মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নবনির্মিত সাব-রেজিস্ট্রি ভবনে ফাটল, বৃষ্টিতে ঝরে পানি শিরোনামে দৈনিক সংবাদ পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশনের। ভবনটির ফাটল ধামাচাপা দিতে চলছে পুনর্সংস্কারের কাজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবরেজিস্টার মো. মামুন বাবর মিরোজ। রবিবার(২৭-০৭-২০২৫) দুপুরে সরেজমিনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা দেখতে পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে রাজমিস্ত্রি দিয়ে পুরোদমে চলছে পুনর্সংস্কারের কাজ। নতুন এ ভবনটির ফাটলের স্থানগুলোতে বালু সিমেন্ট দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্যমান হচ্ছে জোড়া তালি। সাব-রেজিস্ট্রার মামুন বাবর জানান, বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে অফিসিয়াল কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটলের সৃষ্টি হওয়ায় স্টাফরা রয়েছে আতঙ্কে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশন বৈদ্যুতিক লাইনটি নির্মাণের ক্ষেত্রেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে। এতে ওই লাইন পুনর্নির্মাণ করতে আমাকে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখন বৃষ্টিতে ছাদ চুইয়ে পানি না পড়লেই বুঝা যাবে সংস্কার কাজটি ঠিকমতো হয়েছে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভবনটির কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার,কিউরিং ঠিক মতো না করা, মোটকথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে এমন দূরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এটা মেনে নেয়া যায় না, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ভবনটির নির্মাণ কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা পিডব্লিওডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, গত ১৯ জুলাই থেকে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে, আগামী দু’তিনদিনের মধ্যে শেষ হলে অফিস থেকে দেখতে আসবেন।
জয়া কনস্ট্রাকশনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. রবিন সরকার বলেন, কেমিক্যাল দিয়ে সংস্কার কাজ শেষে কিউরিং করে শক্ত হলে পরে রং দিয়ে ঠিক করে দেওয়া হবে ।
এ ব্যাপারে জয়া কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো. জুবায়ের রহমান বলেন, ভবনটির যেখানে যেখানে ত্রুটি ধরা পড়েছে আমরা সেখানে সংস্কার কাজ করছি। শীঘ্রই শেষ করতে পারব। যেভাবে করা হচ্ছে আশা করছি আর কোনো সমস্যা হবে না। কাটা স্থানগুলোয় কাজ শেষে রং করে দেব।
উল্লেখ্য, চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন এ ভবনটিতে গত ২ মার্চ থেকে অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়। পিডব্লিওডির তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশন ৩৩ শতাংশ জমিতে ১৪ মাস সময়ে দু’তলা ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। ভবন বুঝিয়ে দেয়ার পাঁচ মাস না যেতেই নির্মাণ ত্রুটি ধরা পড়ে। দেয়ালের একাধিক স্থানে দেখা দেয় ফাটল, বৃষ্টিতে ছাদ থেকে চুইয়ে পড়ে পানি।
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নবনির্মিত সাব-রেজিস্ট্রি ভবনে ফাটল, বৃষ্টিতে ঝরে পানি শিরোনামে দৈনিক সংবাদ পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশনের। ভবনটির ফাটল ধামাচাপা দিতে চলছে পুনর্সংস্কারের কাজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবরেজিস্টার মো. মামুন বাবর মিরোজ। রবিবার(২৭-০৭-২০২৫) দুপুরে সরেজমিনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা দেখতে পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে রাজমিস্ত্রি দিয়ে পুরোদমে চলছে পুনর্সংস্কারের কাজ। নতুন এ ভবনটির ফাটলের স্থানগুলোতে বালু সিমেন্ট দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্যমান হচ্ছে জোড়া তালি। সাব-রেজিস্ট্রার মামুন বাবর জানান, বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে অফিসিয়াল কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটলের সৃষ্টি হওয়ায় স্টাফরা রয়েছে আতঙ্কে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশন বৈদ্যুতিক লাইনটি নির্মাণের ক্ষেত্রেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে। এতে ওই লাইন পুনর্নির্মাণ করতে আমাকে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখন বৃষ্টিতে ছাদ চুইয়ে পানি না পড়লেই বুঝা যাবে সংস্কার কাজটি ঠিকমতো হয়েছে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভবনটির কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার,কিউরিং ঠিক মতো না করা, মোটকথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে এমন দূরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এটা মেনে নেয়া যায় না, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ভবনটির নির্মাণ কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা পিডব্লিওডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, গত ১৯ জুলাই থেকে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে, আগামী দু’তিনদিনের মধ্যে শেষ হলে অফিস থেকে দেখতে আসবেন।
জয়া কনস্ট্রাকশনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. রবিন সরকার বলেন, কেমিক্যাল দিয়ে সংস্কার কাজ শেষে কিউরিং করে শক্ত হলে পরে রং দিয়ে ঠিক করে দেওয়া হবে ।
এ ব্যাপারে জয়া কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো. জুবায়ের রহমান বলেন, ভবনটির যেখানে যেখানে ত্রুটি ধরা পড়েছে আমরা সেখানে সংস্কার কাজ করছি। শীঘ্রই শেষ করতে পারব। যেভাবে করা হচ্ছে আশা করছি আর কোনো সমস্যা হবে না। কাটা স্থানগুলোয় কাজ শেষে রং করে দেব।
উল্লেখ্য, চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন এ ভবনটিতে গত ২ মার্চ থেকে অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়। পিডব্লিওডির তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশন ৩৩ শতাংশ জমিতে ১৪ মাস সময়ে দু’তলা ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। ভবন বুঝিয়ে দেয়ার পাঁচ মাস না যেতেই নির্মাণ ত্রুটি ধরা পড়ে। দেয়ালের একাধিক স্থানে দেখা দেয় ফাটল, বৃষ্টিতে ছাদ থেকে চুইয়ে পড়ে পানি।