ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার উত্তরগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ। প্রায় ৬/৭ বছর আগে শখের বসে একটি অ্যাভোকাডো গাছের বীজ বুনেছিলেন। আজ এ গাছে ধরেছে থোকা থোকা ফল। তা দেখতে ভিড় করছে স্থানীয়রা।
দেশের সর্বউত্তরের এই এলাকায় বিদেশি ফল অ্যাভোকাডোর ফলনে খুশি ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের অনেকেই। তাদের আগ্রহ জন্মেছে অ্যাভোকাডো চাষে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অন্যতম এ পুষ্টিকর ফলটির যেহেতু চাহিদা বাড়ছে, তাই বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ করাই যেতে পারে। একমত পোষণ করেছেন কৃষি কর্মকর্তারাও। তাদের ধারণা, কয়েক বছরের মধ্যে এটি বাণিজ্যিক আকার ধারণ করবে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টারে অ্যাভোকাডোর চারা সম্প্রসারণের কাজ চলমান। একসময় সারাদেশে এ ফলের চারা বিস্তার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।
রবিবার(২৭-০৭-২০২৫) রাণীশংকৈল উপজেলার উত্তরগাঁও গ্রামে সরেজমিনে একটি বাড়িতে দেখা মিলে এ অ্যাভোকাডো গাছের। এই একটি গাছে অর্ধশতাধিক ফল এসেছে। গাছটি ছোট আকারের হলেও এর ফলগুলো দেখতে অনেকটা পেয়ারার মতন। গাঢ় সবুজ বর্ণের। এর মধ্যে গাছটিতে কয়েক বছর থেকে ফল ধরছে। এবার বিশেষ যত্নে এ গাছের অর্ধশত ফল পাওয়া গেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এ, সি, ই ও কে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পটাসিয়াম, যাকলার চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া ১৮ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ৩৪ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। সেজন্য অন্যান্য ফলের তুলনায় এ ফলের মিষ্টতা কম। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সবচেয়ে উপযোগী ফল।
এ ছাড়া ফলটিতে যে পরিমাণে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে, যা শরীরে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টরেল কমায়। সেগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবেও শরীরে কাজ করে। পাশাপাশি এটি শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য একটি উৎকৃষ্ট মানের খাবার। শিশুদের পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে। যকৃৎকে সুরক্ষা দেয়। জন্ডিস প্রতিরোধে সহায়তা করে। গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে গর্ভপাত রোধ করে এবং স্বাভাবিক গর্ভধারণে সহায়ক হয়। সবারজন্য মানসিকচাপ, হতাশা দূরীকরণ, ক্ষুধা বৃদ্ধি, সুনিদ্রা নিশ্চিত করা এবং দেহের ক্ষতিকর দ্রব্যাদি প্রস্রাব ও মল আকারে বের করে দেহকে সুস্থ রাখতে এ ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একেকটা অ্যাভোকাডোর ওজন প্রায় ৩০০ থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশের কয়েকটি বাজারে বিদেশ থেকে এনে এ ফল বিক্রি হচ্ছে, যা প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। সেগুলো পুষ্টিগুণের কারণে উচ্চবিত্তদের কাছে জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।
এ ফলের ভেতরে বেশ বড় ডিম্বাকার বীজ থাকে। আহার্য অংশ মাখনের এত মগৃণ, হালকা মিষ্টি স্বাদের। পেঁপের এত কাঁচা-পাকা ফল, সবজি, ভর্তা, সালাদ, শরবতসহ বিভিন্নভাবে খাওয়ার সুবিধা আছে। টোস্টে মাখনের পরিবর্তে অ্যাভোকাডো ক্রিম দিয়ে খাওয়া, সালাদে, স্যান্ডুইচে মেয়নেজের পরিবর্তে অ্যাভোকাডোর ক্রিম দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত।
উত্তরগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ বলেন, ৬/৭ বছর পূর্বে শখের বসে আমেরিকায় থাকা শ্যালকের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন এ বীজ। আজ এ গাছে ধরেছে থোকা থোকা ফল, দেখতে ভিড় করছে স্থানীয়রা।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সহিদুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া ও মাটির গুনগতমান ঠিক থাকলে দেশের অনেক জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে এটি চাষ করা যাবে। আমরা এ অ্যাভোকাডো গাছের বীজ রোপণ করে মানুষের প্রোটিন, ভিটামিন এ, সি, ই ও পটাসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবো।
