alt

সারাদেশ

গোপালগঞ্জে ‘ঢালা’ মামলা ও গ্রেপ্তার ‘পুরোনো বন্দোবস্ত’ ফিরিয়ে আনছে, ১০ নাগরিকের বিবৃতি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি—এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের তদন্তে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি না রাখার দাবি জানিয়েছেন দেশের ১০ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

শনিবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ওই ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ফলে তদন্তে এসব বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব তদন্তের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

বিবৃতিতে তারা ‘ঢালাও’ মামলা ও গ্রেপ্তারেরও সমালোচনা করেন। এসব ঘটনাকে তারা ‘পুরনো বন্দোবস্তে’ ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত বলেও মন্তব্য করেন।

নাগরিকদের পক্ষ থেকে বিবৃতিটি পাঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। এতে স্বাক্ষর করেন—আলোকচিত্রী শহীদুল আলম, সাংবাদিক তাসনিম খলিল, শিল্পী বীথি ঘোষ, লেখক ফিরোজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, রুশাদ ফরিদী, আইনজীবী সারা হোসেন, মানজুর আল মতিন ও অধিকারকর্মী নাফিউল আলম সুপ্ত।

বিবৃতিতে বলা হয়, এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন, শিশুসহ গ্রেপ্তার হন প্রায় ৩০০ জন। একইসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে পুরো গোপালগঞ্জবাসীর ওপর বিপর্যয়কর অবরোধমূলক পরিস্থিতির হুমকি তৈরি হয়।

“এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনার জন্য মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ সফর করি,” বিবৃতিতে জানানো হয়।

তারা জানান, সফরে নানা পক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সংঘর্ষ-সংশ্লিষ্ট স্থান পরিদর্শন করেছেন।

বিবৃতিতে উল্লেখযোগ্য আটটি দাবি ও সুপারিশ হলো:

১. দেশের যেকোনো জেলায় সভা-সমাবেশের অধিকার সব রাজনৈতিক দলের আছে। এনসিপির সমাবেশে হামলার জন্য দায়ীদের বিচারে আনতে হবে এবং নিরীহ কেউ যেন ক্ষতির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

২. উসকানিমূলক বক্তব্য, ভিডিও ও পোস্ট সংঘাত বাড়িয়েছে। এনসিপি নেতারা পরিস্থিতির গুরুত্ব না বোঝায় এবং দায়িত্বহীন মন্তব্য না ঠেকানোয় সংকট ঘনীভূত হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের উচিত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এড়িয়ে চলা।

৩. সন্ত্রাস দমন আইনে ঢালাও মামলা, গ্রেপ্তার, এমনকি শিশুদের গ্রেপ্তার পুরনো দমননীতিতে ফিরে যাওয়ার লক্ষণ। সবাইকে, বিশেষ করে শিশুদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. প্রশাসনের প্রস্তুতি ছিল দুর্বল। গুলিবর্ষণ ছাড়াও হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করা যেত। প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা নেই। নিরপেক্ষ তদন্ত ও দ্রুত জনসমক্ষে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানানো হয়।

৫. যেহেতু ঘটনার সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাই তদন্ত কমিশনে তাদের না রাখার দাবি জানানো হয়। অভিযুক্ত বাহিনী নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে না।

৬. গোপালগঞ্জে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও পলাতক নেতাদের অবস্থানের বিষয়ে গুজব ছড়ালেও প্রতিশোধ নয়, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই হওয়া উচিত আকাঙ্ক্ষিত প্রতিফলন।

৭. মানবাধিকার কমিশনের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আইন সংশোধন করে এ প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার দাবি জানানো হয়।

৮. গোপালগঞ্জের সংঘর্ষে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। যেন কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার না হন এবং শিশুদের অধিকার নিশ্চিত হয়। সরকারকে প্ররোচনার বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

ছবি

কক্সবাজারে পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষায় জবি প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

ছবি

বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্ভোগে পড়ে রোগী-চিকিৎসক

শেরপুরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত

ছবি

বারবাকিয়ার সামাজিক বনায়নের ৩০ হাজার গাছ লুট, আতঙ্কে উপকারভোগীরা

ছবি

সাজেকে ধর্ষকদের বিচার দাবিতে লাঠি-ঝাড়– মিছিল

ছবি

দেহ ও মনের চাহিদায় জবা

সখীপুরে অনুপস্থিত থেকেও বেতন নিচ্ছেন শিক্ষক দম্পতি

ছবি

১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার, বনে অবমুক্ত

সাপের কামড়ে প্রাণ গেল যুবকের

পিরোজপুরে নিজ ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা মরদেহ

ছবি

সাদুল্লাপুরে ধর্ষককে গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

রাজশাহীতে মাদক ব্যবসায়ী আটক

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কালো ব্যাজ ধারণ

ছবি

দামুড়হুদার কচুরিপানার দখলে মাথাভাঙা নদী

সোনাইমুড়ীতে কামরুল হত্যা মামলার আসামি ঢাকায় আটক

সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা গোবিন্দগঞ্জে থ্রি-হুইলার উল্টে নিহত ১, আহত ১

