দুর্নীতির মাধ্যমে বেরোবির উন্নয়ন প্রকল্পের ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসানকলিমুল্লাহ ও অধ্যাপক নুরউন নবীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৮ জুন এই মামলা দায়ের করা হলেও পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
আসামিরা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. আব্দুস সালাম (জেভি) স্বত্বাধিকারী আ. সালাম বাচ্চু ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাবিব অ্যান্ড কো. (জেভি) স্বত্বাধিকারী এম এম হাবিবুর রহমান।
মামলায় অভিযোগ করা হয় অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই সম্পাদন, এবং নিরাপত্তা জামানতের টাকা এফডিআর হিসাবে ব্যাংকে জমা রেখে ঋণ প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ প্রদানের কোনো বিধান না থাকলেও ঠিকাদারকে ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে অগ্রিম ৪ কোটি টাকার বিল প্রদান করা হয়। অথচ বিল সমন্বয়ের আগেই গ্যারান্টি অবমুক্ত করে দেয়া হয়। এছাড়াও প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ডিজাইন উপেক্ষা করে দ্বিতীয় পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যা সরকারি ক্রয় বিধিমালা লঙ্ঘনের শামিল। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারা এবং বাংলাদেশ দ-বিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাবেক দুই উপাচার্য অধ্যাপক নুর উন নবী ও নাজমুল আহসানস কলিমুল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
দুর্নীতির মাধ্যমে বেরোবির উন্নয়ন প্রকল্পের ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসানকলিমুল্লাহ ও অধ্যাপক নুরউন নবীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৮ জুন এই মামলা দায়ের করা হলেও পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
আসামিরা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. আব্দুস সালাম (জেভি) স্বত্বাধিকারী আ. সালাম বাচ্চু ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাবিব অ্যান্ড কো. (জেভি) স্বত্বাধিকারী এম এম হাবিবুর রহমান।
মামলায় অভিযোগ করা হয় অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই সম্পাদন, এবং নিরাপত্তা জামানতের টাকা এফডিআর হিসাবে ব্যাংকে জমা রেখে ঋণ প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ প্রদানের কোনো বিধান না থাকলেও ঠিকাদারকে ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে অগ্রিম ৪ কোটি টাকার বিল প্রদান করা হয়। অথচ বিল সমন্বয়ের আগেই গ্যারান্টি অবমুক্ত করে দেয়া হয়। এছাড়াও প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ডিজাইন উপেক্ষা করে দ্বিতীয় পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যা সরকারি ক্রয় বিধিমালা লঙ্ঘনের শামিল। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারা এবং বাংলাদেশ দ-বিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাবেক দুই উপাচার্য অধ্যাপক নুর উন নবী ও নাজমুল আহসানস কলিমুল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।