পিরোজপুরের নাজিরপুর সদরে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়ালের স্ত্রীকে জাল সনদে প্রভাষক পদে চাকরি দেয়ার মামলায় ওই কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা মামলায় পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে জেলা জজ মো. মজিবুর রহমান অধ্যক্ষের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসানুল কবীর বাদল ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাল সনদ দিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজে প্রভাষক পদে চাকরি বাগিয়ে নেয়া ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল, তার স্ত্রী লায়লা পারভীন ও কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাটের করা মামলায় তিনি উল্লেখ করা হয়, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সদরে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজটিতে ২০১৩ সালে পাস কোর্স চালু হয়। কলেজটি এমপিওভুক্ত না হলেও ২০১৮ সালে শুধু একটি বিশেষ নামের কারণে কলেজটি সরকারিকরণ হয়। আসামি লায়লা পারভীনের স্বামী গভর্নিং বডির সভাপতি এবং লায়লা পারভীন নিজে দাতা সদস্য হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদপত্র ব্যবহার করে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ লাভ করেন।
স্বামী আউয়ালের প্রভাব এবং কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদের সহযোগিতায় ভুয়া সনদপত্র দিয়ে লায়লা পারভীন কলেজটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করে নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ৮ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় দুদক মামলা করে। জালসনদ সৃজন, চাকরি দেয়া ও সরকারি টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করায় লায়লা পারভীনের স্বামী একেএমএ আউয়াল এবং ওই কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারকেও আসামি করা হয়। অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ হাইকোর্ট থেকে শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিলে তার মেয়াদ সোমবার শেষ হলে শর্তানুযায়ী তিনি মঙ্গলবার (২৯-০৭-২০২৫) পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
পিরোজপুরের নাজিরপুর সদরে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়ালের স্ত্রীকে জাল সনদে প্রভাষক পদে চাকরি দেয়ার মামলায় ওই কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা মামলায় পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে জেলা জজ মো. মজিবুর রহমান অধ্যক্ষের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসানুল কবীর বাদল ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাল সনদ দিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজে প্রভাষক পদে চাকরি বাগিয়ে নেয়া ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল, তার স্ত্রী লায়লা পারভীন ও কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাটের করা মামলায় তিনি উল্লেখ করা হয়, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সদরে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজটিতে ২০১৩ সালে পাস কোর্স চালু হয়। কলেজটি এমপিওভুক্ত না হলেও ২০১৮ সালে শুধু একটি বিশেষ নামের কারণে কলেজটি সরকারিকরণ হয়। আসামি লায়লা পারভীনের স্বামী গভর্নিং বডির সভাপতি এবং লায়লা পারভীন নিজে দাতা সদস্য হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদপত্র ব্যবহার করে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ লাভ করেন।
স্বামী আউয়ালের প্রভাব এবং কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদের সহযোগিতায় ভুয়া সনদপত্র দিয়ে লায়লা পারভীন কলেজটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করে নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ৮ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় দুদক মামলা করে। জালসনদ সৃজন, চাকরি দেয়া ও সরকারি টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করায় লায়লা পারভীনের স্বামী একেএমএ আউয়াল এবং ওই কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারকেও আসামি করা হয়। অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ হাইকোর্ট থেকে শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিলে তার মেয়াদ সোমবার শেষ হলে শর্তানুযায়ী তিনি মঙ্গলবার (২৯-০৭-২০২৫) পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।