ছবি

হবিগঞ্জে কলেজের খেলার মাঠ লিজ নিয়ে ধান চাষের প্রস্তুতি

চাটখিলে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

চাটমোহরে বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার

ছবি

চৌমুহনীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত

রাজশাহী নগরীতে বিভিন্ন অভিযোগে আটক ১৮

চুনারুঘাটে অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

অনলাইন জুয়ার ফাঁদে চুয়াডাঙ্গার স্কুল-কলেজপড়ুয়া যুবকরা

দুর্গাপুরে বৃক্ষরোপণে সেমিনার

মহেশপুর সীমান্তে ৬ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ উদ্ধার

মুরাদনগরে সেবা মেলা

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থহীন হয়ে যাবে -নাহিদ ইসলাম

ছবি

গোমদণ্ডীতে ট্রেনের হুক ভেঙে বগি বিচ্ছিন্ন, দেরি ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’-এর যাত্রা

দোয়ারাবাজার

মান্দায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে হেলপার নিহত, চালক আহত

ছবি

মাদারগঞ্জে বিএনপির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জগন্নাথপুরে টিকটকের জেরে যুবক নিহত

পটুয়াখালীতে ভুয়া জুলাই শহীদ শনাক্ত, গেজেট বাতিলের সুপারিশ

ছবি

কমলনগরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত মেঘনার উপকূল

চিতলমারীতে কাপড়ের দোকান ছাই

দাউদকান্দিতে ২৩ মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

tab

সারাদেশ

গোপালগঞ্জে ‘ঢালা’ মামলা ও গ্রেপ্তার ‘পুরোনো বন্দোবস্ত’ ফিরিয়ে আনছে, ১০ নাগরিকের বিবৃতি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি—এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের তদন্তে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি না রাখার দাবি জানিয়েছেন দেশের ১০ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

শনিবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ওই ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ফলে তদন্তে এসব বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব তদন্তের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

বিবৃতিতে তারা ‘ঢালাও’ মামলা ও গ্রেপ্তারেরও সমালোচনা করেন। এসব ঘটনাকে তারা ‘পুরনো বন্দোবস্তে’ ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত বলেও মন্তব্য করেন।

নাগরিকদের পক্ষ থেকে বিবৃতিটি পাঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। এতে স্বাক্ষর করেন—আলোকচিত্রী শহীদুল আলম, সাংবাদিক তাসনিম খলিল, শিল্পী বীথি ঘোষ, লেখক ফিরোজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, রুশাদ ফরিদী, আইনজীবী সারা হোসেন, মানজুর আল মতিন ও অধিকারকর্মী নাফিউল আলম সুপ্ত।

বিবৃতিতে বলা হয়, এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন, শিশুসহ গ্রেপ্তার হন প্রায় ৩০০ জন। একইসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে পুরো গোপালগঞ্জবাসীর ওপর বিপর্যয়কর অবরোধমূলক পরিস্থিতির হুমকি তৈরি হয়।

“এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনার জন্য মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ সফর করি,” বিবৃতিতে জানানো হয়।

তারা জানান, সফরে নানা পক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সংঘর্ষ-সংশ্লিষ্ট স্থান পরিদর্শন করেছেন।

বিবৃতিতে উল্লেখযোগ্য আটটি দাবি ও সুপারিশ হলো:

১. দেশের যেকোনো জেলায় সভা-সমাবেশের অধিকার সব রাজনৈতিক দলের আছে। এনসিপির সমাবেশে হামলার জন্য দায়ীদের বিচারে আনতে হবে এবং নিরীহ কেউ যেন ক্ষতির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

২. উসকানিমূলক বক্তব্য, ভিডিও ও পোস্ট সংঘাত বাড়িয়েছে। এনসিপি নেতারা পরিস্থিতির গুরুত্ব না বোঝায় এবং দায়িত্বহীন মন্তব্য না ঠেকানোয় সংকট ঘনীভূত হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের উচিত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এড়িয়ে চলা।

৩. সন্ত্রাস দমন আইনে ঢালাও মামলা, গ্রেপ্তার, এমনকি শিশুদের গ্রেপ্তার পুরনো দমননীতিতে ফিরে যাওয়ার লক্ষণ। সবাইকে, বিশেষ করে শিশুদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. প্রশাসনের প্রস্তুতি ছিল দুর্বল। গুলিবর্ষণ ছাড়াও হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করা যেত। প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা নেই। নিরপেক্ষ তদন্ত ও দ্রুত জনসমক্ষে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানানো হয়।

৫. যেহেতু ঘটনার সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাই তদন্ত কমিশনে তাদের না রাখার দাবি জানানো হয়। অভিযুক্ত বাহিনী নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে না।

৬. গোপালগঞ্জে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও পলাতক নেতাদের অবস্থানের বিষয়ে গুজব ছড়ালেও প্রতিশোধ নয়, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই হওয়া উচিত আকাঙ্ক্ষিত প্রতিফলন।

৭. মানবাধিকার কমিশনের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আইন সংশোধন করে এ প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার দাবি জানানো হয়।

৮. গোপালগঞ্জের সংঘর্ষে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। যেন কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার না হন এবং শিশুদের অধিকার নিশ্চিত হয়। সরকারকে প্ররোচনার বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

back to top