দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : কচুরিপানায় ভরে গেছে মাথাভাঙা নদী -সংবাদ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরে ব্রিজের পিলারে কচুরিপানা বাঁধাগ্রস্ত হয়ে মাথাভাঙ্গা নদীর চলার গতি থমকে গেছে। নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহে কচুরিপানায় বাঁধা সৃষ্টি হওয়ায় সম্প্রতি নদী পাড়ের এলাকাজুড়ে এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। ভরা মৌসুমে নদীর পানিতে ভেসে আসা কচুরিপানা জমে থাকায় নদীপাড়ের এলাকাজুড়ে বিষাক্ত প্রাণীর বিস্তার ঘটার আশঙ্কা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানান, নদীতে প্রতি বছরই কিছুটা কচুরিপানা জমে। তবে এবারের মতো এত বেশি ও ঘন কচুরিপানা জমে থাকা নজিরবিহীন। ব্রিজের নিচে এসে আটকে থাকা কচুরিপানার কারণে পানি বের হতে পারছে না, যা নদীর স্বাভাবিক গতি পথকে রুদ্ধ করে ফেলেছে। এ অবস্থায় কচুরিপানার উপর জমে থাকায় বিষাক্ত পোকা-মাকড় বাসা বাঁধতে পারে। তা থেকে নদী পাড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। নদী পাড়ের মানুষজনও ভিড় করছে ব্যতিক্রম এই দৃশ্য উপভোগ করতে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, মাথাভাঙা নদীর উপজেলা সদরে ব্রিজের পিলারে কচুরিপানা আটকে গিয়ে নদীর বুক কচুরিপানায় জমাট বেঁধে দখলে নিয়েছে। এতে নদীর পানি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে, নদীর পানির প্রবাহ থেমে থাকায় জমে উঠছে দুর্গন্ধ এবং বাড়বে পোকামাকড়ের উপদ্রব।
নদীপাড় দিয়ে চলাফেরা করতেও এখন অনেকে আতঙ্কিত। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এমন পরিস্থিতিতে সাপ বা অন্য বিষাক্ত প্রাণীর দ্রুত বিস্তার ঘটতে পারে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এটি জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে রূপ নিতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে এলাকাবাসী কচুরিপানা পরিষ্কার ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
দামুড়হুদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হজরত আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাকে অনেকে বলেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র বলেন, মাথাভাঙা নদী জেলার গর্ব। আমি এই বিষয়টি জানতে পেরে কচুরিপানা পরিস্কার ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : কচুরিপানায় ভরে গেছে মাথাভাঙা নদী -সংবাদ
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরে ব্রিজের পিলারে কচুরিপানা বাঁধাগ্রস্ত হয়ে মাথাভাঙ্গা নদীর চলার গতি থমকে গেছে। নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহে কচুরিপানায় বাঁধা সৃষ্টি হওয়ায় সম্প্রতি নদী পাড়ের এলাকাজুড়ে এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। ভরা মৌসুমে নদীর পানিতে ভেসে আসা কচুরিপানা জমে থাকায় নদীপাড়ের এলাকাজুড়ে বিষাক্ত প্রাণীর বিস্তার ঘটার আশঙ্কা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানান, নদীতে প্রতি বছরই কিছুটা কচুরিপানা জমে। তবে এবারের মতো এত বেশি ও ঘন কচুরিপানা জমে থাকা নজিরবিহীন। ব্রিজের নিচে এসে আটকে থাকা কচুরিপানার কারণে পানি বের হতে পারছে না, যা নদীর স্বাভাবিক গতি পথকে রুদ্ধ করে ফেলেছে। এ অবস্থায় কচুরিপানার উপর জমে থাকায় বিষাক্ত পোকা-মাকড় বাসা বাঁধতে পারে। তা থেকে নদী পাড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। নদী পাড়ের মানুষজনও ভিড় করছে ব্যতিক্রম এই দৃশ্য উপভোগ করতে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, মাথাভাঙা নদীর উপজেলা সদরে ব্রিজের পিলারে কচুরিপানা আটকে গিয়ে নদীর বুক কচুরিপানায় জমাট বেঁধে দখলে নিয়েছে। এতে নদীর পানি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে, নদীর পানির প্রবাহ থেমে থাকায় জমে উঠছে দুর্গন্ধ এবং বাড়বে পোকামাকড়ের উপদ্রব।
নদীপাড় দিয়ে চলাফেরা করতেও এখন অনেকে আতঙ্কিত। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এমন পরিস্থিতিতে সাপ বা অন্য বিষাক্ত প্রাণীর দ্রুত বিস্তার ঘটতে পারে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এটি জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে রূপ নিতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে এলাকাবাসী কচুরিপানা পরিষ্কার ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
দামুড়হুদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হজরত আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাকে অনেকে বলেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র বলেন, মাথাভাঙা নদী জেলার গর্ব। আমি এই বিষয়টি জানতে পেরে কচুরিপানা পরিস্কার ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।