alt

সারাদেশ

পীরগঞ্জে এতিম ও দুস্থ শিশুদের ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিনিধি, পীরগঞ্জ (রংপুর) : মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বেসরকারী এতিমখানার এতিম ও দুঃস্থ শিশুদের জন্য ক্যাাপিটেশন গ্র্যান্টের বরাদ্দকৃত অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ২৪টি এতিমখানার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে ভুয়া এতিম অনাথ তালিকাভুক্তির মাধ্যমে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মোহতামিমরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এসব মাদ্রাসায় আবাসিক/অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা রীতিমতো প্রতিমাসে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত বেতন ভাতা পরিশোধ করে থাকেন। অথচ এদের অনেকের নাম এতিম/অনাথ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা ছাড়াও ভুয়া কিছু নাম তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টের বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করা হচ্ছে। অনেক স্বচ্ছল পরিবারের সন্তানদের মোটা অংক ব্যয় করে এসব মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেয়। আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে প্রতিমাসে কর্তৃপক্ষের দাবিকৃত অর্থ পরিশোধও করেন অভিভাবকরা। এসব অভিভাবক জানেনই না যে তাদের সন্তানের নাম এতিম হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং প্রতিমাসে নিয়মিত ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টের অর্থ উত্তোলন করা হয়। উত্তোলনকৃত অর্থ মাদ্রাসার উন্নয়নে ব্যয় করে সিংহভাগই মোহতামিমরা নিজেদের পকেট ভারি করেন। ওই টাকায় গাড়ি বাড়ি হয়। কোনো মাদ্রাসায় মোহতামিমের কক্ষে এসি চালু রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেকগুলো মাদ্রাসায় যে সংখ্যক শিক্ষার্থীর নামে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বরাদ্দ রয়েছে ওই সংখ্যক শিক্ষার্থীই নেই গোটা মাদ্রাসায়। টুকুরিয়া ইউনিয়নের তরফমৌজা মহিলা এতিমখানায় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ জন হলেও ৬০ জনের নামে প্রতিমাসে বরাদ্দ রয়েছে। মোনাইল মেফতাউল উলুম এতিম খানায় ৬/৭ জন শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে আবাসিক হিসেবে রাখা হলেও ৫০ জন এর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করা হয় প্রতিমাসে। উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া এতিমখানায় শিক্ষার্থীরা বেতন ভাতা দিয়ে পড়া লেখা করলেও ৩৫ জনের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করা হয়। চৈত্রকোল জিল্লুরনাইন এতিমখানায় মোট ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলেও ৬৭ জনের নামে বরাদ্দ রয়েছে। মিঠিপুর ইউনিয়নে কাশিমপুর দারুল আমান সিদ্দিকিয়া এতিমখানায় ৮৭ জন, মাদারগঞ্জ সিদ্দিকিয়া এতিমখানায় ২০ জন, সদরা কুতুবপুর আমিনিয়া এতিমখানায় ২০ জন, কাবিলপুর ইউনিয়নে মানাসী ফরিদপুর শিশু সদন ও এতিমখানায় ৮০ জন, ইসলামীয়া শিশু সদন ধাপেরহাট বিষ্ণপুর এ ৩০ জন, চতরা শিশু সদন এ ৪৫ জন, বাবনপুর দারুস সালাম এতিমখানায় ৫০ জন, গোপীনাথপুর মফিজিয়া অজিতন নেছা এতিমখানায় ১’শ ২০ জন, খায়রুন্নেছা মহিলা এতিমখানা ও শিশু সদন বাঁশপুকুরিয়ায় ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও ২০ জনের নামে অর্থ উত্তোলন করা হয়। কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় ২৪ টি মাদ্রাসায় ১ হাজার ৬’শ ৯৭ জন এতিমের নামে প্রতিমাসে ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মজার ব্যাপারে হচ্ছে-এসব মাদ্রাসার মোহতামিমরা প্রতিবছর বিপুল পরিমান বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করলেও তা এলাকায় প্রকাশ করতে রাজি নন। যে কারনে এসব মাদ্রাসার কোনটিতেই ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ডের সাইনবোর্ড পর্যন্ত দেয়া হয়নি। অথচ শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বরাদ্দের পরিমান, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাসহ যাবতীয় তথ্য সংক্রান্ত সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ রয়েছে। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক এসব দেখাশোনার দায়িত্বে থাকলেও তিনি রহস্যজনক কারনে বরাবর হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকেন। এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের বলেন ‘এসব সমাজ সেবা মন্ত্রনালয়ের ব্যাপার। তারা এগুলো বরাদ্দ দেয়’। দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নিজেদের অবস্থানকে মজবুত করতে এ বছর মোহতামিমরা ৭ সদস্যের একটি কমিটি করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মোহতামিম জানান, কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম ও সম্পাদক মনজুরুল হক বিভিন্ন ঝুটঝামেলা মেটানোর নামে সবগুলো মাদ্রাসা থেকে প্রত্যেক এতিম/অনাথ এর অনুকলে ৮০ টাকা হারে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭’শ ৬০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই টাকা কোন খাতে ব্যয় করেছেন তা বলতে রাজি হননি কমিটির লোকজন।

