ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার ভয় না থাকলে সরকার ‘দানবে’ পরিণত হয় বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
শনিবার,(২৬ জুলাই ২০২৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার বিষয়ে আয়োজিত সেমিনারে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার ভয়টা চলে গেলে তখন (সরকার) কী দানবে পরিণত হয়, সেটা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট আমল থেকে আমরা বুঝতে পারি। যে কারণে আমাদের এক হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। হাজার হাজার ছাত্রজনতাকে চিরস্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে হয়েছে।’
জুলাই অভ্যুত্থানে কত ভয়াবহ মূল্য দিতে হয়েছে তা উপলব্ধি করে সার্বিকভাবে চিন্তা চেতনার প্রয়োজন আছে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আশাবাদী থাকবো। কিন্তু আমরা যেন কল্পলোকের বাসিন্দা হয়ে না যাই।’মানবাধিকারকে একটা সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আইন দিয়ে হবে না। সবার উপলব্ধি লাগবে। আত্মশুদ্ধি লাগবে। আমাদের প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা লাগবে। আমাদের আত্মসমালোচনা করতে হবে, আত্মশুদ্ধি করতে হবে। এগুলোর সঙ্গে যখন আমরা আইনগত পরিবর্তন করবো, প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন করবো, তখন একটা সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আসতে পারে।’
সবচেয়ে আগে রাষ্ট্রের প্রধান তিন অঙ্গ-নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগকে ঠিক করতে হবে মন্তব্য করেন আসিফ নজরুল বলেন, ‘আগে এই তিনটা অঙ্গের সমস্যা সমাধান করতে হবে। এখানে সমস্যা রেখে তথ্য কমিশন করে, মানবাধিকার কমিশন করে, সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে আসলে কোনো লাভ হবে না। আসল জায়গাতে হাত দিতে হয়।’
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জের ব্যাপার মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করে, মানবাধিকার বাস্তবায়ন ইউরোপে হয়েছে, আমেরিকায় হয়েছে। তারা নিজের দেশের ভেতরে করেছে। কিন্তু তারা সারা পৃথিবীতে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার কাজে নিয়োজিত আছে। এটা আপনারা ভালো করেই জানেন। কীভাবে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেয়, অস্ত্র বিক্রি করে। অত্যাচারী শাসকদের সমর্থন করে, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, এখনও একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মতো রয়ে গেছে।’
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মুহম্মদ একরামুল হক বলেন, ‘কাগজে অনেক কথা লেখা থাকে। আমরা চাই যথাযথ বাস্তবায়ন। মানবাধিকার যদি লঙ্ঘন হয় তাহলে বিচার হবে আদালতে।
‘কিন্তু আদালতকে যদি আমি ফ্যাসিবাদের একটা অংশ করে ফেলি তাহলে আমি সংবিধানে যতই ভালো কথা লিখি, সেটি কোনোদিন হবে না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি’ এর মানবাধিকার সম্মেলন-২০২৫ শীর্ষক এ আয়োজনে আওয়ামী লীগের শাসনামলে ‘গুম’ হওয়া আহমেদ বিন কাশেম ও মাকেল চাকমা, আহত দুইজন জুলাইযোদ্ধা, অভ্যুত্থানে নিহত নাইমা সুলতানা ও শাহরিয়ায় খানের মা বক্তব্য রাখেন। অতিথিরা মানবাধিকার অলিম্পিয়াডে জয়ী দশজন বিজয়ীর হাতে ব্যাগ, সম্মান স্মারক, সনদ ও সম্মাননা অর্থ তুলে দেন।
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার ভয় না থাকলে সরকার ‘দানবে’ পরিণত হয় বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
শনিবার,(২৬ জুলাই ২০২৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার বিষয়ে আয়োজিত সেমিনারে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার ভয়টা চলে গেলে তখন (সরকার) কী দানবে পরিণত হয়, সেটা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট আমল থেকে আমরা বুঝতে পারি। যে কারণে আমাদের এক হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। হাজার হাজার ছাত্রজনতাকে চিরস্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে হয়েছে।’
জুলাই অভ্যুত্থানে কত ভয়াবহ মূল্য দিতে হয়েছে তা উপলব্ধি করে সার্বিকভাবে চিন্তা চেতনার প্রয়োজন আছে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আশাবাদী থাকবো। কিন্তু আমরা যেন কল্পলোকের বাসিন্দা হয়ে না যাই।’মানবাধিকারকে একটা সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আইন দিয়ে হবে না। সবার উপলব্ধি লাগবে। আত্মশুদ্ধি লাগবে। আমাদের প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা লাগবে। আমাদের আত্মসমালোচনা করতে হবে, আত্মশুদ্ধি করতে হবে। এগুলোর সঙ্গে যখন আমরা আইনগত পরিবর্তন করবো, প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন করবো, তখন একটা সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আসতে পারে।’
সবচেয়ে আগে রাষ্ট্রের প্রধান তিন অঙ্গ-নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগকে ঠিক করতে হবে মন্তব্য করেন আসিফ নজরুল বলেন, ‘আগে এই তিনটা অঙ্গের সমস্যা সমাধান করতে হবে। এখানে সমস্যা রেখে তথ্য কমিশন করে, মানবাধিকার কমিশন করে, সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে আসলে কোনো লাভ হবে না। আসল জায়গাতে হাত দিতে হয়।’
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জের ব্যাপার মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করে, মানবাধিকার বাস্তবায়ন ইউরোপে হয়েছে, আমেরিকায় হয়েছে। তারা নিজের দেশের ভেতরে করেছে। কিন্তু তারা সারা পৃথিবীতে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার কাজে নিয়োজিত আছে। এটা আপনারা ভালো করেই জানেন। কীভাবে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেয়, অস্ত্র বিক্রি করে। অত্যাচারী শাসকদের সমর্থন করে, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, এখনও একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মতো রয়ে গেছে।’
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মুহম্মদ একরামুল হক বলেন, ‘কাগজে অনেক কথা লেখা থাকে। আমরা চাই যথাযথ বাস্তবায়ন। মানবাধিকার যদি লঙ্ঘন হয় তাহলে বিচার হবে আদালতে।
‘কিন্তু আদালতকে যদি আমি ফ্যাসিবাদের একটা অংশ করে ফেলি তাহলে আমি সংবিধানে যতই ভালো কথা লিখি, সেটি কোনোদিন হবে না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি’ এর মানবাধিকার সম্মেলন-২০২৫ শীর্ষক এ আয়োজনে আওয়ামী লীগের শাসনামলে ‘গুম’ হওয়া আহমেদ বিন কাশেম ও মাকেল চাকমা, আহত দুইজন জুলাইযোদ্ধা, অভ্যুত্থানে নিহত নাইমা সুলতানা ও শাহরিয়ায় খানের মা বক্তব্য রাখেন। অতিথিরা মানবাধিকার অলিম্পিয়াডে জয়ী দশজন বিজয়ীর হাতে ব্যাগ, সম্মান স্মারক, সনদ ও সম্মাননা অর্থ তুলে দেন।