সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন ডাক্তার দিয়ে কোন রুপ চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪ জন ডাক্তার ও ১ জন সিনিয়র নার্স চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। চাহিদা মোতাবেক ডাক্তার না থাকায় রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ। এতে চিকিৎসা কার্যক্রম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। রোগীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
১৬ জন ডাক্তারের বিপরীতে মাত্র ৩ জন জেনারেল ও ১ জন আয়ুর্বেদিক ডাক্তার কর্মরত আছেন। কর্মরত মেডিকেল অফিসার ফাহিয়া তাসনিম, সাদিয়া ইসলাম ত্বনি, তামিম আজিজ ও বেল্লাল হোসেন। শূন্য ১০টি পদের মধ্যে রয়েছে জুনিয়র কনসালটেন্ট এন্সেথেসিয়া ১ জন, মেডিকেল সার্জান ৩ জন, সহকারী সার্জন ৪ জন, গাইনি কনসালটেন্ট ১ জন, আবাসিক মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে ১ জন।
প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ১ জন করে সহকারী সার্জন থাকার কথা থাকলেও, ধানগড়া, সোনাখাড়া, চান্দাইকোনা ও নলকা ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা পর্যায়ে কোন চিকিৎসক নেই। ধুবিল, সলংগা ও ধামাইনগর সাব সেন্টারের মেডিকেল অফিসার প্রেশনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। আবাসিক মেডিকেল অফিসার পদের বিপরীতে ১ জন সংযুক্তিতে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে। চান্দাইকোনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডা. নিবেদিতা চৌধুরী মাতৃৃত্বকালীন জুটিতে আছেন। রোগীর চাপ সামাল দিতে না পেরে নার্সদেরও রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।
সিনিয়র নার্স মিনারা খাতুন বলেন, চাহিদা মাফিক ডাক্তার না থাকায় কখনো কখনো বাধ্য হয়েই চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে আমাদের। মেডিকেল অফিসার বেল্লাল হোসেন বলেন, প্রতিদিন শতশত রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী ডাক্তার না থাকায় বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা সুজাবত আলী বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে রায়গঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ডাক্তার না থাকায় বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। পারে বাধ্য হয়ে রাতেই সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. আ ফ ম ওয়াবাইদুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ডাক্তার সংকটের কথা জানানো হয়েছে, সঙ্গে চাহিদাও প্রেরণ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ডাক্তার সংকট নিরসনে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খুব দ্রুতই এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন ডাক্তার দিয়ে কোন রুপ চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪ জন ডাক্তার ও ১ জন সিনিয়র নার্স চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। চাহিদা মোতাবেক ডাক্তার না থাকায় রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ। এতে চিকিৎসা কার্যক্রম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। রোগীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
১৬ জন ডাক্তারের বিপরীতে মাত্র ৩ জন জেনারেল ও ১ জন আয়ুর্বেদিক ডাক্তার কর্মরত আছেন। কর্মরত মেডিকেল অফিসার ফাহিয়া তাসনিম, সাদিয়া ইসলাম ত্বনি, তামিম আজিজ ও বেল্লাল হোসেন। শূন্য ১০টি পদের মধ্যে রয়েছে জুনিয়র কনসালটেন্ট এন্সেথেসিয়া ১ জন, মেডিকেল সার্জান ৩ জন, সহকারী সার্জন ৪ জন, গাইনি কনসালটেন্ট ১ জন, আবাসিক মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে ১ জন।
প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ১ জন করে সহকারী সার্জন থাকার কথা থাকলেও, ধানগড়া, সোনাখাড়া, চান্দাইকোনা ও নলকা ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা পর্যায়ে কোন চিকিৎসক নেই। ধুবিল, সলংগা ও ধামাইনগর সাব সেন্টারের মেডিকেল অফিসার প্রেশনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। আবাসিক মেডিকেল অফিসার পদের বিপরীতে ১ জন সংযুক্তিতে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে। চান্দাইকোনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডা. নিবেদিতা চৌধুরী মাতৃৃত্বকালীন জুটিতে আছেন। রোগীর চাপ সামাল দিতে না পেরে নার্সদেরও রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।
সিনিয়র নার্স মিনারা খাতুন বলেন, চাহিদা মাফিক ডাক্তার না থাকায় কখনো কখনো বাধ্য হয়েই চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে আমাদের। মেডিকেল অফিসার বেল্লাল হোসেন বলেন, প্রতিদিন শতশত রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী ডাক্তার না থাকায় বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা সুজাবত আলী বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে রায়গঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ডাক্তার না থাকায় বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। পারে বাধ্য হয়ে রাতেই সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. আ ফ ম ওয়াবাইদুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ডাক্তার সংকটের কথা জানানো হয়েছে, সঙ্গে চাহিদাও প্রেরণ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ডাক্তার সংকট নিরসনে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খুব দ্রুতই এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।