মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন কুমিল্লার শিক্ষার্থী মো. মাহতাব রহমান ভূঁইয়াও। সে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। সে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ গ্রামের মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে এবং ওই স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ইংলিশ ভার্সনের শিক্ষার্থী ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে এক হৃদয় বিদারক ও শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে দূরদূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনসহ শোকার্ত লোকজন বাড়িতে ছুটে আসেন। রাতেই স্থানীয় চুলাশ উখারী বাজার শাহী ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল নামে।
মাহতাবের জেঠা মো. মিজানুর রহমান ও ছোট মামা মো. রকিবুল হাসান রাকিব সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটের দিকে মাহতাবের (১৫) মৃত্যু হয়। মাহতাব জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার আইসিইউর (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ১১ নং বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়ে ছিলেন তার প্রায় ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রথমে আইসিইউ এবং পরে তাকে লাইফ সার্পোটে রাখা হয়। তার মামা মো. রকিবুল হাসান রাকিব বলেন, চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছেন। ভাগিনাকে (মাহতাব) আর বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুর খবরে তার মা-বাবা বাকরুদ্ধ।
ঘটনার পর থেকে তারা হাসপাতালে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। এমন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, হাসপাতালে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে এ্যাম্বুলেন্সে সন্ধ্যার দিকে গ্রামের বাড়ি দেবিদ্বারের চুলাশে মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
মাহতাব পরিবারের সাথে ঢাকার উত্তরায় একটি বাসায় থাকতেন। প্রচণ্ড মেধাবী মাহতাব ওই বাসায় থেকে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ইংলিশ ভার্সনের ৭ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করতেন। তার বাবা মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন। এদিকে মাহতাবের এ অকাল মুত্যুতে তার গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। ইতিপূর্বে ওই ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে আসা অগ্নিদগ্ধ মাহতাবের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে দেশ-বিদেশে ভাইরাল হয়। তার সুস্থতায় দোয়া কামনা করে অনেকেই ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করেন। বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে সর্বত্র শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন সাংবাদিকদের বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় মাহতাব রহমান দুপুরে মারা যাওয়ার পর আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, আমি জানাজা ও দাফনে অংশ নিয়েছি। মাহাতাবের পরিবারের যদি সরকারি কোনো ধরণের সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তার ব্যবস্থা করা হবে।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন কুমিল্লার শিক্ষার্থী মো. মাহতাব রহমান ভূঁইয়াও। সে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। সে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ গ্রামের মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে এবং ওই স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ইংলিশ ভার্সনের শিক্ষার্থী ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে এক হৃদয় বিদারক ও শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে দূরদূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনসহ শোকার্ত লোকজন বাড়িতে ছুটে আসেন। রাতেই স্থানীয় চুলাশ উখারী বাজার শাহী ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল নামে।
মাহতাবের জেঠা মো. মিজানুর রহমান ও ছোট মামা মো. রকিবুল হাসান রাকিব সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটের দিকে মাহতাবের (১৫) মৃত্যু হয়। মাহতাব জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার আইসিইউর (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ১১ নং বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়ে ছিলেন তার প্রায় ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রথমে আইসিইউ এবং পরে তাকে লাইফ সার্পোটে রাখা হয়। তার মামা মো. রকিবুল হাসান রাকিব বলেন, চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছেন। ভাগিনাকে (মাহতাব) আর বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুর খবরে তার মা-বাবা বাকরুদ্ধ।
ঘটনার পর থেকে তারা হাসপাতালে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। এমন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, হাসপাতালে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে এ্যাম্বুলেন্সে সন্ধ্যার দিকে গ্রামের বাড়ি দেবিদ্বারের চুলাশে মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
মাহতাব পরিবারের সাথে ঢাকার উত্তরায় একটি বাসায় থাকতেন। প্রচণ্ড মেধাবী মাহতাব ওই বাসায় থেকে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ইংলিশ ভার্সনের ৭ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করতেন। তার বাবা মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন। এদিকে মাহতাবের এ অকাল মুত্যুতে তার গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। ইতিপূর্বে ওই ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে আসা অগ্নিদগ্ধ মাহতাবের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে দেশ-বিদেশে ভাইরাল হয়। তার সুস্থতায় দোয়া কামনা করে অনেকেই ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করেন। বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে সর্বত্র শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন সাংবাদিকদের বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় মাহতাব রহমান দুপুরে মারা যাওয়ার পর আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, আমি জানাজা ও দাফনে অংশ নিয়েছি। মাহাতাবের পরিবারের যদি সরকারি কোনো ধরণের সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তার ব্যবস্থা করা হবে।