মহম্মদপুর (মাগুরা) : উন্নয়ন সংঘের বিক্রি করা জমিতে গোয়াল ঘর -সংবাদ
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের রেজিস্ট্রিকৃত সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন ‘লক্ষ্মীপুর উদয়ন সংঘ’- এর ১১ শতক জমি গোপনে বিক্রি করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ক্লাবের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি প্রশান্ত কুমার ঠাকুর এবং সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু সুলতানসহ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে। সংঘের ওই জমিতে বর্তমানে নির্মিত হয়েছে গোয়ালঘর। বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষ।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত ও সরকারি নিবন্ধিত এই সংগঠনটি ১৯৯০ সালে গঠিত হয়। সদস্যদের চাঁদা ও তৎকালীন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ মাসুদ মীরের উদ্যোগে সংগঠনের জন্য ১১ শতক জমি ক্রয় করা হয়।
সংগঠনের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৪৫ জন হলেও অভিযোগ রয়েছে- এই সদস্য তালিকাও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যাতে জমি বিক্রির টাকার ভাগ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করা যায়।
অভিযোগকারীদের ভাষ্য অনুযায়ী, জাল রেজুলেশন তৈরি করে গোপনে রেজিস্ট্রিকৃত জমিটি বিক্রি করা হয় স্থানীয় মৃত রাশেদ শেখের ছেলে মোক্তার হোসেনের কাছে।
দলিলে ৫ লাখ টাকা মূল্য দেখানো হলেও প্রকৃত বিক্রয়মূল্য ছিল ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এমনকি দলিলে জমিটি ‘ধানি জমি’ হিসেবে দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়, যদিও সরকারি রেকর্ডে এটি ‘কবরস্থান’ হিসেবেই চিহ্নিত ছিল।
মহম্মদপুর থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে সৈয়দ আলমগীর হোসেন উল্লেখ করেন, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে তৈরি জাল রেজুলেশনের মাধ্যমে সভাপতি, সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদের ‘আম মোক্তার’ ঘোষণা দিয়ে জমি বিক্রির চুক্তিপত্রে ৯ এপ্রিল স্বাক্ষর করেন।
জমির ক্রেতা মোক্তার হোসেন নিজেই স্বীকার করেন, তিনি জমিটি ৫ লাখ নয় বরং ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকায় কিনেছেন এবং পুরো অর্থ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেই পরিশোধ করেছেন।
এ বিষয়ে সহসভাপতি প্রশান্ত কুমার ঠাকুর বলেন, জমি বিক্রির পর আমি বুঝতে পারি যে, এটি আইনগতভাবে বৈধ নয়। আমি ভুল করেছি। সংগঠন চাইলে জমি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় আমি সহযোগিতা করবো।
সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতানও জমি বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, জানি না, এই ভুলের কী শাস্তি হবে।
মহম্মদপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রব বলেন, সংগঠনের জমি বিক্রির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত চলমান রয়েছে। বিষয়টি বিভাগীয়ভাবে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে লক্ষ্মীপুর গ্রামবাসী এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, অবৈধ বিক্রয় বাতিল এবং সংগঠনের জমি ফেরতের দাবি জানিয়েছে। তারা আরও বলেন, এটি শুধু একটি অর্থ আত্মসাতের ঘটনা নয়, বরং সমাজসেবার নামে পবিত্র কবরস্থানের ওপর লোভের থাবা। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মহম্মদপুর (মাগুরা) : উন্নয়ন সংঘের বিক্রি করা জমিতে গোয়াল ঘর -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের রেজিস্ট্রিকৃত সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন ‘লক্ষ্মীপুর উদয়ন সংঘ’- এর ১১ শতক জমি গোপনে বিক্রি করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ক্লাবের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি প্রশান্ত কুমার ঠাকুর এবং সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু সুলতানসহ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে। সংঘের ওই জমিতে বর্তমানে নির্মিত হয়েছে গোয়ালঘর। বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষ।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত ও সরকারি নিবন্ধিত এই সংগঠনটি ১৯৯০ সালে গঠিত হয়। সদস্যদের চাঁদা ও তৎকালীন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ মাসুদ মীরের উদ্যোগে সংগঠনের জন্য ১১ শতক জমি ক্রয় করা হয়।
সংগঠনের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৪৫ জন হলেও অভিযোগ রয়েছে- এই সদস্য তালিকাও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যাতে জমি বিক্রির টাকার ভাগ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করা যায়।
অভিযোগকারীদের ভাষ্য অনুযায়ী, জাল রেজুলেশন তৈরি করে গোপনে রেজিস্ট্রিকৃত জমিটি বিক্রি করা হয় স্থানীয় মৃত রাশেদ শেখের ছেলে মোক্তার হোসেনের কাছে।
দলিলে ৫ লাখ টাকা মূল্য দেখানো হলেও প্রকৃত বিক্রয়মূল্য ছিল ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এমনকি দলিলে জমিটি ‘ধানি জমি’ হিসেবে দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়, যদিও সরকারি রেকর্ডে এটি ‘কবরস্থান’ হিসেবেই চিহ্নিত ছিল।
মহম্মদপুর থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে সৈয়দ আলমগীর হোসেন উল্লেখ করেন, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে তৈরি জাল রেজুলেশনের মাধ্যমে সভাপতি, সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদের ‘আম মোক্তার’ ঘোষণা দিয়ে জমি বিক্রির চুক্তিপত্রে ৯ এপ্রিল স্বাক্ষর করেন।
জমির ক্রেতা মোক্তার হোসেন নিজেই স্বীকার করেন, তিনি জমিটি ৫ লাখ নয় বরং ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকায় কিনেছেন এবং পুরো অর্থ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেই পরিশোধ করেছেন।
এ বিষয়ে সহসভাপতি প্রশান্ত কুমার ঠাকুর বলেন, জমি বিক্রির পর আমি বুঝতে পারি যে, এটি আইনগতভাবে বৈধ নয়। আমি ভুল করেছি। সংগঠন চাইলে জমি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় আমি সহযোগিতা করবো।
সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতানও জমি বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, জানি না, এই ভুলের কী শাস্তি হবে।
মহম্মদপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রব বলেন, সংগঠনের জমি বিক্রির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত চলমান রয়েছে। বিষয়টি বিভাগীয়ভাবে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে লক্ষ্মীপুর গ্রামবাসী এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, অবৈধ বিক্রয় বাতিল এবং সংগঠনের জমি ফেরতের দাবি জানিয়েছে। তারা আরও বলেন, এটি শুধু একটি অর্থ আত্মসাতের ঘটনা নয়, বরং সমাজসেবার নামে পবিত্র কবরস্থানের ওপর লোভের থাবা। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।