নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শায়েদা আক্তার পপি (৩০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নিহতের মা খাইরুন নাহার। গতকাল সোমবার নোয়াখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৩ জুলাই ভোরে মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদ উল্যাহর বাড়িতে শায়েদা আক্তার পপিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে অভিযুক্তরা মরদেহ বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
মামলার আসামিরা হলেন পপির স্বামী মো. সফি উল্যাহ শিপন, শ্বশুর শহিদ উল্যাহ, শাশুড়ি রওশন আরা বেগম, দুই ননদ আদরী বেগম ও সুন্দরী বেগম, স্বামীর সহযোগী আজাদ এবং প্রতিবেশী মন্নান মাঝি।
নিহত পপি মুছাপুর ইউনিয়নের মক্কানগর এলাকার শামসুদ্দিন মিয়ার মেয়ে। প্রায় ১০ বছর আগে শিপনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সংসারে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের মা জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শিপন ও তার পরিবারের সদস্যরা পপিকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
তিনি বলেন, সালিশে অনেকবার বসা হয়েছে, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলল।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফয়জুল আজিম বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শায়েদা আক্তার পপি (৩০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নিহতের মা খাইরুন নাহার। গতকাল সোমবার নোয়াখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৩ জুলাই ভোরে মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদ উল্যাহর বাড়িতে শায়েদা আক্তার পপিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে অভিযুক্তরা মরদেহ বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
মামলার আসামিরা হলেন পপির স্বামী মো. সফি উল্যাহ শিপন, শ্বশুর শহিদ উল্যাহ, শাশুড়ি রওশন আরা বেগম, দুই ননদ আদরী বেগম ও সুন্দরী বেগম, স্বামীর সহযোগী আজাদ এবং প্রতিবেশী মন্নান মাঝি।
নিহত পপি মুছাপুর ইউনিয়নের মক্কানগর এলাকার শামসুদ্দিন মিয়ার মেয়ে। প্রায় ১০ বছর আগে শিপনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সংসারে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের মা জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শিপন ও তার পরিবারের সদস্যরা পপিকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
তিনি বলেন, সালিশে অনেকবার বসা হয়েছে, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলল।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফয়জুল আজিম বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।