সমাধিস্থ করে। শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকা স্বত্ত্বেও ইউনিয়ন পরিষদের প্রভাবশালী সাবেক মেম্বার ও তার পক্ষের লোকজনের প্রভাব ও বাধার কারনে ঘটনাটি থানা পর্যন্ত পৌঁছেনি। ঘটনার দুইদিন পর জুন ২০২৪ সালের শিশুটির পিতা শ্রীকান্ত বিশ্বাস জগন্নাথপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন।
আদালতে মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ২০২৪ সালের ২৭ জুন নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে শিশুটির লাশ উত্তোলনসহ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। একই ঘটনায় শিশুটির মা বাসন্তি রানী বাদি হয়ে আদালতে স্থানীয় লুলু মেম্বারসহ ১০জনকে বিরুদ্ধে সিআর মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৪২।
আদালত থানার সংশিষ্ট থানার ওসিকে মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর থানা পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা তদন্ত শেষে শিশু রিংকন বিশ্বাস গাছে উঠে আম পাড়তে গিয়ে পা ফঁসকে গাছের নিচে পুকুরে থাকা গোবরে পড়ে ও পানিতে ডুবে মারা গেছে পুলিশ রির্পোট দিয়েছে। এরপর পুলিশ সিআর মামলাও চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন বলে পিবিআই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
শিশুটির মা আদালতে পুলিশের রিপোর্টে নারাজি দেয়। এরপর মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গত ২৩ মার্চ ২০২৫ সিলেট জেলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
ধানমন্ডি পিবিআই প্রধান কার্যালয়ের পিবিআইয়ের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোস্তফা কামালের নির্দেশে পিবিআই সিলেট জেলার এসপি খালেদ-উজ-জামানের তদারকিতে মামলাটি তদন্ত শুরু করা হয়। পিবিআই টানা ২ মাস অনুসন্ধান তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করেছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই তারিকুল ইসলাম গতকাল সংবাদকে জানান, হাওর এলাকায় শিশুটি একজন জেলের সন্তান। শিশুটি যে গাছ থেকে পড়ে মারা গেছে বলে অপমৃত্যুর মামলায় বলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে ওই আম গাছের উচ্চতা ১৩ ফিট।
সে গাছ থেকে শিশুটি গোবর ভর্তি পানিতে পড়ে ডুবে মারা যাওয়া সম্ভব নয়। এতে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। আর পুকুর ও হাওরের পাশ্বে গোয়াল ঘর ছিল। শিশুটি মাথা নিচের দিকে পড়লে বাঁচার চেষ্টা করত। কিন্তু ঘটনাস্থলের পারিপাশ্বিক সেই অবস্থা নেই। এরপর পিবিআইয়ের সন্দেহ আরও ঘনিভূত হয়। পিবিআইয়ের টিম আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহার্য্যে অনুসন্ধান চালিয়েও গত ১৭ জুলাই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাবেল প্রকাশ তাবেল ও জহিরুল ইসলাম নামে ২জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা। তাদেরকে পিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যাকান্ডে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ঘটনায় আর কারা জড়িত তাদের নামও বলেছে। পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা বলেছে, ঘটনরার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় লুলু মেম্বারের খামারে গোয়াল ঘরের কাছে আম গাছ থেকে শিশু কর্মচারী রিংকন বিশ্বাসকে আসামীরা আম পাড়তে বলে। কিন্তু গাছে বৈদ্যুতিক তার থাকায় শিশুটি গাছে উঠতে অস্বীকার করে। এতে আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে শিশুটিতে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এক পর্যায়ে খামারে গোয়াল ঘরের পাশ্বে গোবর রাখার গর্তে শিশুটির মুখ ও মাথা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এই হত্যাকান্ডকে গাছ থেকে নিচে পড়ে গোবরের পানিতে ডুবে দূর্ঘটনা জনিত কারনে মৃত্যু বলে প্রচার করে। গত ১৯ জুলাই আসামি জহিরুল ইসলাম ও আসামি পাবেল প্রকাশ তাবেল আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যাকান্ডে আরও প্রভাবশালী যারা জড়িত আছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পিবিআইয়ের অভিযান চলছে। পিবিআইয়ের ধানমন্ডির প্রধান কার্যালয়ের মিডিয়া শাখার এসপি আবু ইউসুফ গতকাল সন্ধায় সংবাদকে জানান, শিশুটিকে হত্যার পর তার পরিবারকে থানায় যেতেও বাধা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে নিতে স্থানীয় মেম্বার চাপ সৃষ্টি করছে। পরবর্তীতে থানা পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিতে বাধ্য হয়েছে। মা ছেলে হত্যার ঘটনা মেনে নিতে না পেরে একের পর এক আইনী লড়াই করেছেন। এরপর ক্লু উদঘাটন হয়েছে। মামলার পলাতকদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
অবশেষে এক বছর এক মাস পর জানা গেল ১২ বছরের শিশু রিংকনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মাত্র দুই মাস অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই এ তথ্য নিশ্চিত করে। শুধু তাই নয়, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
শিশুটিকে (বিলের গোবর পানিতে) ডুবিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়ে পিবিআই বলে, গ্রেপ্তারকৃতরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। অথচ, হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আসামীরা প্রচার করেছে, শিশুটি আম গাছ থেকে পড়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে। আর এই ঘটনায় শিশুটির পিতাকে দিয়ে দুইদিন পর জোর করে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।
