alt

সারাদেশ

কালীগঞ্জে কয়েক হাজার বিঘা জমি পানির নিচে, আমন রোপণ অনিশ্চিত

প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : নিষ্কাশনের অভাবে তিন গ্রামের জমি জলাবদ্ধ -সংবাদ

কৃষি প্রধান এলাকা। কিন্তু তাদের ফসলি মাঠটি অপেক্ষাকৃত নিচু। যেখানে একটু ভারি বৃষ্টি হলেই সব ফসলিখেত চলে যায় পানির নীচে। আর বর্ষা মৌসুমে যে বছর লাগাতর বৃষ্টি হয় সে বছর আমন রোপণের আর কোন সুযোগ থাকে না তাদের। চলতি বছরেও জমে থাকা অতিরিক্ত পানির কারণে আমন রোপণ একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থা বিরাজ করছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের রাখালগাছি ইউনিয়নের নরদহি, মোল্যাডাঙ্গা ও বগেরগাছি তিন গ্রামের মাঠে। পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকায় এটি তাদের দীর্ঘ দিনের সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিস্তর এলাকার কৃষকদের ঘাড়ে জেকে বসা এ সমস্যা সমাধানে বিশাল মাঠের পানি মোল্যাডাঙ্গা গ্রামের মধ্যদিয়ে সরু খাল খনন করে পাশর্^বর্তী মর্জাদ (সাঁকো) বাওড়ে দেয়ার জন্য জনপ্রতিনিধি ও সরকারী দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। বরং দিন দিন এলাকার হাজারো কৃষকের কয়েক হাজার বিঘা জমি অনাবাদির শঙ্কায় শুধু কপালের ভাজ বেড়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের নরদহী মাঠে গেলে দেখা যায় নরদহী, মোল্যাডাঙ্গা , বগেরগাছি এ তিন গ্রামের মাঝখানের যে বিস্তীর্ণ মাঠ সেখানে পানিতে থৈ থৈ করছে। পানির ঢেউ নদীর মত একপাশ থেকে অপর পাশে আছড়ে পড়ছে। যতদূর দৃষ্টি যাচ্ছে শুধু পানি আর পানি। এরমধ্যে কার জমি কোথায় তা কৃষকেরা নিজেরাও চিনতে পারছেন না। এছাড়াও মাঠটির উপরিভাগে কৃষকেরা বেশ কিছু কৃষক পুকুর কেটে মাছ চাষ করছেন। সেগুলোর বেশিরভাগই ডুবে মাঠের পানির সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে।

এলাকার একাধিক কৃষক জানান, তাদের তিন গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠের হাজারো কৃষকের কয়েক হাজার বিঘা আবাদি জমি এখন পানির নিচে। ফলে চলতি আমন রোপণের মৌসুমে তারা আমন রোপন করতে পারছেন না। তারা জানান, এ মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় যে বছর ভারী বর্ষা হয় সে বছর তাদের মাঠের ফসলের ভরাক্ষেতও নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হন।

ভুক্তভোগী নরদহী গ্রামের কৃষক কামরুল শেখ জানান, এই মাঠে তার ৮ বিঘা জমি আছে। মাঠটিতে জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘদিনের। তারা ছোটবেলায় ৩০-৩৫ বছর আগে দেখেছেন নরদহী, মোল্যাডাঙ্গা, বগেরগাছির এ তিন গ্রামের মাঠের মাঝখানে গভীর বিল ছিল। তখন বিলের তলানীর জমিগুলোতে পানির জন্য চাষাবাদ করা কঠিন হলেও পাড়ের জমিগুলোতে চাষ হতো। কেননা তখন উপরি মাঠের পানি বিলের গভীর অংশে দ্রুত চলে যেতো। কিন্ত দিন দিন মাটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিলের তলানীতে সে রকমের আর গভীরতা নেই। আবার পানি নিষ্কাশনেরও কোন ব্যবস্থা নেই। কাজেই এখন একটু ভারি বর্ষা হলেই বিলের পানি ফেঁপে উপরের দিকে উঠে আসে। তখন পানিতে গ্রাস করে সব ফসলি ভরাক্ষেত। আর যে বছর বর্ষার পানি কম হয় সে বছর বেশিরভাগ ক্ষেতেই বিশেষ করে ধানচাষ করা সম্ভব হয়। কিন্ত এ বছর বর্ষার প্রথম থেকে লাগাতর ভারি বৃষ্টির পানির কারনে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে আমন রোপন একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

