কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরায় গরম পানি ঢেলে স্বপ্না আক্তার (২৪) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর শরীর ঝলসে দেয়ার ঘটনায় তার চাচাশ্বশুর কুদ্দুস মোল্লাকে শনিবার,(২৬ জুলাই ২০২৫) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার ভোররাতে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। কুদ্দুস মোল্লা বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের বেনিখলা গ্রামের মৃত ছালাম মোল্লার ছেলে। ঝলসে যাওয়া স্বপ্না আক্তার প্রবাসী নাছির উদ্দিন মোল্লার স্ত্রী। গত ১১ জুন বুধবার সকাল আনুমানিক ৮টায় এই অমানবিক ঘটনা ঘটে।
মামলার অভিযোগ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন স্বপ্না আক্তার নিজ বাড়ির উঠানে ভাত রান্না ও গরুর জন্য গরম পানি সিদ্ধ করছিলেন। সে সময় তার চাচাশ্বশুর কুদ্দুস মোল্লা স্বপ্না আক্তারের শ্বশুর আবদুল খালেক মোল্লাকে গালমন্দ করতে থাকেন। এর প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস মোল্লা চুলায় বসানো গরম পানি স্বপ্না আক্তারের শরীরে ঢেলে দেন। গরম পানি পড়তেই স্বপ্না যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন। তখন প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দেবিদ্বার ও পরে দ্রুত ঢাকার সার্জারি ও বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান। বর্তমানেও স্বপ্না আক্তার যন্ত্রণায় ছটফট করছেন বলে জানা গেছে।
আহত স্বপ্না আক্তার জানান, “আমাদের রান্নার ধোঁয়া নাকি আমার চাচাশ্বশুরের ঘরে ঢোকে। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। আমি সকালে ভাত রান্না ও গরুর পানি গরম করার জন্য চুলায় আগুন দেই।
হঠাৎ আমার চাচাশ্বশুর এসে আমার শ্বশুরকে গালমন্দ করতে থাকে। খালি বাড়িতে গালমন্দ করার প্রতিবাদ করলে আমার চুলায় থাকা গরম পানি আমার ওপর ঢেলে দেয়। আমি যন্ত্রণায় শুধু গড়াগড়ি করছিলাম। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
স্বপ্না আক্তারের শাশুড়ি ফিরোজা বেগম জানান, কুদ্দুস মোল্লা তার ভাসুর। রান্নার চুলার ধোঁয়া তাদের ঘরে প্রবেশ করা নিয়ে মূলত শত্রুতা।
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরায় গরম পানি ঢেলে স্বপ্না আক্তার (২৪) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর শরীর ঝলসে দেয়ার ঘটনায় তার চাচাশ্বশুর কুদ্দুস মোল্লাকে শনিবার,(২৬ জুলাই ২০২৫) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার ভোররাতে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। কুদ্দুস মোল্লা বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের বেনিখলা গ্রামের মৃত ছালাম মোল্লার ছেলে। ঝলসে যাওয়া স্বপ্না আক্তার প্রবাসী নাছির উদ্দিন মোল্লার স্ত্রী। গত ১১ জুন বুধবার সকাল আনুমানিক ৮টায় এই অমানবিক ঘটনা ঘটে।
মামলার অভিযোগ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন স্বপ্না আক্তার নিজ বাড়ির উঠানে ভাত রান্না ও গরুর জন্য গরম পানি সিদ্ধ করছিলেন। সে সময় তার চাচাশ্বশুর কুদ্দুস মোল্লা স্বপ্না আক্তারের শ্বশুর আবদুল খালেক মোল্লাকে গালমন্দ করতে থাকেন। এর প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস মোল্লা চুলায় বসানো গরম পানি স্বপ্না আক্তারের শরীরে ঢেলে দেন। গরম পানি পড়তেই স্বপ্না যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন। তখন প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দেবিদ্বার ও পরে দ্রুত ঢাকার সার্জারি ও বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান। বর্তমানেও স্বপ্না আক্তার যন্ত্রণায় ছটফট করছেন বলে জানা গেছে।
আহত স্বপ্না আক্তার জানান, “আমাদের রান্নার ধোঁয়া নাকি আমার চাচাশ্বশুরের ঘরে ঢোকে। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। আমি সকালে ভাত রান্না ও গরুর পানি গরম করার জন্য চুলায় আগুন দেই।
হঠাৎ আমার চাচাশ্বশুর এসে আমার শ্বশুরকে গালমন্দ করতে থাকে। খালি বাড়িতে গালমন্দ করার প্রতিবাদ করলে আমার চুলায় থাকা গরম পানি আমার ওপর ঢেলে দেয়। আমি যন্ত্রণায় শুধু গড়াগড়ি করছিলাম। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
স্বপ্না আক্তারের শাশুড়ি ফিরোজা বেগম জানান, কুদ্দুস মোল্লা তার ভাসুর। রান্নার চুলার ধোঁয়া তাদের ঘরে প্রবেশ করা নিয়ে মূলত শত্রুতা।