রাত জেগে থাকি এই বুঝি বাড়ি ভাইঙা গেল
“রাত জেগে বসে থাকি এই বুঁঝি বাড়ি ভাইঙ্গা গেল পদ্মায়” এ উক্তি নদী পাড়ের মানুষের। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের পদ্মা নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে দৌলতদিয়া ২নং ফেরিঘাট এলাকাসহ সিদ্দিক কাজীর পাড়া নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে, এতে ওই এলাকা (২নং ফেরি ঘাট) সহ ৭ নং ফেরিঘাট সত্তার মেম্বার পাড়া পযর্ন্ত পদ্মা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৪’শত পরিবার এবং চরম আতঙ্কে কাটছে পরিবার গুলোর দিন রাত।
ভাঙন সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে জানা যায়, প্রতি বছরই দৌলতদিয়া ইউনিয়নটি কোন না কোন এলাকা পদ্মা নদীর ভাঙনে কঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে গ্রাম পর গ্রাম এতে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি বসত ভিটা সব কিছু হারিয়ে দিন দিন শত শত পরিবারের মানুষ নদী ভাঙনের সব কিছ হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে।
গত ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার দিকে ২ নং ফেরিঘাট সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ২নং ফেরিঘাটসহ সিদ্দিক কাজীরপাড়া এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে গত দু’দিনে ঘাট এলাকায় প্রায় বেশ কিছু অংশ পদ্মার ভাঙনে নদী গর্ভে চলে গেছে, নদী ভাঙন ঝুঁতিতে রয়েছে ওই এলাকার নদী পাড়ের প্রায় ১’শত পরিবার। নদী ভাঙন যদি দ্রুত প্রতিরোধ না করা হয়, আর যদি ভাঙন অব্যাহত থাকে তাহলে বর্ষা মৌসুমের মধ্যে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাবে অনেক পরিবার বললেন ওই এলাকা বাসি। ওই এলাকার মো. হোসেন শেখ (৪০) বলেন, নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীতে প্রচন্ড রাতের সৃষ্টি হয়েছে এতে ২ নং ফেরিঘাট সিদ্দিক কাজীর পাড়া এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে গত দু’দিনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ গজের মতো পদ্মার ভাঙনে ২ নং ফেরিঘাট এলাকা নদী গর্ভে চলে গেছে বর্তমানে সিদ্দিক কাজীর পাড়ায় প্রায় ১’শত পরিবার চরম ঝুঁকির রয়েছে। যদি দ্রুত নদী ভাঙন প্রতিরোধ না করা হয় তাহলে সিদ্দিক কাজীরপাড়া নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাবে । এছাড়াও আজিরন (৮০) বলেন, খুরদিগঞ্জ,ঢল্লাপাড়া থেকে দুইবার নদী ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে এখানে এসে পরের জাগায় শোনকরালি নিয়ে বসবাস করছি আবার যদি বাড়ী ঘর নদীতে ভাইঙ্গা যায় এই বয়সে জামু কই আমাদের মরণ ছাড়া আর উপায় নাই বলেন। সিদ্দিক কাজীর পাড়ার আরেক বাসিন্দা সালেহা (৩৫) বলেন, আমাদের বাড়ী কুশাহাটা, ধুপাগাধী, ঢল্লাপাড়া, ফেরিঘাট, চার বার নদীতে ভাঙার পর এই ২নং ফেরিঘাট এসে সিদ্দিক কাজীরপাড়ায় কোন মত ঠাঁই নিয়েছি তাও যদি আবার ভাইঙ্গা যায় আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে যাব কোথায় এই ভেবে রাতে ঘুম আসে না!। সিদ্দিক কাজীরপাড়ার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী সোনা মনি আক্তার (১৩) বলে, আমারা তিন ভাই বোন আমরা গরিব মানুষ আমি বড় আমার এক বোন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে আমার ভাই প্লে-তে পড়ে যদি আমাদের বাড়ি নদীতে ভেঙে যায় তাহলে আমরা যাব কোথায়! আমাদের তো লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে। দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মেনামুল হাসান মিন্টিু বলেন, আমাদের দৌলতদিয়া ইউনিয়নটি প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে কোন না কোন এলাকা পদ্মা নদীর ভাঙানের কবলে পড়ে । বর্তমানে বেপারীপাড়া থেকে শুরু করে ৭ নং ফেরিঘাট ছাত্তার মেম্বারপাড়া পযর্ন্ত নদী পাড়ের প্রায় ৪’শত পরিবার নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বলেন।
ঘাটের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র এসিস্ট্যান্ট প্রকৌশলী মো. নাছিম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ২ নং ফেরিঘাটের নদী ভাঙনের বিষয়টি আমরা আমাদের উর্ধ্বতম কতৃপক্ষকে জানিয়েছি তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
রাত জেগে থাকি এই বুঝি বাড়ি ভাইঙা গেল
