দেশের রেল কোচ ও ওয়াগন মেরামতের বৃহৎ রেলওয়ে কারখানা সৈয়দপুরে অবস্থিত। এটি বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। কর্তৃপক্ষ কবে নাগাদ এর সংরক্ষণে কাজ শুরু করবেন তা বলা মুশকিল। কারখানায় শ্রমিক প্রবেশের প্রধান ফটক আর কর্মকর্তা প্রবেশের প্রধান ফটকের মাঝখানে দেয়াল ভেঙ্গে গেছে। গত ১৮ জুলাই কৃষ্ণচূড়ার একটি গাছ ওই দেয়ালের ওপর ভেঙ্গে পড়ে। এতে করে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার দেয়ালের কমপক্ষে ৩০ ফুট প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ে। ফলে রেলওয়ে কারখানাটি হয়ে পড়েছে অরক্ষিত। অথচ মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই।
বৃটিশ আমলে ১১০ একর জায়গার ওপর এই রেলওয়ে কারখানার অবস্থান। এর মূল্যবান যন্ত্রাংশ ও লোহা চুরির হাত থেকে রেল কারখানাকে বাঁচাতে নির্মাণ করা হয় ১০ ইঞ্চি চওড়া ও ১০ ফুট উচ্চতার পাকা দেয়াল। আর দেয়ালের ওপর দেয়া আছে নিরাপত্তার তারকাটা। দিবানিশি পাহারায় থাকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার ও রেলওয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। তারপরও প্রতিনিয়ত রেলওয়ের মালামাল চুরি যায়।
গত ৩০ জুন সিএন্ডডাব্লুই সপে চুরি করতে গিয়ে দুজন অস্থায়ী শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয় এবং তিনজন স্থায়ী শ্রমিক ও কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত হয়। এর মধ্যে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার রয়েছেন একজন। একই ধরনের অভিযোগে ২৩ জুন কারখানার বগি সপের লোহা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে দুইজন অস্থায়ী শ্রমিক। তাদেরকেও চাকরিচ্যুতি করা হয়। এমনকি গত ১৯ জুন ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর (পথ) গোডাউন ঘর থেকে দুই পিকআপ রেললাইন পাচার করার অভিযোগে প্রকৌশলী সুলতান মৃধাকে পুলিশ আটক করে। রেলওয়ের ওই কর্মকর্তা বর্তমানে নীলফামারী জেল হাজতে রয়েছেন। নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা থাকা সত্বেও এমন চুরির ঘটনা অহরহ ঘটছে। আর দেয়াল ভাঙ্গা থাকায় চুরির আশংকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ২১ জুলাই রাতে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় হলে গোটা সৈয়দপুর শহর ব্লাকআউট হয়ে যায়। এ অবস্থা চলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। এই সাড়ে চার ঘন্টায় রেলওয়ে কারখানা হতে কত মালামাল চুরি গেছে তা বলা মুশকিল বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা রেল সম্পদ বাঁচাতে দ্রুত দেয়াল নির্মাণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদের সঙ্গে। তিনি বলেন, শীঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
দেশের রেল কোচ ও ওয়াগন মেরামতের বৃহৎ রেলওয়ে কারখানা সৈয়দপুরে অবস্থিত। এটি বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। কর্তৃপক্ষ কবে নাগাদ এর সংরক্ষণে কাজ শুরু করবেন তা বলা মুশকিল। কারখানায় শ্রমিক প্রবেশের প্রধান ফটক আর কর্মকর্তা প্রবেশের প্রধান ফটকের মাঝখানে দেয়াল ভেঙ্গে গেছে। গত ১৮ জুলাই কৃষ্ণচূড়ার একটি গাছ ওই দেয়ালের ওপর ভেঙ্গে পড়ে। এতে করে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার দেয়ালের কমপক্ষে ৩০ ফুট প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ে। ফলে রেলওয়ে কারখানাটি হয়ে পড়েছে অরক্ষিত। অথচ মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই।
বৃটিশ আমলে ১১০ একর জায়গার ওপর এই রেলওয়ে কারখানার অবস্থান। এর মূল্যবান যন্ত্রাংশ ও লোহা চুরির হাত থেকে রেল কারখানাকে বাঁচাতে নির্মাণ করা হয় ১০ ইঞ্চি চওড়া ও ১০ ফুট উচ্চতার পাকা দেয়াল। আর দেয়ালের ওপর দেয়া আছে নিরাপত্তার তারকাটা। দিবানিশি পাহারায় থাকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার ও রেলওয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। তারপরও প্রতিনিয়ত রেলওয়ের মালামাল চুরি যায়।
গত ৩০ জুন সিএন্ডডাব্লুই সপে চুরি করতে গিয়ে দুজন অস্থায়ী শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয় এবং তিনজন স্থায়ী শ্রমিক ও কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত হয়। এর মধ্যে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার রয়েছেন একজন। একই ধরনের অভিযোগে ২৩ জুন কারখানার বগি সপের লোহা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে দুইজন অস্থায়ী শ্রমিক। তাদেরকেও চাকরিচ্যুতি করা হয়। এমনকি গত ১৯ জুন ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর (পথ) গোডাউন ঘর থেকে দুই পিকআপ রেললাইন পাচার করার অভিযোগে প্রকৌশলী সুলতান মৃধাকে পুলিশ আটক করে। রেলওয়ের ওই কর্মকর্তা বর্তমানে নীলফামারী জেল হাজতে রয়েছেন। নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা থাকা সত্বেও এমন চুরির ঘটনা অহরহ ঘটছে। আর দেয়াল ভাঙ্গা থাকায় চুরির আশংকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ২১ জুলাই রাতে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় হলে গোটা সৈয়দপুর শহর ব্লাকআউট হয়ে যায়। এ অবস্থা চলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। এই সাড়ে চার ঘন্টায় রেলওয়ে কারখানা হতে কত মালামাল চুরি গেছে তা বলা মুশকিল বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা রেল সম্পদ বাঁচাতে দ্রুত দেয়াল নির্মাণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদের সঙ্গে। তিনি বলেন, শীঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।