কৃষক কওছার আলী জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই মাঠের পানি জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছেন। ভারী বৃষ্টির ওপর তাদের অঞ্চলের হাজারো কৃষকের হাসি কান্না নির্ভর করে। কেননা যে বছর মাঠে তাদের আবাদ হয় না সে বছর তাদের পাশাপাশি তিন গ্রামের কৃষক পরিবারগুলোতে ঘরে ঘরে অভাব একেবারে জেঁকে বসে। দরকার স্থায়ীভাবে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা।

নরদহী গ্রামের কৃষক শুকুর আলী বলেন, মাঠটিতে তার ১০ বিঘা জমি আছে। এই মাঠের জমি ছাড়া তাদের অন্য কোথাও জমি নেই। এই জমির উপরেই তাদের সংসার চালাতে হয়। এ বছর বর্ষার প্রথম থেকে লাগাতর বর্ষা হয়েছে। যে কারনে তার সব জমি এখন পানির নিচে। বর্ষা মৌসুম সবেমাত্র শুরু। সামনের দিনগুলোতে আরও বৃষ্টি হবে। ফলে এ বছর একমুঠো আমন ধানও পাবেন না। কি করে বছরটিতে সংসার চালাবেন সে চিন্তায় পড়েছেন। এই কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, এই মাঠের মাত্র দেড় কিলোমিটার দুরে মর্জাদ (সাঁকো) বাওড়। এ মাঠ থেকে সাঁকোবাজারের খালের সঙ্গে সংযোগ খাল করে দিলে হাজার কৃষকের কয়েক হাজার বিঘা জমি আবাদযোগ্য হয়ে যাবে। স্থায়ীভাবে দুর হবে তাদের কষ্ট। এটি বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েছেন কিন্ত তাদের কথা কেউ শোনেনি।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকার কৃষকদের জন্য এটি অবশ্যই কষ্টের ঘটনা। কৃষকেরা লিখিত আবেদন দিলে অবশ্যই জনস্বার্থে মাঠের পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিবেন।

ছবি

চাঁদাবাজির অভিযোগের পর এনসিপি নেতার অনুসারীদের হামলায় সাবেক বৈছাআ নেতা আহত

ছবি

টঙ্গীতে ড্রেনে নিঁখোজ নারীর লাশ ৩৭ ঘন্টা পর উদ্ধার

ছবি

গাজীপুর প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিত

ছবি

সৈকতে স্ত্রীকে প্রকাশ্যে মারধর, ভিডিও ভাইরাল, স্বামী গ্রেপ্তার

ছবি

কালিয়াকৈরে ব্যবসায়ী হত্যায় আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে মামলা, ৩ জন গ্রেপ্তার

জাফলংয়ে অভিযান: পাথরবোঝাই ৫০ নৌকা ধ্বংস, ৫ ট্রাক বালু জব্দ

ছবি

গাজীপুরে সরকারি জমি দখলমুক্ত, ৪.৬০ একর জমি উদ্ধার

বাগেরহাটে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৮ জন গ্রেপ্তার

ছবি

ভুয়া পরিচয়ে কর্মকর্তাদের হুমকি, ওসমানীনগরে যুবককে দুই মাসের কারাদণ্ড

তারাগঞ্জে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন ইউএনও

ছবি

সাতক্ষীরায় ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর জায়গায় হচ্ছে কাঠের সেতু

উচ্চকক্ষ ভোটের অনুপাতে পিআর অনুসারে হতে হবে নাহিদ ইসলাম

কলমাকান্দায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক কারাগারে

ছবি

মুন্সিগঞ্জ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলি, প্রাণ গেল শুটার মান্নান

ছবি

লক্ষ্মীপুরে মেঘনার জোয়ারে পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ

হবিগঞ্জে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ দেবরের বিরুদ্ধে

কাঁঠালিয়ায় সরকারি জমি দখল করে আওয়ামী লীগ নেতার ঘর নির্মাণ

ছবি

কালীগঞ্জ ডাকঘরে সেবা নয়, জলাবদ্ধতা আর দুর্ভোগ!

