alt

সারাদেশ

সেবা নেই, অথচ বিশাল কর বিল!

ক্ষোভে ফুঁসছেন বাগাতিপাড়ার পৌরবাসী

প্রতিনিধি, বাগাতিপাড়া (নাটোর) : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

বাগাতিপাড়া (নাটোর) : পৌরসভা ভবন -সংবাদ

রাস্তা ভাঙা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই, পানির সেবা নেই, স্ট্রিটলাইট বহুদিন ধরেই অচল। কিন্তু নাটোরের বাগাতিপাড়া পৌরসভার মানুষ হঠাৎ করেই হাতে পেলেন একটি জটিল ও অস্বচ্ছ করবিল। যার একাধিক খাতে চার্জ আরোপ করা হয়েছে কিন্তু বাস্তবে সেই সেবা নেই বললেই চলে। সম্প্রতি পৌরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া এ বিল দেখে সাধারণ মানুষ হতবাক। কেউ কেউ বলছেন, বিলটি এত দুর্বোধ্য যে তারা এটিকে সরকারি কোনো নোটিশ ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বিলের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রেইট, বিদ্যুৎ রেইটসহ বেশকিছু খাত রয়েছে যার অধিকাংশ সেবাই বাস্তবে নেই। ফলে নাগরিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯-এর ৭৮ ধারায় বলা হয়েছে, পৌর কর আরোপের আগে নাগরিক মতামত ও গণশুনানি নিতে হবে। ৮৬ ধারায় বলা হয়েছে, সেবা ছাড়া কোনো কর আদায় করা যাবে না। অথচ বাগাতিপাড়ায় এই নিয়মের কোনোটিই মানা হয়নি। নাগরিকদের অভিযোগ, না বলা, না শোনার এই প্রক্রিয়ায় হঠাৎ করেই তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এই অতিরিক্ত করবিল। বিদ্যুৎ নেই, পরিচ্ছন্নতা নেই তবু বিল আসে!

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নিজের টাকায় বাড়ির সামনে ড্রেন করিয়েছি, পরিষ্কারও করি নিজে। বিদ্যুৎ বিল তো আলাদা দিই। তা হলে এই বিদ্যুৎ রেইট কেন? তারা আরো বলেন, বিলের ভাষা এমন জটিল যে বুঝতেই পারছিনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগাতিপাড়া পৌরসভার সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মাঝে মাঝে করা হয়। তবে আলো জ্বলে না কিন্তু বিদ্যুৎ রেইট কেন নেওয়া হচ্ছে এই প্রশ্নে তিনি কর শাখায় যোগাযোগের পরামর্শ দেন। বর্তমান পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফ আফজাল রাজন বলেন, এই কর কাঠামো আগের প্রশাসক নির্ধারণ করেছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর নাগরিক সেবা চালুর চেষ্টা করছি। যদি কেউ মনে করেন, কর বেশি হয়েছে, আবেদন করলে তা পুনর্বিবেচনা করা হবে।

বিল নিয়ে অস্পষ্টতা ও অতিরিক্ত চার্জের কারণে অনেকে বলছেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই বিল বানানো হলো কেন? প্রয়োজনে পৌরসভা ঘেরাও করব। প্রায় ২০ হাজার মানুষের এই পৌর এলাকায় বাস্তব সেবার তুলনায় নাগরিকদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে নতুন এই করবিল। প্রশ্ন উঠেছে যেখানে সেবা নেই, সেখানে কর আদায় কতটা যুক্তিসঙ্গত?

বেরোবির সাবেক দুই উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জগন্নাথপুরে টিকটক ভিডিও পোস্ট নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

ছবি

তাহিরপুরে বালু চুরি: ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা

ছবি

জোয়ারের ঢেউয়ে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের ১০ স্থানে ভাঙন, প্লাবনের আশঙ্কা

ছবি

চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় দুই ভাইসহ মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত

ছবি

অপরিকল্পিত পাইপ বসানোয় বাঁধ ধস: তদন্তের আশ্বাস ইউএনওর

ছবি

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৫, গ্রেপ্তার ১৭৭; সুষ্ঠু তদন্ত চায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র

বাগেরহাট শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বেনাপোলে গ্রেপ্তার

চাঁদপুরে ১৩ কেজির কাতল ২০ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি

সিংড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত

চুনারুঘাটে ভেসে যাওয়া খালের ওপর অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ শেষে স্থানীয়দের উল্লাস

হাজীগঞ্জে দলিল লেখকের ৩ দিনের কারাদণ্ড

নিয়ম উড়িয়ে অবৈধ দখল ও প্লটের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে আরডিএর অভিযান

কলমাকান্দায় ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস আজ

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি মৃত্যুর কাছে হার মানলেন কুমিল্লার মাহতাবও