এলাকার সচেতন অভিভাবক মহল তাই অচিরেই প্রত্যেক মাদ্রাসায় ক্যাপিটেন গ্রান্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা সম্বলিত সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়ার দাবি করেছেন। উচ্চ পর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সরেজমিন তদন্ত করা হলে এসব মাদ্রাসায় ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টের অর্থ তছরুপের আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

ছবি

খুলনায় বাড়িতে ঢুকে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

ছবি

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তিন বিভাগে অতিভারি বর্ষণের শঙ্কা

ছবি

১০ আগস্ট থেকে এগিয়ে আসছে সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেসের যাত্রা সূচি

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি পালিত

অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক ২

ছবি

মধুপুরের লোকজ সংস্কৃতির ধুয়া গানে অনন্য আব্দুল খালেক বয়াতি

এক মাসেও আইডি কার্ড পায়নি জবির নবীন শিক্ষার্থীরা

ছবি

সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত দুগ্ধজাত পণ্য যাচ্ছে সারা দেশে

ছবি

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দশমিনা মডেল মসজিদ

ছবি

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

চাঁদপুরে চোরাই ৬ বাইকসহ আটক ৩

চান্দিনায় মাদক ও টাকাসহ আটক ১

ছবি

কৌশলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন উপকূলের মৎস্য ব্যবসায়ীরা

বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের অস্ত্রাঘাতে যুবদল নেতা আহত

রামুতে ইয়াবাসহ আটক ২

ছবি

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ

নন্দীগ্রামে নতুন সেচ লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে উন্মুক্ত লটারিতে ওএমএস ডিলার নিয়োগ

ছবি

বিরামপুরে ধান রোপণে নারীরা এগিয়ে থাকলেও রয়েছে মজুরি বৈষম্য

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ৪৭৭ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা

রাণীনগরে কিশোরীকে হত্যার চেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার

ছবি

তিস্তার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি নিম্নাঞ্চল মানুষের

ড্রেজারের গর্জনে ঘুম ভাঙে রায়পুরবাসীর

কালিয়াকৈরে থানার পাশ থেকে প্রকাশ্যে ৯ লাখ টাকা ছিনতাই

ছবি

সার-কীটনাশক বিক্রিতে অনিয়ম

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

ভাঙন রোধে দশমিনা ইউএনওর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস

বোদা পৌর এলাকার ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড পঞ্চগড়-২ সংসদীয় আসনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় আনন্দ মিছিল

ছবি

পুরনো ভবন, অব্যবস্থাপনা ও সেবার মানে চরম অসন্তোষ রোগীদের

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশ সেরা দুমকি

ছবি

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ভাঙন, বিলীন হলো আরও ১৭ বসতবাড়ি

নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার, পরিবর্তন বা চার্টার কিছুই হবে না

ছবি

লোহাগড়ায় ‘মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

পাচার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা

ছবি

খাগড়াছড়ির প্লাস রক্তের বন্ধনে মানবতা সম্পন্ন হলো

হাটহাজারীতে নকল বিড়িসহ, গ্রেপ্তার ৩

tab

সারাদেশ

পীরগঞ্জে এতিম ও দুস্থ শিশুদের ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিনিধি, পীরগঞ্জ (রংপুর)