নিম্নচাপের প্রভাবে দশমিনার চরাঞ্চল বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত

জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য গ্রাম

ছবি

চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতু উদ্বোধন আবারও পেছাল

রেহানাপুত্র ববির বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের মামলা

ছবি

দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত, চলাচল কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ

ছবি

মানিকগঞ্জে পদ্মা নদীতে ব্যাপক ভাঙন, দিশাহারা লোকজন

ছবি

দশমিনায় চরাঞ্চলে বেড়িবাঁধ না থাকায় ভোগান্তি

ভরা বর্ষায়ও পানি নেই হাওরে, মিলছে না স্বাদু পানির মাছ

মুন্সীগঞ্জের কারাবন্দী আ’লীগ নেতার হাসপাতালে মৃত্যু

ছবি

শহীদ সৈনিক মোকমেদ আলীর কবর আজও ভারতের চল্লিশদ্রোণ গ্রামে

সান্তাহারে ট্রেনে কাটা পড়ে বাইক আরোহীর মৃত্যু

নড়াইলে বিএনপি নেতাদের বাড়িঘর-অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

ছবি

মোরেলগঞ্জে একটি চক্রের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী, প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

ছবি

সুগন্ধা পয়েন্টে নারী নির্যাতনের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার, নারী পুলিশ হেফাজতে

কুষ্টিয়ায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

ছবি

দেড় যুগেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজে

ছবি

কাজিপুরে কাঁচা রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ

নোয়াখালীতে পুকুরে জাল ফেলে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

tab

সারাদেশ

কালীগঞ্জে কয়েক হাজার বিঘা জমি পানির নিচে, আমন রোপণ অনিশ্চিত

প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : নিষ্কাশনের অভাবে তিন গ্রামের জমি জলাবদ্ধ -সংবাদ

রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫

কৃষি প্রধান এলাকা। কিন্তু তাদের ফসলি মাঠটি অপেক্ষাকৃত নিচু। যেখানে একটু ভারি বৃষ্টি হলেই সব ফসলিখেত চলে যায় পানির নীচে। আর বর্ষা মৌসুমে যে বছর লাগাতর বৃষ্টি হয় সে বছর আমন রোপণের আর কোন সুযোগ থাকে না তাদের। চলতি বছরেও জমে থাকা অতিরিক্ত পানির কারণে আমন রোপণ একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থা বিরাজ করছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের রাখালগাছি ইউনিয়নের নরদহি, মোল্যাডাঙ্গা ও বগেরগাছি তিন গ্রামের মাঠে। পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকায় এটি তাদের দীর্ঘ দিনের সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিস্তর এলাকার কৃষকদের ঘাড়ে জেকে বসা এ সমস্যা সমাধানে বিশাল মাঠের পানি মোল্যাডাঙ্গা গ্রামের মধ্যদিয়ে সরু খাল খনন করে পাশর্^বর্তী মর্জাদ (সাঁকো) বাওড়ে দেয়ার জন্য জনপ্রতিনিধি ও সরকারী দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। বরং দিন দিন এলাকার হাজারো কৃষকের কয়েক হাজার বিঘা জমি অনাবাদির শঙ্কায় শুধু কপালের ভাজ বেড়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের নরদহী মাঠে গেলে দেখা যায় নরদহী, মোল্যাডাঙ্গা , বগেরগাছি এ তিন গ্রামের মাঝখানের যে বিস্তীর্ণ মাঠ সেখানে পানিতে থৈ থৈ করছে। পানির ঢেউ নদীর মত একপাশ থেকে অপর পাশে আছড়ে পড়ছে। যতদূর দৃষ্টি যাচ্ছে শুধু পানি আর পানি। এরমধ্যে কার জমি কোথায় তা কৃষকেরা নিজেরাও চিনতে পারছেন না। এছাড়াও মাঠটির উপরিভাগে কৃষকেরা বেশ কিছু কৃষক পুকুর কেটে মাছ চাষ করছেন। সেগুলোর বেশিরভাগই ডুবে মাঠের পানির সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে।

