কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিএনপি কর্মী কুদরত আলী হত্যা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
দৌলতপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পারভেজের আদালতে তানভীর আরাফাতকে উপস্থাপন করা হলে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। এরপর দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির আরেক কর্মী সুজন মালিথা হত্যার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই মামলার পর থেকেই তিনি কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তানভীর আরাফাত সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুর উপজেলায়। কুষ্টিয়ায় চাকরির মেয়াদে নানা বিতর্কিত কর্মকা-ের কারণে আলোচনায় আসেন তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও এতদিন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশে তাকে একের পর এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
কুদরত আলী হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ২৩ জুলাই গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে বিএনপি নেতা কুদরত আলীকে অপহরণ করে পুলিশ পরিচয়ে একদল সদস্য। এরপর ২৫ জুলাই কুদরত আলীর মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাওয়া যায়। মরদেহে একাধিক গুলির চিহ্ন এবং শরীরজুড়ে নির্যাতনের দাগ ছিল।
নিহতের ছেলে বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। এজাহারে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা কুদরত আলী বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয় থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওসি তদন্ত নিশিকান্ত সরকার, এসআই রোকনুজ্জামান, এসআই মেহেদী হাসান, এসআই শাহজাহান, এএসআই আনিচুর রহমান ও সাবেক এসপি তানভীর আরাফাতসহ আরও অজ্ঞাত ১০-১২ পুলিশ সদস্য এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত।’
বাদী অভিযোগ করেন, ঘটনার পর দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি। তবে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাহস সঞ্চয় করে মামলা দায়ের করেছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলাইমান শেখ বলেন, হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তারের আবেদন আদালতে জানানো হয়েছিল। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিএনপি কর্মী কুদরত আলী হত্যা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
দৌলতপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পারভেজের আদালতে তানভীর আরাফাতকে উপস্থাপন করা হলে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। এরপর দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির আরেক কর্মী সুজন মালিথা হত্যার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই মামলার পর থেকেই তিনি কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তানভীর আরাফাত সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুর উপজেলায়। কুষ্টিয়ায় চাকরির মেয়াদে নানা বিতর্কিত কর্মকা-ের কারণে আলোচনায় আসেন তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও এতদিন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশে তাকে একের পর এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
কুদরত আলী হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ২৩ জুলাই গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে বিএনপি নেতা কুদরত আলীকে অপহরণ করে পুলিশ পরিচয়ে একদল সদস্য। এরপর ২৫ জুলাই কুদরত আলীর মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাওয়া যায়। মরদেহে একাধিক গুলির চিহ্ন এবং শরীরজুড়ে নির্যাতনের দাগ ছিল।
নিহতের ছেলে বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। এজাহারে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা কুদরত আলী বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয় থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওসি তদন্ত নিশিকান্ত সরকার, এসআই রোকনুজ্জামান, এসআই মেহেদী হাসান, এসআই শাহজাহান, এএসআই আনিচুর রহমান ও সাবেক এসপি তানভীর আরাফাতসহ আরও অজ্ঞাত ১০-১২ পুলিশ সদস্য এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত।’
বাদী অভিযোগ করেন, ঘটনার পর দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি। তবে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাহস সঞ্চয় করে মামলা দায়ের করেছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলাইমান শেখ বলেন, হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তারের আবেদন আদালতে জানানো হয়েছিল। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।