দেবরের বিদেশ যেতে টাকা না দেওয়ায় সুলতানা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তারই স্বামী রবিউল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। টাকা না দেয়ায় স্ত্রী সুলতানা খাতুনের শরীরে ফুটন্ত ভাত ঢেলে দিয়েছেন ওই পাষ- স্বামী। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছেন সুলতানা খাতুন তিন মাসের একটি শিশু সন্তানও রয়েছে তার পাশে। চিকিৎসক বলছেন, শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ ঝলসে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সুলতানা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর বেগমপুর গ্রামের কলোনীপাড়ার হাসান শেখের মেয়ে এবং কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমবাড়ীয়া ইউনিয়নের নগরবাকা গ্রামের রাজমিস্ত্রি রবিউল বিশ্বাসের স্ত্রী।
সুলতানা খাতুনের ভাই সোহেল বলেন, আমার বোনের স্বামীর (রবিউল) ছোট ভাই মাসুদ সম্প্রতি বিদেশে যাবেন। এ জন্য বাপের বাড়ি থেকে নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে আনার জন্য আমার বোন সুলতানাকে চাপ প্রয়োগ করেন। এ নিয়ে প্রায় তিন মাস যাবৎ টাকার জন্য শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে আসছে স্বামী-শাশুড়ি। গত সোমবার সকালে এই ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে বোনের শরীরে ফুটন্ত ভাত ঢেলে দেন স্বামী, পাশেই ছিলেন শাশুড়ি। এতে ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত ঝলসে যায়।
সোহেল বলেন, প্রতিবেশিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত বোনের শ্বশুর বাড়ি যায়। সেখানে আমাদের উপরে বোনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন চড়াও হন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় বোনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়ার হালসার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করি। পরে অবনতি হলে বোনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
ভুক্তভোগী সুলতানা খাতুন বলেন, দেবর বিদেশে যাবে এই জন্য আমার বাপের বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা আনতে বলে। আমার পরিবার খুবই দরিদ্র। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার গায়ে ফুটন্ত ভাত পেছন থেকে ঢেলে দেন স্বামী ও শাশুড়ি। এর আগেও আমাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করত তারা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. এহসানুল হক তম্ময় বলেন, শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ ঝলসে গেছে। শঙ্কামুক্ত কিনা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর বলা সম্ভব। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের সংবাদ আমার জানা নেই।
অভিযোগ বা মামলা হলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
দেবরের বিদেশ যেতে টাকা না দেওয়ায় সুলতানা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তারই স্বামী রবিউল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। টাকা না দেয়ায় স্ত্রী সুলতানা খাতুনের শরীরে ফুটন্ত ভাত ঢেলে দিয়েছেন ওই পাষ- স্বামী। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছেন সুলতানা খাতুন তিন মাসের একটি শিশু সন্তানও রয়েছে তার পাশে। চিকিৎসক বলছেন, শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ ঝলসে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সুলতানা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর বেগমপুর গ্রামের কলোনীপাড়ার হাসান শেখের মেয়ে এবং কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমবাড়ীয়া ইউনিয়নের নগরবাকা গ্রামের রাজমিস্ত্রি রবিউল বিশ্বাসের স্ত্রী।
সুলতানা খাতুনের ভাই সোহেল বলেন, আমার বোনের স্বামীর (রবিউল) ছোট ভাই মাসুদ সম্প্রতি বিদেশে যাবেন। এ জন্য বাপের বাড়ি থেকে নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে আনার জন্য আমার বোন সুলতানাকে চাপ প্রয়োগ করেন। এ নিয়ে প্রায় তিন মাস যাবৎ টাকার জন্য শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে আসছে স্বামী-শাশুড়ি। গত সোমবার সকালে এই ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে বোনের শরীরে ফুটন্ত ভাত ঢেলে দেন স্বামী, পাশেই ছিলেন শাশুড়ি। এতে ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত ঝলসে যায়।
সোহেল বলেন, প্রতিবেশিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত বোনের শ্বশুর বাড়ি যায়। সেখানে আমাদের উপরে বোনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন চড়াও হন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় বোনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়ার হালসার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করি। পরে অবনতি হলে বোনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
ভুক্তভোগী সুলতানা খাতুন বলেন, দেবর বিদেশে যাবে এই জন্য আমার বাপের বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা আনতে বলে। আমার পরিবার খুবই দরিদ্র। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার গায়ে ফুটন্ত ভাত পেছন থেকে ঢেলে দেন স্বামী ও শাশুড়ি। এর আগেও আমাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করত তারা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. এহসানুল হক তম্ময় বলেন, শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ ঝলসে গেছে। শঙ্কামুক্ত কিনা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর বলা সম্ভব। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের সংবাদ আমার জানা নেই।
অভিযোগ বা মামলা হলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।