সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : জাগ না দিতে পারায় জমিতে শুকাচ্ছে পাট -সংবাদ
বাড়ির আশপাশ নিচু জলাশয়, পুকুর, ডোবা, নালায় নেই পানি। সে কারণে তোষাপাট পঁচানোর জন্য জাঁক দেয়া সম্ভাব হচ্ছে না। গত ১০দিন ধরে খেতে পড়ে আছে তোষাপাট। রোদে পুড়ে যাচ্ছে তোষাপাটের আটিগুলো। এ অবস্থা চলতে থাকলে সোনালী আঁশ, যেন গলার ফাঁস হয়ে যাবে। সেচ মটার বা শ্যালোমেশিন দিয়ে জলাশয়ে পানি ভরাট করে তোষাপাট জাঁগ দিয়ে কোন লাভ হবেনা, যদি ভারী বৃষ্টি না হয়। কথাগুলো বলেন উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের মালভাঙ্গা গ্রামের পাট চাষী ইদ্র্রিস আলী। তিনি চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে তোষাপাট চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে একবিঘা জমির তোষাপাট কেঁটে ফেলেছেন। কিন্তু পানির অভাবে জাক দিতে পারছেন না।
একই দাবি করে চন্ডিপুর ইউনিয়নের নুরুল মিয়া বলেন, কম পানিতে তোষাপাট জাঁগ দিলে পাটের রং ভাল হবে না। বাজার দর অনেক কম হবে। এসব কারনে পাট চাষীদের লোকসান গুনতে হবে।
গত এক সপ্তাহ ধরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পনেরটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ওপর দিয়ে হালকা বৃষ্টি পাত হলেও তা কোন কাজে আসছে না। বিশেষ করে আমন চাষাবাদ অনেকটা পিছে পাচ্ছে। যেসব কৃষকের বীজতলায় চারার বয়স হয়ে গেছে, তারা সেচে মাধ্যেমে আমন চারা রোপন শুরু করেছেন। এতে করে চাষাবাদ খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। সেই সাথে নিচু জলাশয় সমুহে পানি না থাকায় তোষাপাট চাষীরা পাট জাঁক দিতে পারছে না।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার পনেরটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে তোষাপাট চাষাবাদ হয়েছে। সেই সাথে আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৩০ হাজার ৮৫ হেক্টর। বৈরী আবহাওয়া এ অবস্থায় চলতে থাকলে চাষাবাদ ব্যাহত হতে পারে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির বলেন, এটি প্রাকৃতিক দুর্য়োগ। এখানে আসলে মানুষের কোন হাত নেই। তবে অনেকে সেচের মাধ্যমে পুকুর, ডোবা, নালা এবং নিচু জলাশয়ে পানি ভরাট করে তোষাপাট জাঁক দিচ্ছে। সেই সাথে অনেক কৃষক সেচের মাধ্যমে আমন চারা রোপন শুরু করেছে। কম পানিতে তোষাপাটের রং একটু খারাপ হতে পারে। এতে কোন প্রভাব পড়বে না। আমন চাষাবাদের সময় এখনো পার হয়নি। আরও ১০ হতে ১৫ দিন পরে চারা রোপন করলে কোন ক্ষতি হবে না।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : জাগ না দিতে পারায় জমিতে শুকাচ্ছে পাট -সংবাদ
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
বাড়ির আশপাশ নিচু জলাশয়, পুকুর, ডোবা, নালায় নেই পানি। সে কারণে তোষাপাট পঁচানোর জন্য জাঁক দেয়া সম্ভাব হচ্ছে না। গত ১০দিন ধরে খেতে পড়ে আছে তোষাপাট। রোদে পুড়ে যাচ্ছে তোষাপাটের আটিগুলো। এ অবস্থা চলতে থাকলে সোনালী আঁশ, যেন গলার ফাঁস হয়ে যাবে। সেচ মটার বা শ্যালোমেশিন দিয়ে জলাশয়ে পানি ভরাট করে তোষাপাট জাঁগ দিয়ে কোন লাভ হবেনা, যদি ভারী বৃষ্টি না হয়। কথাগুলো বলেন উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের মালভাঙ্গা গ্রামের পাট চাষী ইদ্র্রিস আলী। তিনি চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে তোষাপাট চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে একবিঘা জমির তোষাপাট কেঁটে ফেলেছেন। কিন্তু পানির অভাবে জাক দিতে পারছেন না।
একই দাবি করে চন্ডিপুর ইউনিয়নের নুরুল মিয়া বলেন, কম পানিতে তোষাপাট জাঁগ দিলে পাটের রং ভাল হবে না। বাজার দর অনেক কম হবে। এসব কারনে পাট চাষীদের লোকসান গুনতে হবে।
গত এক সপ্তাহ ধরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পনেরটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ওপর দিয়ে হালকা বৃষ্টি পাত হলেও তা কোন কাজে আসছে না। বিশেষ করে আমন চাষাবাদ অনেকটা পিছে পাচ্ছে। যেসব কৃষকের বীজতলায় চারার বয়স হয়ে গেছে, তারা সেচে মাধ্যেমে আমন চারা রোপন শুরু করেছেন। এতে করে চাষাবাদ খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। সেই সাথে নিচু জলাশয় সমুহে পানি না থাকায় তোষাপাট চাষীরা পাট জাঁক দিতে পারছে না।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার পনেরটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে তোষাপাট চাষাবাদ হয়েছে। সেই সাথে আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৩০ হাজার ৮৫ হেক্টর। বৈরী আবহাওয়া এ অবস্থায় চলতে থাকলে চাষাবাদ ব্যাহত হতে পারে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির বলেন, এটি প্রাকৃতিক দুর্য়োগ। এখানে আসলে মানুষের কোন হাত নেই। তবে অনেকে সেচের মাধ্যমে পুকুর, ডোবা, নালা এবং নিচু জলাশয়ে পানি ভরাট করে তোষাপাট জাঁক দিচ্ছে। সেই সাথে অনেক কৃষক সেচের মাধ্যমে আমন চারা রোপন শুরু করেছে। কম পানিতে তোষাপাটের রং একটু খারাপ হতে পারে। এতে কোন প্রভাব পড়বে না। আমন চাষাবাদের সময় এখনো পার হয়নি। আরও ১০ হতে ১৫ দিন পরে চারা রোপন করলে কোন ক্ষতি হবে না।