পুর্ব শত্রুতার জেরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের ভেতরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফজলে রাব্বি সুমন (২৫) নামে এক যুবক কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই ২০২৫) বেলা ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুমনের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার পখিয় গ্রামে। তার বাবার নাম বশির উদ্দিন। বর্তমানে মোহাম্মদপুর পাবনা হাউজ গলিতে থাকতো এবং সেখানে একটি হার্ডওয়ারের দোকানে কাজ করতো।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সুমন ও তাকে ছুরিকাঘাতকারী যুবক মুন্না পূর্বপরিচিত। তাদের দুইজনের নামেই মামলা রয়েছে। ছুরিকাঘাতের পর সুমনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।
নিহত সুমনের স্ত্রী মঞ্জুমা আক্তার জানান, শনিবার সুমন মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের ভিতরে গিয়েছিল বন্ধুদের সঙ্গে। সেখানে মুন্না নামের এক ছেলে সুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে সুমনের বন্ধুরা তাকে প্রথমে শিকদার মেডিকেলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মারা যায় সুমন। জানতে পেরেছি সুমনের কাছ থেকে একটি মোবাইল নিয়ে গেছে মুন্না।
তবে সুমনের বোন তানিয়া আক্তার বলেন, সকাল ১১টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের বিপরীত পাশে আমার বাসায় পরিবারসহ বেড়াতে আসে সুমন। আমি রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম, এর মধ্যে সে একটু ঘুরতে বের হয়। পরে খবর পাই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ঘটনার বর্ণনায় তানিয়া বলেন, ‘এক যুবক সুমনকে দেখে প্রথমে তার কাছে টাকা চায় ও পরে তার কাছে থাকা মোবাইল কেড়ে নিতে চায়। সুমন মোবাইল দিতে না চাইলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার ডান পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে স্বজন ও বন্ধুরা ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই যুবকের পায়ের রানে আঘাত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল আলীম বলেন, মুন্না নামে এক যুবক সুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। মুন্না ও সুমন পুর্ব পরিচিত। তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় একই সঙ্গে চলাফেরা করতো। দুইজনের নামেই আগে থানায় মামলা রয়েছে। আরও বিস্তারিত জানতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে আব্দুল আলীম।
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
পুর্ব শত্রুতার জেরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের ভেতরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফজলে রাব্বি সুমন (২৫) নামে এক যুবক কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই ২০২৫) বেলা ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুমনের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার পখিয় গ্রামে। তার বাবার নাম বশির উদ্দিন। বর্তমানে মোহাম্মদপুর পাবনা হাউজ গলিতে থাকতো এবং সেখানে একটি হার্ডওয়ারের দোকানে কাজ করতো।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সুমন ও তাকে ছুরিকাঘাতকারী যুবক মুন্না পূর্বপরিচিত। তাদের দুইজনের নামেই মামলা রয়েছে। ছুরিকাঘাতের পর সুমনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।
নিহত সুমনের স্ত্রী মঞ্জুমা আক্তার জানান, শনিবার সুমন মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের ভিতরে গিয়েছিল বন্ধুদের সঙ্গে। সেখানে মুন্না নামের এক ছেলে সুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে সুমনের বন্ধুরা তাকে প্রথমে শিকদার মেডিকেলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মারা যায় সুমন। জানতে পেরেছি সুমনের কাছ থেকে একটি মোবাইল নিয়ে গেছে মুন্না।
তবে সুমনের বোন তানিয়া আক্তার বলেন, সকাল ১১টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের বিপরীত পাশে আমার বাসায় পরিবারসহ বেড়াতে আসে সুমন। আমি রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম, এর মধ্যে সে একটু ঘুরতে বের হয়। পরে খবর পাই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ঘটনার বর্ণনায় তানিয়া বলেন, ‘এক যুবক সুমনকে দেখে প্রথমে তার কাছে টাকা চায় ও পরে তার কাছে থাকা মোবাইল কেড়ে নিতে চায়। সুমন মোবাইল দিতে না চাইলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার ডান পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে স্বজন ও বন্ধুরা ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই যুবকের পায়ের রানে আঘাত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল আলীম বলেন, মুন্না নামে এক যুবক সুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। মুন্না ও সুমন পুর্ব পরিচিত। তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় একই সঙ্গে চলাফেরা করতো। দুইজনের নামেই আগে থানায় মামলা রয়েছে। আরও বিস্তারিত জানতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে আব্দুল আলীম।