অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত তদন্ত কমিশন গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনসভাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হামলা, সহিংসতা ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা এবং নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করবে। সাবেক বিচারপতি মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে গঠিত এই ছয় সদস্যের কমিশনকে তিন সপ্তাহের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত ও সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৫৬ সালের কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্টের ধারা ৩ অনুযায়ী গঠিত এই কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ২১ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান। কমিশন প্রয়োজনে অন্য সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতা রাখে।
কমিশনের কাজ হবে সংঘটিত ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ চিহ্নিত, এনসিপির জনসভায় আক্রমণের দায়ীদের শনাক্তকরণ, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ, সরকারি স্থাপনায় হামলা ও নিরাপত্তা বিঘ্নের ঘটনা বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যতে অনুরূপ ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় প্রস্তাব করা।
গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বনির্ধারিত জনসভায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা ‘পরিকল্পিতভাবে’ হামলা চালায় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে, পরে কারফিউ ঘোষণা ও সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা নেয়া হয়। সংঘর্ষে চারজন নিহত ও এক জন হাসপাতালে মারা গেছেন। পুলিশের দায়ের করা মামলায় হাজার হাজার নেতাকর্মী আসামি হয়েছেন এবং কয়েকশ’জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই মাসের শুরু থেকে এনসিপি ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করে আসছে, যার অংশ হিসেবে ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে ‘মার্চ ফর গোপালগঞ্জ’ আয়োজন করা হয়। ঘটনাস্থলে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ঘটে। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় আশ্রয় নেন।
সরকারি স্থাপনায় হামলা ও নাগরিক নিরাপত্তা সংকটের বিষয়গুলো উন্মোচন করতে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত তদন্ত কমিশন গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনসভাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হামলা, সহিংসতা ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা এবং নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করবে। সাবেক বিচারপতি মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে গঠিত এই ছয় সদস্যের কমিশনকে তিন সপ্তাহের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত ও সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৫৬ সালের কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্টের ধারা ৩ অনুযায়ী গঠিত এই কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ২১ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান। কমিশন প্রয়োজনে অন্য সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতা রাখে।
কমিশনের কাজ হবে সংঘটিত ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ চিহ্নিত, এনসিপির জনসভায় আক্রমণের দায়ীদের শনাক্তকরণ, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ, সরকারি স্থাপনায় হামলা ও নিরাপত্তা বিঘ্নের ঘটনা বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যতে অনুরূপ ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় প্রস্তাব করা।
গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বনির্ধারিত জনসভায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা ‘পরিকল্পিতভাবে’ হামলা চালায় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে, পরে কারফিউ ঘোষণা ও সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা নেয়া হয়। সংঘর্ষে চারজন নিহত ও এক জন হাসপাতালে মারা গেছেন। পুলিশের দায়ের করা মামলায় হাজার হাজার নেতাকর্মী আসামি হয়েছেন এবং কয়েকশ’জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই মাসের শুরু থেকে এনসিপি ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করে আসছে, যার অংশ হিসেবে ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে ‘মার্চ ফর গোপালগঞ্জ’ আয়োজন করা হয়। ঘটনাস্থলে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ঘটে। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় আশ্রয় নেন।
সরকারি স্থাপনায় হামলা ও নাগরিক নিরাপত্তা সংকটের বিষয়গুলো উন্মোচন করতে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।