পিরোজপুরে নিজ ঘর থেকে রোকেয়া বেগম (৭৫) নামে এক বৃদ্ধার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ। নিহত রোকেয়া বেগম পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামের মো. মোক্তার হাওলাদারের স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল ইসলাম।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ভুক্তভোগী বৃদ্ধার চাচাতো দেবরের স্ত্রী হাওয়া বেগম ঘরের বাইরের বাতি জ্বালানো দেখতে পেয়ে বৃদ্ধাকে ডাকাডাকি করেন। এ সময় কোনো সারাশব্দ না পেয়ে ঘরের কাছে গিয়ে সামনের দরজা বন্ধ পান, পরে পেছনের দরজা খোলা দেখে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের মেঝেতে বৃদ্ধার জবাই করা রক্তাক্ত মরদেহ পরে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি ওই বৃদ্ধার নাতি আমিনুল ইসলামকে ফোন দেন। আমিনুল ইসলাম এসে পুলিশে খবর দেন।
বৃদ্ধার নাতি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাকে বাড়ি থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, দাদিকে গলা কেটে মেরে ফেলেছে। আমি এসে দেখি পেছনের দরজা খোলা মাঝের ঘরে গলাকাটা অবস্থায় দাদি পড়ে আছেন। এরপর পুলিশে ফোন দিই। পরে সামনের রুমের জানালা কাটা দেখতে পাই। আমার ধারণা, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দাদিকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা যায়, নিহত রোকেয়া বেগমের স্বামী মোক্তার হাওলাদারের মৃত্যুর পর ওই বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। তার দুই ছেলে বড় ছেলে লিটন হাওলাদার একই এলাকায় আলাদা বাড়িতে থাকেন। ছোট ছেলে মহসিন বিদেশে থাকেন। মেয়ে মাহফুজা আক্তার থাকেন স্বামীর বাড়িতে। নিহত রোকেয়া বেগমের ছেলে লিটন হাওলাদার বলেন, আমাদের একই এলাকার রুমান হাওলাদারের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। তারা আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। তবে এ ছাড়া আমাদের কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না।
এ বিষয়ে ?পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে গলাকাটা অবস্থায় রোকেয়া বেগম নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ দেখতে পাই। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
পিরোজপুরে নিজ ঘর থেকে রোকেয়া বেগম (৭৫) নামে এক বৃদ্ধার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ। নিহত রোকেয়া বেগম পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামের মো. মোক্তার হাওলাদারের স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল ইসলাম।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ভুক্তভোগী বৃদ্ধার চাচাতো দেবরের স্ত্রী হাওয়া বেগম ঘরের বাইরের বাতি জ্বালানো দেখতে পেয়ে বৃদ্ধাকে ডাকাডাকি করেন। এ সময় কোনো সারাশব্দ না পেয়ে ঘরের কাছে গিয়ে সামনের দরজা বন্ধ পান, পরে পেছনের দরজা খোলা দেখে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের মেঝেতে বৃদ্ধার জবাই করা রক্তাক্ত মরদেহ পরে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি ওই বৃদ্ধার নাতি আমিনুল ইসলামকে ফোন দেন। আমিনুল ইসলাম এসে পুলিশে খবর দেন।
বৃদ্ধার নাতি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাকে বাড়ি থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, দাদিকে গলা কেটে মেরে ফেলেছে। আমি এসে দেখি পেছনের দরজা খোলা মাঝের ঘরে গলাকাটা অবস্থায় দাদি পড়ে আছেন। এরপর পুলিশে ফোন দিই। পরে সামনের রুমের জানালা কাটা দেখতে পাই। আমার ধারণা, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দাদিকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা যায়, নিহত রোকেয়া বেগমের স্বামী মোক্তার হাওলাদারের মৃত্যুর পর ওই বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। তার দুই ছেলে বড় ছেলে লিটন হাওলাদার একই এলাকায় আলাদা বাড়িতে থাকেন। ছোট ছেলে মহসিন বিদেশে থাকেন। মেয়ে মাহফুজা আক্তার থাকেন স্বামীর বাড়িতে। নিহত রোকেয়া বেগমের ছেলে লিটন হাওলাদার বলেন, আমাদের একই এলাকার রুমান হাওলাদারের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। তারা আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। তবে এ ছাড়া আমাদের কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না।
এ বিষয়ে ?পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে গলাকাটা অবস্থায় রোকেয়া বেগম নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ দেখতে পাই। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।