ছবি

পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু, ঝুঁকিতে প্রায় ৪০০ পরিবার

ধর্ষণের সালিসে জুতাপেটা জরিমানা বাকি

বেনাপোল সীমান্তে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট জব্দ

জয়পুরহাটের পৃথক ঘটনায় নিহত ৩

মৃত্যুর তিন বছর পর সাবেক মেয়র হাইকোর্টের আদেশে খালাস

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি বিবাদে সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৭

ছবি

ময়মনসিংহে তরুণ কৃষকদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ

বগুড়ায় আনারুল হত্যা মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন

হত্যা মামলায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অপসারণ, গ্রেপ্তার দাবি

সোনামসজিদ সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকসহ আটক ৩

কালিয়াকৈরে পৃথক স্থান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বেতাগীতে আগুনে ভস্মীভূত দুটি পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

পটিয়ায় বজ্রপাতে দিনমজুরের মৃত্যু

বান্দরবানে শাস্তিমূলক বদলির প্রতিবাদে স্মারকলিপি

ছবি

জলাশয়ে পানি নেই তোষাপাট জাগ দিতে পারছে না কৃষক

ভাবিকে হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড

পটিয়ায় হত্যা, অস্ত্র মারামারিসহ পাঁচ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

রাণীনগরে কষ্টি পাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার

ছবি

পাকুন্দিয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

tab

সারাদেশ

সেবা নেই, অথচ বিশাল কর বিল!

ক্ষোভে ফুঁসছেন বাগাতিপাড়ার পৌরবাসী

প্রতিনিধি, বাগাতিপাড়া (নাটোর)

বাগাতিপাড়া (নাটোর) : পৌরসভা ভবন -সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

রাস্তা ভাঙা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই, পানির সেবা নেই, স্ট্রিটলাইট বহুদিন ধরেই অচল। কিন্তু নাটোরের বাগাতিপাড়া পৌরসভার মানুষ হঠাৎ করেই হাতে পেলেন একটি জটিল ও অস্বচ্ছ করবিল। যার একাধিক খাতে চার্জ আরোপ করা হয়েছে কিন্তু বাস্তবে সেই সেবা নেই বললেই চলে। সম্প্রতি পৌরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া এ বিল দেখে সাধারণ মানুষ হতবাক। কেউ কেউ বলছেন, বিলটি এত দুর্বোধ্য যে তারা এটিকে সরকারি কোনো নোটিশ ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বিলের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রেইট, বিদ্যুৎ রেইটসহ বেশকিছু খাত রয়েছে যার অধিকাংশ সেবাই বাস্তবে নেই। ফলে নাগরিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯-এর ৭৮ ধারায় বলা হয়েছে, পৌর কর আরোপের আগে নাগরিক মতামত ও গণশুনানি নিতে হবে। ৮৬ ধারায় বলা হয়েছে, সেবা ছাড়া কোনো কর আদায় করা যাবে না। অথচ বাগাতিপাড়ায় এই নিয়মের কোনোটিই মানা হয়নি। নাগরিকদের অভিযোগ, না বলা, না শোনার এই প্রক্রিয়ায় হঠাৎ করেই তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এই অতিরিক্ত করবিল। বিদ্যুৎ নেই, পরিচ্ছন্নতা নেই তবু বিল আসে!

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নিজের টাকায় বাড়ির সামনে ড্রেন করিয়েছি, পরিষ্কারও করি নিজে। বিদ্যুৎ বিল তো আলাদা দিই। তা হলে এই বিদ্যুৎ রেইট কেন? তারা আরো বলেন, বিলের ভাষা এমন জটিল যে বুঝতেই পারছিনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগাতিপাড়া পৌরসভার সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মাঝে মাঝে করা হয়। তবে আলো জ্বলে না কিন্তু বিদ্যুৎ রেইট কেন নেওয়া হচ্ছে এই প্রশ্নে তিনি কর শাখায় যোগাযোগের পরামর্শ দেন। বর্তমান পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফ আফজাল রাজন বলেন, এই কর কাঠামো আগের প্রশাসক নির্ধারণ করেছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর নাগরিক সেবা চালুর চেষ্টা করছি। যদি কেউ মনে করেন, কর বেশি হয়েছে, আবেদন করলে তা পুনর্বিবেচনা করা হবে।

বিল নিয়ে অস্পষ্টতা ও অতিরিক্ত চার্জের কারণে অনেকে বলছেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই বিল বানানো হলো কেন? প্রয়োজনে পৌরসভা ঘেরাও করব। প্রায় ২০ হাজার মানুষের এই পৌর এলাকায় বাস্তব সেবার তুলনায় নাগরিকদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে নতুন এই করবিল। প্রশ্ন উঠেছে যেখানে সেবা নেই, সেখানে কর আদায় কতটা যুক্তিসঙ্গত?

back to top