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার উত্তরগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ। প্রায় ৬/৭ বছর আগে শখের বসে একটি অ্যাভোকাডো গাছের বীজ বুনেছিলেন। আজ এ গাছে ধরেছে থোকা থোকা ফল। তা দেখতে ভিড় করছে স্থানীয়রা।
দেশের সর্বউত্তরের এই এলাকায় বিদেশি ফল অ্যাভোকাডোর ফলনে খুশি ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের অনেকেই। তাদের আগ্রহ জন্মেছে অ্যাভোকাডো চাষে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অন্যতম এ পুষ্টিকর ফলটির যেহেতু চাহিদা বাড়ছে, তাই বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ করাই যেতে পারে। একমত পোষণ করেছেন কৃষি কর্মকর্তারাও। তাদের ধারণা, কয়েক বছরের মধ্যে এটি বাণিজ্যিক আকার ধারণ করবে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টারে অ্যাভোকাডোর চারা সম্প্রসারণের কাজ চলমান। একসময় সারাদেশে এ ফলের চারা বিস্তার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।
রবিবার(২৭-০৭-২০২৫) রাণীশংকৈল উপজেলার উত্তরগাঁও গ্রামে সরেজমিনে একটি বাড়িতে দেখা মিলে এ অ্যাভোকাডো গাছের। এই একটি গাছে অর্ধশতাধিক ফল এসেছে। গাছটি ছোট আকারের হলেও এর ফলগুলো দেখতে অনেকটা পেয়ারার মতন। গাঢ় সবুজ বর্ণের। এর মধ্যে গাছটিতে কয়েক বছর থেকে ফল ধরছে। এবার বিশেষ যত্নে এ গাছের অর্ধশত ফল পাওয়া গেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এ, সি, ই ও কে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পটাসিয়াম, যাকলার চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া ১৮ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ৩৪ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। সেজন্য অন্যান্য ফলের তুলনায় এ ফলের মিষ্টতা কম। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সবচেয়ে উপযোগী ফল।
এ ছাড়া ফলটিতে যে পরিমাণে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে, যা শরীরে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টরেল কমায়। সেগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবেও শরীরে কাজ করে। পাশাপাশি এটি শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য একটি উৎকৃষ্ট মানের খাবার। শিশুদের পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে। যকৃৎকে সুরক্ষা দেয়। জন্ডিস প্রতিরোধে সহায়তা করে। গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে গর্ভপাত রোধ করে এবং স্বাভাবিক গর্ভধারণে সহায়ক হয়। সবারজন্য মানসিকচাপ, হতাশা দূরীকরণ, ক্ষুধা বৃদ্ধি, সুনিদ্রা নিশ্চিত করা এবং দেহের ক্ষতিকর দ্রব্যাদি প্রস্রাব ও মল আকারে বের করে দেহকে সুস্থ রাখতে এ ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একেকটা অ্যাভোকাডোর ওজন প্রায় ৩০০ থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশের কয়েকটি বাজারে বিদেশ থেকে এনে এ ফল বিক্রি হচ্ছে, যা প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। সেগুলো পুষ্টিগুণের কারণে উচ্চবিত্তদের কাছে জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।
এ ফলের ভেতরে বেশ বড় ডিম্বাকার বীজ থাকে। আহার্য অংশ মাখনের এত মগৃণ, হালকা মিষ্টি স্বাদের। পেঁপের এত কাঁচা-পাকা ফল, সবজি, ভর্তা, সালাদ, শরবতসহ বিভিন্নভাবে খাওয়ার সুবিধা আছে। টোস্টে মাখনের পরিবর্তে অ্যাভোকাডো ক্রিম দিয়ে খাওয়া, সালাদে, স্যান্ডুইচে মেয়নেজের পরিবর্তে অ্যাভোকাডোর ক্রিম দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত।
উত্তরগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ বলেন, ৬/৭ বছর পূর্বে শখের বসে আমেরিকায় থাকা শ্যালকের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন এ বীজ। আজ এ গাছে ধরেছে থোকা থোকা ফল, দেখতে ভিড় করছে স্থানীয়রা।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সহিদুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া ও মাটির গুনগতমান ঠিক থাকলে দেশের অনেক জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে এটি চাষ করা যাবে। আমরা এ অ্যাভোকাডো গাছের বীজ রোপণ করে মানুষের প্রোটিন, ভিটামিন এ, সি, ই ও পটাসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবো।