ফাইল ছবি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে সেন্ট মার্টিন এবং শাহপরীর দ্বীপে অস্বাভাবিক জোয়ার দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে প্রবল জোয়ারের পানিতে শতাধিক বসতবাড়ি ও চাষের জমি প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাজার ও রিসোর্ট।
চার দিন ধরে সেন্ট মার্টিনের সঙ্গে টেকনাফের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে, ফলে দ্বীপে খাদ্য ও নিত্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
পানি এখন ঘরের ভিতর
সেন্ট মার্টিনের ইউপি সদস্য ছৈয়দ আলম বলেন, “জোয়ারের লবণাক্ত পানি প্রতিদিনই লোকালয়ে ঢুকছে। প্রতিরক্ষাবাঁধ নেই বললেই চলে। মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।”
দ্বীপের পরিবেশ কর্মী মোহাম্মদ আজিজ বলেন, “দক্ষিণ পাড়া, মাঝরপাড়া ও ডেইলপাড়ার ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। খেতের বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্ত।”
স্থানীয় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জানান, নৌপথ বন্ধ থাকায় খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। “চাল, ডাল, সবকিছুই ফুরিয়ে যাচ্ছে। আগামী এক–দুই দিনের মধ্যে সংকট চরমে পৌঁছাবে।”
শাহপরীর দ্বীপে বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা
টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। বেড়িবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ায় জোয়ারের পানি গ্রামে ঢুকছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “১৯৯১ সালের পর থেকে এখনো পর্যন্ত বাঁধ সঠিকভাবে সংস্কার হয়নি। নতুন করে যে বাঁধ হয়েছে, সেটাও দুর্বল। গত তিন দিন ধরে সেখান দিয়েই পানি ঢুকছে।”
প্রধান শিক্ষক কলিম উল্লাহ বলেন, “দ্রুত বাঁধ মেরামত না হলে ভবিষ্যতে বড় দুর্যোগে দ্বীপটিকে আর রক্ষা করা সম্ভব হবে না।”
ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান দাবি করেন, অস্থায়ীভাবে বাঁধে কাজ করায় এখন সেই অংশ দুর্বল হয়ে ধসে পড়ছে।
টেকনাফের ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্বীপের মানুষের পাশে আছি, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, “ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত মেরামত কাজ শুরুর প্রস্তুতি চলছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিবছর বর্ষার সময়ে তারা একই ধরনের দুর্ভোগের মুখে পড়েন। কিন্তু কার্যকর কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ফাইল ছবি
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে সেন্ট মার্টিন এবং শাহপরীর দ্বীপে অস্বাভাবিক জোয়ার দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে প্রবল জোয়ারের পানিতে শতাধিক বসতবাড়ি ও চাষের জমি প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাজার ও রিসোর্ট।
চার দিন ধরে সেন্ট মার্টিনের সঙ্গে টেকনাফের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে, ফলে দ্বীপে খাদ্য ও নিত্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
পানি এখন ঘরের ভিতর
সেন্ট মার্টিনের ইউপি সদস্য ছৈয়দ আলম বলেন, “জোয়ারের লবণাক্ত পানি প্রতিদিনই লোকালয়ে ঢুকছে। প্রতিরক্ষাবাঁধ নেই বললেই চলে। মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।”
দ্বীপের পরিবেশ কর্মী মোহাম্মদ আজিজ বলেন, “দক্ষিণ পাড়া, মাঝরপাড়া ও ডেইলপাড়ার ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। খেতের বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্ত।”
স্থানীয় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জানান, নৌপথ বন্ধ থাকায় খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। “চাল, ডাল, সবকিছুই ফুরিয়ে যাচ্ছে। আগামী এক–দুই দিনের মধ্যে সংকট চরমে পৌঁছাবে।”
শাহপরীর দ্বীপে বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা
টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। বেড়িবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ায় জোয়ারের পানি গ্রামে ঢুকছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “১৯৯১ সালের পর থেকে এখনো পর্যন্ত বাঁধ সঠিকভাবে সংস্কার হয়নি। নতুন করে যে বাঁধ হয়েছে, সেটাও দুর্বল। গত তিন দিন ধরে সেখান দিয়েই পানি ঢুকছে।”
প্রধান শিক্ষক কলিম উল্লাহ বলেন, “দ্রুত বাঁধ মেরামত না হলে ভবিষ্যতে বড় দুর্যোগে দ্বীপটিকে আর রক্ষা করা সম্ভব হবে না।”
ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান দাবি করেন, অস্থায়ীভাবে বাঁধে কাজ করায় এখন সেই অংশ দুর্বল হয়ে ধসে পড়ছে।
টেকনাফের ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্বীপের মানুষের পাশে আছি, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, “ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত মেরামত কাজ শুরুর প্রস্তুতি চলছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিবছর বর্ষার সময়ে তারা একই ধরনের দুর্ভোগের মুখে পড়েন। কিন্তু কার্যকর কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।