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
“রাত জেগে বসে থাকি এই বুঁঝি বাড়ি ভাইঙ্গা গেল পদ্মায়” এ উক্তি নদী পাড়ের মানুষের। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের পদ্মা নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে দৌলতদিয়া ২নং ফেরিঘাট এলাকাসহ সিদ্দিক কাজীর পাড়া নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে, এতে ওই এলাকা (২নং ফেরি ঘাট) সহ ৭ নং ফেরিঘাট সত্তার মেম্বার পাড়া পযর্ন্ত পদ্মা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৪’শত পরিবার এবং চরম আতঙ্কে কাটছে পরিবার গুলোর দিন রাত।
ভাঙন সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে জানা যায়, প্রতি বছরই দৌলতদিয়া ইউনিয়নটি কোন না কোন এলাকা পদ্মা নদীর ভাঙনে কঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে গ্রাম পর গ্রাম এতে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি বসত ভিটা সব কিছু হারিয়ে দিন দিন শত শত পরিবারের মানুষ নদী ভাঙনের সব কিছ হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে।
গত ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার দিকে ২ নং ফেরিঘাট সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ২নং ফেরিঘাটসহ সিদ্দিক কাজীরপাড়া এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে গত দু’দিনে ঘাট এলাকায় প্রায় বেশ কিছু অংশ পদ্মার ভাঙনে নদী গর্ভে চলে গেছে, নদী ভাঙন ঝুঁতিতে রয়েছে ওই এলাকার নদী পাড়ের প্রায় ১’শত পরিবার। নদী ভাঙন যদি দ্রুত প্রতিরোধ না করা হয়, আর যদি ভাঙন অব্যাহত থাকে তাহলে বর্ষা মৌসুমের মধ্যে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাবে অনেক পরিবার বললেন ওই এলাকা বাসি। ওই এলাকার মো. হোসেন শেখ (৪০) বলেন, নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীতে প্রচন্ড রাতের সৃষ্টি হয়েছে এতে ২ নং ফেরিঘাট সিদ্দিক কাজীর পাড়া এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে গত দু’দিনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ গজের মতো পদ্মার ভাঙনে ২ নং ফেরিঘাট এলাকা নদী গর্ভে চলে গেছে বর্তমানে সিদ্দিক কাজীর পাড়ায় প্রায় ১’শত পরিবার চরম ঝুঁকির রয়েছে। যদি দ্রুত নদী ভাঙন প্রতিরোধ না করা হয় তাহলে সিদ্দিক কাজীরপাড়া নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাবে । এছাড়াও আজিরন (৮০) বলেন, খুরদিগঞ্জ,ঢল্লাপাড়া থেকে দুইবার নদী ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে এখানে এসে পরের জাগায় শোনকরালি নিয়ে বসবাস করছি আবার যদি বাড়ী ঘর নদীতে ভাইঙ্গা যায় এই বয়সে জামু কই আমাদের মরণ ছাড়া আর উপায় নাই বলেন। সিদ্দিক কাজীর পাড়ার আরেক বাসিন্দা সালেহা (৩৫) বলেন, আমাদের বাড়ী কুশাহাটা, ধুপাগাধী, ঢল্লাপাড়া, ফেরিঘাট, চার বার নদীতে ভাঙার পর এই ২নং ফেরিঘাট এসে সিদ্দিক কাজীরপাড়ায় কোন মত ঠাঁই নিয়েছি তাও যদি আবার ভাইঙ্গা যায় আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে যাব কোথায় এই ভেবে রাতে ঘুম আসে না!। সিদ্দিক কাজীরপাড়ার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী সোনা মনি আক্তার (১৩) বলে, আমারা তিন ভাই বোন আমরা গরিব মানুষ আমি বড় আমার এক বোন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে আমার ভাই প্লে-তে পড়ে যদি আমাদের বাড়ি নদীতে ভেঙে যায় তাহলে আমরা যাব কোথায়! আমাদের তো লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে। দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মেনামুল হাসান মিন্টিু বলেন, আমাদের দৌলতদিয়া ইউনিয়নটি প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে কোন না কোন এলাকা পদ্মা নদীর ভাঙানের কবলে পড়ে । বর্তমানে বেপারীপাড়া থেকে শুরু করে ৭ নং ফেরিঘাট ছাত্তার মেম্বারপাড়া পযর্ন্ত নদী পাড়ের প্রায় ৪’শত পরিবার নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বলেন।
ঘাটের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র এসিস্ট্যান্ট প্রকৌশলী মো. নাছিম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ২ নং ফেরিঘাটের নদী ভাঙনের বিষয়টি আমরা আমাদের উর্ধ্বতম কতৃপক্ষকে জানিয়েছি তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।