সিলেটের সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাটি অপমৃত্যুর মামলা হিসাবে তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়। শিশুটির মায়ের পক্ষ থেকে আদালতে সিআর মামলা করলেও সেই মামলাও পুলিশের তদন্তে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও ডাউনিং হিসেবে উল্লেখ করেছে। পৃথক তিনটি প্রতিবেদন শিশুর মা আদালতে নারাজি দিয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআইয়ের টিম মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। তারা টানা মামলার তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা সিলেট জেলার পিআইয়ের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান সংবাদকে জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে ২২ জুন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউরা গ্রামে ১২ বছরের শিশু রিংকন বিশ্বাসের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। প্রভাবশালীরা পরিকল্পিতভাবে শিশুটির বাবা শ্রীকান্তকে দিয়ে তড়িগড়ি করে মুখাগ্নি করে শেষে লাশ সমাধিস্থ করে। শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকা স্বত্ত্বেও ইউনিয়ন পরিষদের প্রভাবশালী সাবেক মেম্বার ও তার পক্ষের লোকজনের প্রভাব ও বাধার কারনে ঘটনাটি থানা পর্যন্ত পৌঁছেনি। ঘটনার দুইদিন পর জুন ২০২৪ সালের শিশুটির পিতা শ্রীকান্ত বিশ্বাস জগন্নাথপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন।
আদালতে মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ২০২৪ সালের ২৭ জুন নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে শিশুটির লাশ উত্তোলনসহ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। একই ঘটনায় শিশুটির মা বাসন্তি রানী বাদি হয়ে আদালতে স্থানীয় লুলু মেম্বারসহ ১০জনকে বিরুদ্ধে সিআর মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৪২।
আদালত থানার সংশিষ্ট থানার ওসিকে মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর থানা পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা তদন্ত শেষে শিশু রিংকন বিশ্বাস গাছে উঠে আম পাড়তে গিয়ে পা ফঁসকে গাছের নিচে পুকুরে থাকা গোবরে পড়ে ও পানিতে ডুবে মারা গেছে পুলিশ রির্পোট দিয়েছে। এরপর পুলিশ সিআর মামলাও চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন বলে পিবিআই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
শিশুটির মা আদালতে পুলিশের রিপোর্টে নারাজি দেয়। এরপর মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গত ২৩ মার্চ ২০২৫ সিলেট জেলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
ধানমন্ডি পিবিআই প্রধান কার্যালয়ের পিবিআইয়ের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোস্তফা কামালের নির্দেশে পিবিআই সিলেট জেলার এসপি খালেদ-উজ-জামানের তদারকিতে মামলাটি তদন্ত শুরু করা হয়। পিবিআই টানা ২ মাস অনুসন্ধান তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করেছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই তারিকুল ইসলাম গতকাল সংবাদকে জানান, হাওর এলাকায় শিশুটি একজন জেলের সন্তান। শিশুটি যে গাছ থেকে পড়ে মারা গেছে বলে অপমৃত্যুর মামলায় বলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে ওই আম গাছের উচ্চতা ১৩ ফিট।
সে গাছ থেকে শিশুটি গোবর ভর্তি পানিতে পড়ে ডুবে মারা যাওয়া সম্ভব নয়। এতে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। আর পুকুর ও হাওরের পাশ্বে গোয়াল ঘর ছিল। শিশুটি মাথা নিচের দিকে পড়লে বাঁচার চেষ্টা করত। কিন্তু ঘটনাস্থলের পারিপাশ্বিক সেই অবস্থা নেই। এরপর পিবিআইয়ের সন্দেহ আরও ঘনিভূত হয়। পিবিআইয়ের টিম আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহার্য্যে অনুসন্ধান চালিয়েও গত ১৭ জুলাই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাবেল প্রকাশ তাবেল ও জহিরুল ইসলাম নামে ২জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা। তাদেরকে পিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যাকান্ডে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ঘটনায় আর কারা জড়িত তাদের নামও বলেছে। পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা বলেছে, ঘটনরার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় লুলু মেম্বারের খামারে গোয়াল ঘরের কাছে আম গাছ থেকে শিশু কর্মচারী রিংকন বিশ্বাসকে আসামীরা আম পাড়তে বলে। কিন্তু গাছে বৈদ্যুতিক তার থাকায় শিশুটি গাছে উঠতে অস্বীকার করে। এতে আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে শিশুটিতে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এক পর্যায়ে খামারে গোয়াল ঘরের পাশ্বে গোবর রাখার গর্তে শিশুটির মুখ ও মাথা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এই হত্যাকান্ডকে গাছ থেকে নিচে পড়ে গোবরের পানিতে ডুবে দূর্ঘটনা জনিত কারনে মৃত্যু বলে প্রচার করে। গত ১৯ জুলাই আসামি জহিরুল ইসলাম ও আসামি পাবেল প্রকাশ তাবেল আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যাকান্ডে আরও প্রভাবশালী যারা জড়িত আছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পিবিআইয়ের অভিযান চলছে। পিবিআইয়ের ধানমন্ডির প্রধান কার্যালয়ের মিডিয়া শাখার এসপি আবু ইউসুফ গতকাল সন্ধায় সংবাদকে জানান, শিশুটিকে হত্যার পর তার পরিবারকে থানায় যেতেও বাধা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে নিতে স্থানীয় মেম্বার চাপ সৃষ্টি করছে। পরবর্তীতে থানা পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিতে বাধ্য হয়েছে। মা ছেলে হত্যার ঘটনা মেনে নিতে না পেরে একের পর এক আইনী লড়াই করেছেন। এরপর ক্লু উদঘাটন হয়েছে। মামলার পলাতকদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।