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বেসরকারী এতিমখানার এতিম ও দুঃস্থ শিশুদের জন্য ক্যাাপিটেশন গ্র্যান্টের বরাদ্দকৃত অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ২৪টি এতিমখানার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে ভুয়া এতিম অনাথ তালিকাভুক্তির মাধ্যমে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মোহতামিমরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এসব মাদ্রাসায় আবাসিক/অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা রীতিমতো প্রতিমাসে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত বেতন ভাতা পরিশোধ করে থাকেন। অথচ এদের অনেকের নাম এতিম/অনাথ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা ছাড়াও ভুয়া কিছু নাম তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টের বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করা হচ্ছে। অনেক স্বচ্ছল পরিবারের সন্তানদের মোটা অংক ব্যয় করে এসব মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেয়। আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে প্রতিমাসে কর্তৃপক্ষের দাবিকৃত অর্থ পরিশোধও করেন অভিভাবকরা। এসব অভিভাবক জানেনই না যে তাদের সন্তানের নাম এতিম হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং প্রতিমাসে নিয়মিত ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টের অর্থ উত্তোলন করা হয়। উত্তোলনকৃত অর্থ মাদ্রাসার উন্নয়নে ব্যয় করে সিংহভাগই মোহতামিমরা নিজেদের পকেট ভারি করেন। ওই টাকায় গাড়ি বাড়ি হয়। কোনো মাদ্রাসায় মোহতামিমের কক্ষে এসি চালু রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেকগুলো মাদ্রাসায় যে সংখ্যক শিক্ষার্থীর নামে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বরাদ্দ রয়েছে ওই সংখ্যক শিক্ষার্থীই নেই গোটা মাদ্রাসায়। টুকুরিয়া ইউনিয়নের তরফমৌজা মহিলা এতিমখানায় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ জন হলেও ৬০ জনের নামে প্রতিমাসে বরাদ্দ রয়েছে। মোনাইল মেফতাউল উলুম এতিম খানায় ৬/৭ জন শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে আবাসিক হিসেবে রাখা হলেও ৫০ জন এর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করা হয় প্রতিমাসে। উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া এতিমখানায় শিক্ষার্থীরা বেতন ভাতা দিয়ে পড়া লেখা করলেও ৩৫ জনের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করা হয়। চৈত্রকোল জিল্লুরনাইন এতিমখানায় মোট ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলেও ৬৭ জনের নামে বরাদ্দ রয়েছে। মিঠিপুর ইউনিয়নে কাশিমপুর দারুল আমান সিদ্দিকিয়া এতিমখানায় ৮৭ জন, মাদারগঞ্জ সিদ্দিকিয়া এতিমখানায় ২০ জন, সদরা কুতুবপুর আমিনিয়া এতিমখানায় ২০ জন, কাবিলপুর ইউনিয়নে মানাসী ফরিদপুর শিশু সদন ও এতিমখানায় ৮০ জন, ইসলামীয়া শিশু সদন ধাপেরহাট বিষ্ণপুর এ ৩০ জন, চতরা শিশু সদন এ ৪৫ জন, বাবনপুর দারুস সালাম এতিমখানায় ৫০ জন, গোপীনাথপুর মফিজিয়া অজিতন নেছা এতিমখানায় ১’শ ২০ জন, খায়রুন্নেছা মহিলা এতিমখানা ও শিশু সদন বাঁশপুকুরিয়ায় ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও ২০ জনের নামে অর্থ উত্তোলন করা হয়। কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় ২৪ টি মাদ্রাসায় ১ হাজার ৬’শ ৯৭ জন এতিমের নামে প্রতিমাসে ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মজার ব্যাপারে হচ্ছে-এসব মাদ্রাসার মোহতামিমরা প্রতিবছর বিপুল পরিমান বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করলেও তা এলাকায় প্রকাশ করতে রাজি নন। যে কারনে এসব মাদ্রাসার কোনটিতেই ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ডের সাইনবোর্ড পর্যন্ত দেয়া হয়নি। অথচ শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বরাদ্দের পরিমান, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাসহ যাবতীয় তথ্য সংক্রান্ত সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ রয়েছে। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক এসব দেখাশোনার দায়িত্বে থাকলেও তিনি রহস্যজনক কারনে বরাবর হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকেন। এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের বলেন ‘এসব সমাজ সেবা মন্ত্রনালয়ের ব্যাপার। তারা এগুলো বরাদ্দ দেয়’। দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নিজেদের অবস্থানকে মজবুত করতে এ বছর মোহতামিমরা ৭ সদস্যের একটি কমিটি করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মোহতামিম জানান, কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম ও সম্পাদক মনজুরুল হক বিভিন্ন ঝুটঝামেলা মেটানোর নামে সবগুলো মাদ্রাসা থেকে প্রত্যেক এতিম/অনাথ এর অনুকলে ৮০ টাকা হারে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭’শ ৬০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই টাকা কোন খাতে ব্যয় করেছেন তা বলতে রাজি হননি কমিটির লোকজন।

এলাকার সচেতন অভিভাবক মহল তাই অচিরেই প্রত্যেক মাদ্রাসায় ক্যাপিটেন গ্রান্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা সম্বলিত সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়ার দাবি করেছেন। উচ্চ পর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সরেজমিন তদন্ত করা হলে এসব মাদ্রাসায় ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টের অর্থ তছরুপের আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

back to top