বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কাটাখালি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পানির চাপ সইতে না পেরে ধসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৫০ ফুট বাঁধ পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে পড়ে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এতে শেরপুরের সুঘাট ইউনিয়ন এবং পাশের ধুনট উপজেলার অন্তত ১২টি গ্রামের মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের মাঝখানে অপরিকল্পিতভাবে বসানো প্লাস্টিকের পাইপ দিয়েই দক্ষিণ পাশে পানি চলাচলের সময় এই ধসের ঘটনা ঘটে। বাঁধটির ওপর দিয়েই এসব গ্রামের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করতেন।
ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে সুঘাট ইউনিয়নের চকধলী, চককল্যাণী, কল্যাণী, জয়নগর, জয়লাজুয়ান, বেলগাছি, জোড়গাছা ও আউলাকান্দি এবং ধুনট উপজেলার পেঁচিবাড়ি, জালশুকা, বিশ্বহরিগাছা ও ভ্রমণগাথি গ্রাম।
ফলে কৃষকরা ফসল হাটে তুলতে পারছেন না এবং অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
চককল্যাণী গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম বলেন, “১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণ পাশের জলাবদ্ধতা কমাতে বাঁধে পাইপ বসানো হয়। বর্ষায় কাজ করায় ধস হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কাজটি হলে এই ক্ষতি হতো না।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী রিপন আহমেদ বলেন, “পাইপ বসানোর পরপরই পানি প্রবাহ শুরু হলে সন্ধ্যায় বাঁধটি ধসে পড়ে। প্লাস্টিকের পাইপের কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে গিয়েছিল।”
তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল জব্বার বলেন, “বাঁধ সংস্কারে কোনো অনিয়ম হয়নি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কাবিটা প্রকল্পের আওতায় দুই কিস্তিতে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।”
সুঘাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরনবী মণ্ডল বলেন, “যদি কাজটি মার্চে শুরু হতো, তবে বর্ষায় বাঁধ ভাঙত না। প্রকল্পটি অপরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।”
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক খান বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কাটাখালি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পানির চাপ সইতে না পেরে ধসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৫০ ফুট বাঁধ পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে পড়ে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এতে শেরপুরের সুঘাট ইউনিয়ন এবং পাশের ধুনট উপজেলার অন্তত ১২টি গ্রামের মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের মাঝখানে অপরিকল্পিতভাবে বসানো প্লাস্টিকের পাইপ দিয়েই দক্ষিণ পাশে পানি চলাচলের সময় এই ধসের ঘটনা ঘটে। বাঁধটির ওপর দিয়েই এসব গ্রামের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করতেন।
ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে সুঘাট ইউনিয়নের চকধলী, চককল্যাণী, কল্যাণী, জয়নগর, জয়লাজুয়ান, বেলগাছি, জোড়গাছা ও আউলাকান্দি এবং ধুনট উপজেলার পেঁচিবাড়ি, জালশুকা, বিশ্বহরিগাছা ও ভ্রমণগাথি গ্রাম।
ফলে কৃষকরা ফসল হাটে তুলতে পারছেন না এবং অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
চককল্যাণী গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম বলেন, “১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণ পাশের জলাবদ্ধতা কমাতে বাঁধে পাইপ বসানো হয়। বর্ষায় কাজ করায় ধস হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কাজটি হলে এই ক্ষতি হতো না।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী রিপন আহমেদ বলেন, “পাইপ বসানোর পরপরই পানি প্রবাহ শুরু হলে সন্ধ্যায় বাঁধটি ধসে পড়ে। প্লাস্টিকের পাইপের কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে গিয়েছিল।”
তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল জব্বার বলেন, “বাঁধ সংস্কারে কোনো অনিয়ম হয়নি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কাবিটা প্রকল্পের আওতায় দুই কিস্তিতে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।”
সুঘাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরনবী মণ্ডল বলেন, “যদি কাজটি মার্চে শুরু হতো, তবে বর্ষায় বাঁধ ভাঙত না। প্রকল্পটি অপরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।”
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক খান বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”