এলাকার একাধিক কৃষক জানান, তাদের তিন গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠের হাজারো কৃষকের কয়েক হাজার বিঘা আবাদি জমি এখন পানির নিচে। ফলে চলতি আমন রোপণের মৌসুমে তারা আমন রোপন করতে পারছেন না। তারা জানান, এ মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় যে বছর ভারী বর্ষা হয় সে বছর তাদের মাঠের ফসলের ভরাক্ষেতও নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হন।

ভুক্তভোগী নরদহী গ্রামের কৃষক কামরুল শেখ জানান, এই মাঠে তার ৮ বিঘা জমি আছে। মাঠটিতে জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘদিনের। তারা ছোটবেলায় ৩০-৩৫ বছর আগে দেখেছেন নরদহী, মোল্যাডাঙ্গা, বগেরগাছির এ তিন গ্রামের মাঠের মাঝখানে গভীর বিল ছিল। তখন বিলের তলানীর জমিগুলোতে পানির জন্য চাষাবাদ করা কঠিন হলেও পাড়ের জমিগুলোতে চাষ হতো। কেননা তখন উপরি মাঠের পানি বিলের গভীর অংশে দ্রুত চলে যেতো। কিন্ত দিন দিন মাটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিলের তলানীতে সে রকমের আর গভীরতা নেই। আবার পানি নিষ্কাশনেরও কোন ব্যবস্থা নেই। কাজেই এখন একটু ভারি বর্ষা হলেই বিলের পানি ফেঁপে উপরের দিকে উঠে আসে। তখন পানিতে গ্রাস করে সব ফসলি ভরাক্ষেত। আর যে বছর বর্ষার পানি কম হয় সে বছর বেশিরভাগ ক্ষেতেই বিশেষ করে ধানচাষ করা সম্ভব হয়। কিন্ত এ বছর বর্ষার প্রথম থেকে লাগাতর ভারি বৃষ্টির পানির কারনে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে আমন রোপন একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

কৃষক কওছার আলী জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই মাঠের পানি জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছেন। ভারী বৃষ্টির ওপর তাদের অঞ্চলের হাজারো কৃষকের হাসি কান্না নির্ভর করে। কেননা যে বছর মাঠে তাদের আবাদ হয় না সে বছর তাদের পাশাপাশি তিন গ্রামের কৃষক পরিবারগুলোতে ঘরে ঘরে অভাব একেবারে জেঁকে বসে। দরকার স্থায়ীভাবে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা।

নরদহী গ্রামের কৃষক শুকুর আলী বলেন, মাঠটিতে তার ১০ বিঘা জমি আছে। এই মাঠের জমি ছাড়া তাদের অন্য কোথাও জমি নেই। এই জমির উপরেই তাদের সংসার চালাতে হয়। এ বছর বর্ষার প্রথম থেকে লাগাতর বর্ষা হয়েছে। যে কারনে তার সব জমি এখন পানির নিচে। বর্ষা মৌসুম সবেমাত্র শুরু। সামনের দিনগুলোতে আরও বৃষ্টি হবে। ফলে এ বছর একমুঠো আমন ধানও পাবেন না। কি করে বছরটিতে সংসার চালাবেন সে চিন্তায় পড়েছেন। এই কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, এই মাঠের মাত্র দেড় কিলোমিটার দুরে মর্জাদ (সাঁকো) বাওড়। এ মাঠ থেকে সাঁকোবাজারের খালের সঙ্গে সংযোগ খাল করে দিলে হাজার কৃষকের কয়েক হাজার বিঘা জমি আবাদযোগ্য হয়ে যাবে। স্থায়ীভাবে দুর হবে তাদের কষ্ট। এটি বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েছেন কিন্ত তাদের কথা কেউ শোনেনি।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকার কৃষকদের জন্য এটি অবশ্যই কষ্টের ঘটনা। কৃষকেরা লিখিত আবেদন দিলে অবশ্যই জনস্বার্থে মাঠের পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিবেন।

back to top