বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এক দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, বরিশাল’ মডেলে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য গত প্রায় দুই মাস ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের পর গতকাল বুধবার পুনরায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
গত ৭ জুলাই অনুরূপ কর্মসূচির পর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন এক সংবাদ সম্মেলনে তারা কলেজটির স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের দাবি জানান। একই সঙ্গে শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে জনবল সংকটেরও সমাধান দাবি করেন।
বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন চলাকালে শিক্ষার্থীরা স্পষ্টভাবে জানান, একদফা দাবি না মানা হলে তারা দেশের আরও দুটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। প্রতিষ্ঠার পটভূমি ও বর্তমান সংকট
২০০৭ সালের ৫ মার্চ বরিশাল সার্কিট হাউজে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর বরিশাল মহানগরী থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুর এলাকায় ৮ একর জমির ওপর কলেজটি নির্মিত হয় এবং ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুটি বিভাগ নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু হয়।
শুধু বরিশাল নয়, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান অ্যাকাডেমিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এবং প্রশাসনিকভাবে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রতিনিয়ত নানামুখী জটিলতার মুখে পড়ছে। এই দ্বৈত নিয়ন্ত্রণের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো নতুন বিভাগ খোলা যায়নি।
সম্প্রতি ‘নেভাল আর্কিটেকচার’ বিভাগ চালুর উদ্যোগ নেয়া হলেও শিক্ষক সংকট এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিদপ্তরের সমন্বয়হীনতায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গত প্রায় দুই মাস ধরে কলেজে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এক দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, বরিশাল’ মডেলে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য গত প্রায় দুই মাস ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের পর গতকাল বুধবার পুনরায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
গত ৭ জুলাই অনুরূপ কর্মসূচির পর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন এক সংবাদ সম্মেলনে তারা কলেজটির স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের দাবি জানান। একই সঙ্গে শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে জনবল সংকটেরও সমাধান দাবি করেন।
বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন চলাকালে শিক্ষার্থীরা স্পষ্টভাবে জানান, একদফা দাবি না মানা হলে তারা দেশের আরও দুটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। প্রতিষ্ঠার পটভূমি ও বর্তমান সংকট
২০০৭ সালের ৫ মার্চ বরিশাল সার্কিট হাউজে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর বরিশাল মহানগরী থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুর এলাকায় ৮ একর জমির ওপর কলেজটি নির্মিত হয় এবং ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুটি বিভাগ নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু হয়।
শুধু বরিশাল নয়, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান অ্যাকাডেমিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এবং প্রশাসনিকভাবে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রতিনিয়ত নানামুখী জটিলতার মুখে পড়ছে। এই দ্বৈত নিয়ন্ত্রণের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো নতুন বিভাগ খোলা যায়নি।
সম্প্রতি ‘নেভাল আর্কিটেকচার’ বিভাগ চালুর উদ্যোগ নেয়া হলেও শিক্ষক সংকট এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিদপ্তরের সমন্বয়হীনতায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গত প্রায় দুই মাস ধরে কলেজে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।