গোপালগঞ্জে এসসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত রমজান মুন্সীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে।
এই নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট পাঁচটি হত্যা মামলাসহ ১২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ১০ হাজার ১৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৬৮৭ জনের নাম রয়েছে, আর বাকি ৯ হাজার ৪৫০ জন অজ্ঞাত আসামি। এসব মামলায় শনিবার পর্যন্ত ৩১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, রমজান মুন্সীর (৩২) ভাই জামাল মুন্সী শনিবার অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় চারজন নিহত এবং অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
প্রথম দিন নিহত চারজন হলেন—উদয়ন রোডের দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালিপাড়ার রমজান কাজী (১৭), শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫) এবং ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন।
গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে ১৬ জুলাই রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। একদিন পর ১৮ জুলাই রাত ১টা ৪৫ মিনিটে সেখানে মারা যান রিকশাচালক রমজান মুন্সী।
এ ঘটনায় আহত সুমন বিশ্বাস (৩০) ও আব্বাস আলী (৩০) এখনও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।
‘ভাত খেতে বাসায় যাওয়ার পথে মৃত্যু’
রমজান মুন্সী হত্যা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই শহরে যানজট থাকায় রিকশাচালক রমজান মুন্সী রিকশা গ্যারেজে রেখে বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে বাসায় ফেরার পথে লঞ্চঘাট এলাকায় যান।
ওই সময় কয়েক হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে দৌড়ে এনসিপির সমাবেশস্থলের দিকে যাচ্ছিল। তারা লঞ্চঘাট এলাকার দোকানপাট ভাঙচুর করে ও পুলিশ বক্সে আগুন দেয়।
এ সময় কর্তব্যরত যৌথ বাহিনী তাদের ধাওয়া দিলে উল্টো তারা বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া দেয় ও আক্রমণ চালায়। আত্মরক্ষার্থে যৌথ বাহিনী পাল্টা ধাওয়া দেয়।
ধাওয়া খেয়ে রমজান লঞ্চঘাটের ফল পট্টিতে আশ্রয় নেন। এ সময় হামলাকারীদের মধ্য থেকে ওত পেতে থাকা অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা যৌথ বাহিনীর উদ্দেশে গুলি চালায়। যৌথ বাহিনীও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
তখন চৌরঙ্গী সিনেমা হলের গলিতে আশ্রয় নেওয়া রমজান বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জুলাই দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গোপালগঞ্জে আনা হয় এবং রাতে গেইটপাড়া পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বিজিবি প্রত্যাহার
সহিংসতার সময় গোপালগঞ্জ শহরে মোতায়েন করা বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সকালে তারা যশোরের উদ্দেশে গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন।
বাকি ১১ মামলার তথ্য
১৯ জুলাই রাতে চার যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় চারটি হত্যা মামলা করে, যাতে অজ্ঞাত ৫ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া সদর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে দুটি এবং জেলা কারাগারে হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে কাশিয়ানী থানায় দুটি, কোটালীপাড়ায় একটি এবং টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ।
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
গোপালগঞ্জে এসসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত রমজান মুন্সীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে।
এই নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট পাঁচটি হত্যা মামলাসহ ১২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ১০ হাজার ১৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৬৮৭ জনের নাম রয়েছে, আর বাকি ৯ হাজার ৪৫০ জন অজ্ঞাত আসামি। এসব মামলায় শনিবার পর্যন্ত ৩১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, রমজান মুন্সীর (৩২) ভাই জামাল মুন্সী শনিবার অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় চারজন নিহত এবং অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
প্রথম দিন নিহত চারজন হলেন—উদয়ন রোডের দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালিপাড়ার রমজান কাজী (১৭), শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫) এবং ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন।
গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে ১৬ জুলাই রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। একদিন পর ১৮ জুলাই রাত ১টা ৪৫ মিনিটে সেখানে মারা যান রিকশাচালক রমজান মুন্সী।
এ ঘটনায় আহত সুমন বিশ্বাস (৩০) ও আব্বাস আলী (৩০) এখনও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।
‘ভাত খেতে বাসায় যাওয়ার পথে মৃত্যু’
রমজান মুন্সী হত্যা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই শহরে যানজট থাকায় রিকশাচালক রমজান মুন্সী রিকশা গ্যারেজে রেখে বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে বাসায় ফেরার পথে লঞ্চঘাট এলাকায় যান।
ওই সময় কয়েক হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে দৌড়ে এনসিপির সমাবেশস্থলের দিকে যাচ্ছিল। তারা লঞ্চঘাট এলাকার দোকানপাট ভাঙচুর করে ও পুলিশ বক্সে আগুন দেয়।
এ সময় কর্তব্যরত যৌথ বাহিনী তাদের ধাওয়া দিলে উল্টো তারা বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া দেয় ও আক্রমণ চালায়। আত্মরক্ষার্থে যৌথ বাহিনী পাল্টা ধাওয়া দেয়।
ধাওয়া খেয়ে রমজান লঞ্চঘাটের ফল পট্টিতে আশ্রয় নেন। এ সময় হামলাকারীদের মধ্য থেকে ওত পেতে থাকা অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা যৌথ বাহিনীর উদ্দেশে গুলি চালায়। যৌথ বাহিনীও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
তখন চৌরঙ্গী সিনেমা হলের গলিতে আশ্রয় নেওয়া রমজান বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জুলাই দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গোপালগঞ্জে আনা হয় এবং রাতে গেইটপাড়া পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বিজিবি প্রত্যাহার
সহিংসতার সময় গোপালগঞ্জ শহরে মোতায়েন করা বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সকালে তারা যশোরের উদ্দেশে গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন।
বাকি ১১ মামলার তথ্য
১৯ জুলাই রাতে চার যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় চারটি হত্যা মামলা করে, যাতে অজ্ঞাত ৫ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া সদর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে দুটি এবং জেলা কারাগারে হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে কাশিয়ানী থানায় দুটি, কোটালীপাড়ায় একটি এবং টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ।