কিশোরগঞ্জের ইটনায় মাদক কারবারের প্রতিবাদ করা ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দিনমজুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হত্যার পর থানায় মামলা নেয়নি। আদালতে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়েছে আসামিরা। প্রতিনিয়িত হুমকির মুখে ভয় ও আতঙ্কে রয়েছে নিহত দিনমজুরের পরিবারের। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় নিহতের পরিবার সুবিচার নিয়ে সংশয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, ইটনা উপজেলার মধ্যগ্রাম পাথরহাটির মো. আলীর ছেলে দিনমজুর রতন মিয়াকে গত ২৩ জুন সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী দিঘীরপাড় মধ্যপাড়া গ্রামের বাচ্ছু মিয়ার ছেলে মাদক কারবারি তানভীর। এরপর মধ্যভাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তানভীর, জামানসহ বেশ কয়েকজন রতন মিয়াকে নিয়ে আড্ডা দেয়। এরপর থেকেই রতন মিয়ার আর কোনো খোঁজ মেলেনি। পরদিন ভোরে উপজেলা পরিষদের পশ্চিম পাড়ের সড়কে রতন মিয়াকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ সময় রতন মিয়ার মাথার ডান পাশে জখম, মুখ মন্ডলে আঁচরের দাগও অন্ডকোষে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ নিহতের রতনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠালেও প্রভাবশালীদের চাপে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা নেয়নি তবে ইউডি মামলা করেছে পুলিশ।
নিহতের মা আনোয়ারা বেগম কিশোরগঞ্জ জুডিসিয়াল আদালতে মাদক কারবারি তানভীরসহ সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
এ মামলা দায়েরের পর থেকেই ভিকটিমের পরিবারের লোকজনকে প্রতিনিয়ত হুমকিতে চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। নিহতের ভাই মানিক জানান, আমাদের পক্ষে কেউ কথা বলে না। মামলা করায় আমরা খুবই ভয়ে আছি। নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, ৫ মাস আগেও তানভীর ও তার লোকজন রতন মিয়াকে কুপিয়ে আহত করেছিল। নিহত রতনের মা আনোয়ারা বেগম জানান, তার স্বামী অসুস্থ। আরেক ছেলে প্রতিবন্ধী। একমাত্র কর্মক্ষম রতন মিয়াকে মেরে ফেলায় পরিবারটি নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন।
ইটনা থানার ওসি মোহাম্মদ জাফর ইকবাল আদালতের নির্দেশ পেলে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান।
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
কিশোরগঞ্জের ইটনায় মাদক কারবারের প্রতিবাদ করা ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দিনমজুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হত্যার পর থানায় মামলা নেয়নি। আদালতে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়েছে আসামিরা। প্রতিনিয়িত হুমকির মুখে ভয় ও আতঙ্কে রয়েছে নিহত দিনমজুরের পরিবারের। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় নিহতের পরিবার সুবিচার নিয়ে সংশয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, ইটনা উপজেলার মধ্যগ্রাম পাথরহাটির মো. আলীর ছেলে দিনমজুর রতন মিয়াকে গত ২৩ জুন সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী দিঘীরপাড় মধ্যপাড়া গ্রামের বাচ্ছু মিয়ার ছেলে মাদক কারবারি তানভীর। এরপর মধ্যভাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তানভীর, জামানসহ বেশ কয়েকজন রতন মিয়াকে নিয়ে আড্ডা দেয়। এরপর থেকেই রতন মিয়ার আর কোনো খোঁজ মেলেনি। পরদিন ভোরে উপজেলা পরিষদের পশ্চিম পাড়ের সড়কে রতন মিয়াকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ সময় রতন মিয়ার মাথার ডান পাশে জখম, মুখ মন্ডলে আঁচরের দাগও অন্ডকোষে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ নিহতের রতনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠালেও প্রভাবশালীদের চাপে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা নেয়নি তবে ইউডি মামলা করেছে পুলিশ।
নিহতের মা আনোয়ারা বেগম কিশোরগঞ্জ জুডিসিয়াল আদালতে মাদক কারবারি তানভীরসহ সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
এ মামলা দায়েরের পর থেকেই ভিকটিমের পরিবারের লোকজনকে প্রতিনিয়ত হুমকিতে চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। নিহতের ভাই মানিক জানান, আমাদের পক্ষে কেউ কথা বলে না। মামলা করায় আমরা খুবই ভয়ে আছি। নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, ৫ মাস আগেও তানভীর ও তার লোকজন রতন মিয়াকে কুপিয়ে আহত করেছিল। নিহত রতনের মা আনোয়ারা বেগম জানান, তার স্বামী অসুস্থ। আরেক ছেলে প্রতিবন্ধী। একমাত্র কর্মক্ষম রতন মিয়াকে মেরে ফেলায় পরিবারটি নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন।
ইটনা থানার ওসি মোহাম্মদ জাফর ইকবাল আদালতের নির্দেশ পেলে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান।