রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) অনুমতি নিয়েও নকশা বহির্ভূতভাবে বা অনুমোদন ছাড়া একের পর এক ভবন গড়ে উঠছে এ নগরীতে। এরই মধ্যে রাজশাহীতে সামান্য ভূমিকম্পের ফলে একটি সাততলা ভবনসহ বেশ কয়েকটি ভবন আংশিক হেলে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। আরডিএ সূত্র মতে, পরিকল্পিত উন্নয়ন এবং আধুনিক নগরায়নের লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে রাজশাহী শহর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তিত হয়ে ২০১৮ সালে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়।
গত ২০ বছরে এমন সাড়ে ৬ হাজার ভবন মালিককে চিঠি দিয়েছে আরডিএ। এদিকে রাজশাহীতে অবৈধ দখল, নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ ও প্লটের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভা, কাটাখালী পৌরসভা, দামকুড়া, হড়গ্রাম, হরিপুর, হুজুরিপাড়া, হরিয়ান, বড়গাছি, পারিলা ইউনিয়ন, চারঘাট উপজেলার চারঘাট পৌরসভা (আংশিক), এ উপজেলার ইউসুফপুর ও সলুয়া ইউনিয়ন এবং পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর, ও বানেশ্বর মিলে মোট ১৫টি প্রশাসনিক এলাকা নিয়ে আরডিএ এলাকা । এর মধ্যে প্রধান হিসেবে ধরা হয় রাজশাহী শহরকে। এ শহরে এখন পর্যন্ত অনুমোদিত ভবন গড়ে উঠেছে প্রায় ২৫ হাজার। আর ছোট-বড় মিলে আরও অন্তত ৩০ হাজার ভবন রয়েছে। যেগুলোর কিছু অনুমোদন নেওয়া হয়েছে আরডিএ গঠনের আগেই রাজশাহীর তৎকালীন পৌরসভা থেকে। ফলে ঠিক কতটা ভবন রাজশাহীতে অবৈধ এবং কতটা ভবন বৈধ তার কোনো সঠিক হিসেবই এখন পর্যন্ত বের করতে পারেনি আরডিএ।
সূত্র আরও জানায়, আরডিএ মূলত ১৯৮০ সালের পর থেকে নকশা অনুমেদানহীন বা নকশা ছাড়ায় অবৈধভাবে নির্মাণকৃত ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে নোটিশ করতে শুরু করে। তবে কেবলমাত্র প্রতিবেশীরা যেসব ভবন নিয়ে অভিযোগ করেন, সেসব ভবন মালিকদের বিরুদ্ধেই নোটিশ করা হয়। অর্থাৎ অভিযোগ পাওয়ার পরে সেটির সত্যতা যাচাই-বাছাই করে ভবন মালিককে নোটিশ করে আরডিএ। সেই হিসেবে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ভবন মালিককে নোটিশ করেছে আরডিএ। এর মধ্যে গত প্রায় ১০ বছরেই নোটিশ করা হয়েছে ৬ হাজারের মতো। আর নোটিশের পরেও কোনোই জবাব না দেওয়া বড় ধরনের আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৭০টি। তবে সাম্প্রাতিক সময়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে নকশা বহির্ভূতভাবে ব্যাপক হারে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে অবৈধ দখল, নকশা বহির্ভুত ভবন নির্মাণ ও প্লটের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। এর মধ্যে আরডিএর বারনই আবাসিক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত জমি থেকে অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া পদ্মা আবাসিক এলাকায় নির্ধারিত আবাসিক প্লটে লিজ দলিলের শর্ত ভঙ্গ করে স্কুল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট লিজ গ্রহীতাদের নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অভিযানে নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করায় বিমানচত্বরের পূর্ব পাশে নির্মাণাধীন দুটি ভবনের মালিককে ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধ অংশ অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের উত্তর পাশে একটি দোতলা ভবনের নকশা বহির্ভূত বেলকোনির কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। ভবনটির মালিককে ৩০ দিনের মধ্যে বাকি অবৈধ নির্মাণ অপসারণ করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে বলা হয়। আর পদ্মা আবাসিক এলাকার আরডিএ পার্কের উভয় পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ চায়ের স্টল এবং ১ নম্বর রোডের দক্ষিণ পাশের কর্নার প্লটে স্থাপিত মুদির দোকানগুলোও এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন আরডিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান। অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন- অথরাইজড অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল তারিক, এস্টেট অফিসার মো. বদরুজ্জামান, জুনিয়র এস্টেট অফিসার মো. নাহিদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) অনুমতি নিয়েও নকশা বহির্ভূতভাবে বা অনুমোদন ছাড়া একের পর এক ভবন গড়ে উঠছে এ নগরীতে। এরই মধ্যে রাজশাহীতে সামান্য ভূমিকম্পের ফলে একটি সাততলা ভবনসহ বেশ কয়েকটি ভবন আংশিক হেলে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। আরডিএ সূত্র মতে, পরিকল্পিত উন্নয়ন এবং আধুনিক নগরায়নের লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে রাজশাহী শহর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তিত হয়ে ২০১৮ সালে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়।
গত ২০ বছরে এমন সাড়ে ৬ হাজার ভবন মালিককে চিঠি দিয়েছে আরডিএ। এদিকে রাজশাহীতে অবৈধ দখল, নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ ও প্লটের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভা, কাটাখালী পৌরসভা, দামকুড়া, হড়গ্রাম, হরিপুর, হুজুরিপাড়া, হরিয়ান, বড়গাছি, পারিলা ইউনিয়ন, চারঘাট উপজেলার চারঘাট পৌরসভা (আংশিক), এ উপজেলার ইউসুফপুর ও সলুয়া ইউনিয়ন এবং পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর, ও বানেশ্বর মিলে মোট ১৫টি প্রশাসনিক এলাকা নিয়ে আরডিএ এলাকা । এর মধ্যে প্রধান হিসেবে ধরা হয় রাজশাহী শহরকে। এ শহরে এখন পর্যন্ত অনুমোদিত ভবন গড়ে উঠেছে প্রায় ২৫ হাজার। আর ছোট-বড় মিলে আরও অন্তত ৩০ হাজার ভবন রয়েছে। যেগুলোর কিছু অনুমোদন নেওয়া হয়েছে আরডিএ গঠনের আগেই রাজশাহীর তৎকালীন পৌরসভা থেকে। ফলে ঠিক কতটা ভবন রাজশাহীতে অবৈধ এবং কতটা ভবন বৈধ তার কোনো সঠিক হিসেবই এখন পর্যন্ত বের করতে পারেনি আরডিএ।
সূত্র আরও জানায়, আরডিএ মূলত ১৯৮০ সালের পর থেকে নকশা অনুমেদানহীন বা নকশা ছাড়ায় অবৈধভাবে নির্মাণকৃত ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে নোটিশ করতে শুরু করে। তবে কেবলমাত্র প্রতিবেশীরা যেসব ভবন নিয়ে অভিযোগ করেন, সেসব ভবন মালিকদের বিরুদ্ধেই নোটিশ করা হয়। অর্থাৎ অভিযোগ পাওয়ার পরে সেটির সত্যতা যাচাই-বাছাই করে ভবন মালিককে নোটিশ করে আরডিএ। সেই হিসেবে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ভবন মালিককে নোটিশ করেছে আরডিএ। এর মধ্যে গত প্রায় ১০ বছরেই নোটিশ করা হয়েছে ৬ হাজারের মতো। আর নোটিশের পরেও কোনোই জবাব না দেওয়া বড় ধরনের আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৭০টি। তবে সাম্প্রাতিক সময়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে নকশা বহির্ভূতভাবে ব্যাপক হারে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে অবৈধ দখল, নকশা বহির্ভুত ভবন নির্মাণ ও প্লটের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। এর মধ্যে আরডিএর বারনই আবাসিক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত জমি থেকে অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া পদ্মা আবাসিক এলাকায় নির্ধারিত আবাসিক প্লটে লিজ দলিলের শর্ত ভঙ্গ করে স্কুল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট লিজ গ্রহীতাদের নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অভিযানে নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করায় বিমানচত্বরের পূর্ব পাশে নির্মাণাধীন দুটি ভবনের মালিককে ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধ অংশ অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের উত্তর পাশে একটি দোতলা ভবনের নকশা বহির্ভূত বেলকোনির কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। ভবনটির মালিককে ৩০ দিনের মধ্যে বাকি অবৈধ নির্মাণ অপসারণ করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে বলা হয়। আর পদ্মা আবাসিক এলাকার আরডিএ পার্কের উভয় পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ চায়ের স্টল এবং ১ নম্বর রোডের দক্ষিণ পাশের কর্নার প্লটে স্থাপিত মুদির দোকানগুলোও এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন আরডিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান। অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন- অথরাইজড অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল তারিক, এস্টেট অফিসার মো. বদরুজ্জামান, জুনিয়র এস্টেট অফিসার মো. নাহিদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।