সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও সীমান্তে ছড়া নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর চাঁদাবাজ চক্রের হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেমের উপস্থিতিতে এ হামলা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালানোর সময় চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা দা, লাঠি, পাথর নিয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আটককৃত এক দুর্বৃত্তকে ছিনিয়ে নেয় এবং জব্দ করা আটটি স্টিল বডি ট্রলারে পাথর ছুড়ে ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা, হামলা ও ট্রলার জব্দে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানান, কলাগাঁও ছড়া নদী দীর্ঘদিন ধরে ইজারাবিহীন থাকায় একটি প্রভাবশালী চক্র নিয়মিতভাবে রাষ্ট্রীয় খনিজ সম্পদ বালি চুরি করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পল্লী চিকিৎসক শামসুদ্দিন এবং ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি ও মামলার পলাতক আসামি হাবিবুর রহমান হাবি ওরফে কাইল্যা হাবি। তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ দল গঠন করে প্রতিদিন ৫০-৬০টি ট্রলারে বালু উত্তোলন করছেন।
স্থানীয় জনগণ জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী আনিসুল হকের প্রভাবে এই চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এখন তারা এলাকায় ভয়ভীতি, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন, তারা এখন শামসুদ্দিন ও হাবিবুর রহমানের নিয়ন্ত্রণে জীবনযাপন করছেন।
কয়লা, চুনাপাথর, গবাদিপশু, কসমেটিকসসহ সীমান্ত চোরাচালানেও এই চক্র জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। শামসুদ্দিনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে অস্বাভাবিক পরিমাণ লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে। সম্প্রতি তার ভাই ও ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে ডাকাতির গরু উদ্ধার নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান হাবি বলেন, তিনি এসবের সঙ্গে জড়িত নন, সব কিছু জানেন শামসুদ্দিন।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, ‘কারও ব্যক্তিগত অপকর্মের দায়ভার আমি বা বিএনপি নেবে না। অপরাধ করলে দায়ভার তাকে নিজেই বহন করতে হবে।’
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও সীমান্তে ছড়া নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর চাঁদাবাজ চক্রের হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেমের উপস্থিতিতে এ হামলা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালানোর সময় চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা দা, লাঠি, পাথর নিয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আটককৃত এক দুর্বৃত্তকে ছিনিয়ে নেয় এবং জব্দ করা আটটি স্টিল বডি ট্রলারে পাথর ছুড়ে ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা, হামলা ও ট্রলার জব্দে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানান, কলাগাঁও ছড়া নদী দীর্ঘদিন ধরে ইজারাবিহীন থাকায় একটি প্রভাবশালী চক্র নিয়মিতভাবে রাষ্ট্রীয় খনিজ সম্পদ বালি চুরি করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পল্লী চিকিৎসক শামসুদ্দিন এবং ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি ও মামলার পলাতক আসামি হাবিবুর রহমান হাবি ওরফে কাইল্যা হাবি। তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ দল গঠন করে প্রতিদিন ৫০-৬০টি ট্রলারে বালু উত্তোলন করছেন।
স্থানীয় জনগণ জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী আনিসুল হকের প্রভাবে এই চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এখন তারা এলাকায় ভয়ভীতি, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন, তারা এখন শামসুদ্দিন ও হাবিবুর রহমানের নিয়ন্ত্রণে জীবনযাপন করছেন।
কয়লা, চুনাপাথর, গবাদিপশু, কসমেটিকসসহ সীমান্ত চোরাচালানেও এই চক্র জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। শামসুদ্দিনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে অস্বাভাবিক পরিমাণ লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে। সম্প্রতি তার ভাই ও ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে ডাকাতির গরু উদ্ধার নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান হাবি বলেন, তিনি এসবের সঙ্গে জড়িত নন, সব কিছু জানেন শামসুদ্দিন।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, ‘কারও ব্যক্তিগত অপকর্মের দায়ভার আমি বা বিএনপি নেবে না। অপরাধ করলে দায়ভার তাকে নিজেই বহন করতে হবে।’