সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের প্রতাপপুর ক্যাম্প সংলগ্ন লামাপুঞ্জির হেডম্যানের পানজুমে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার গভীর রাতে খাসিয়া সম্প্রদায়ের দুটি জুমে ঢুকে কেটে ফেলা হয়েছে প্রায় ২ হাজার পান গাছ, যার বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
গতকাল গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের প্রতাপপুর পুঞ্জিতে অজ্ঞাত দুবৃত্তরা লামা পুন্জির হেডম্যান রিসন কংওয়াং ও প্রতাপপুর পুঞ্জির অধিবাসী পরমা ডিখারের পান জুমে হামলা চালিয়ে প্রায় ২,০০০ পান গাছ কেটে ফেলে। খাসিয়ারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে নিজেদের ঐতিহ্যিক উপায়ে পান ও সুপারি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা। লামাপুঞ্জির হেডম্যানের নেতৃত্বে দুইটি জুমে কয়েকজন পরিবার মিলে এসব গাছ পরিচর্যা করতেন। কিন্তু কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই দুর্বৃত্তরা অতর্কিতে পানজুমে হানা দিয়ে রাতের আঁধারে কেটে ফেলে পুরো বাগান।
ক্ষতিগ্রস্ত পানের গাছগুলো এই মাসেই উত্তোলনের উপযোগী ছিল এবং প্রতিটি গাছে গড়ে ৫৫০ টাকার পান ছিল, যার মোট বাজারমূল্য প্রায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জানা যায়, বছরে পাঁচ থেকে ছয়বার পান সংগ্রহ করা গেলেও একটি জুম উৎপাদনে উপযোগী হতে প্রায় দুই বছর সময় লাগে। প্রতিটি জুমে ১৫-২০ জন কর্মী নিয়মিতভাবে কাজ করে এবং উৎপাদিত পানের আয় থেকে প্রায় ৭৫% অর্থ ব্যয় হয় এই শ্রমিক ও চাষ ব্যবস্থাপনার পেছনে।
এ ঘটনায় শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতিই নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও চরম আঘাত পেয়েছে খাসিয়া সম্প্রদায়। পানজুম তাদের আত্মপরিচয়ের অংশ, যা একে একে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা এবং তাদের বসতি থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
খাসিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তারা বলছেন, বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও অধিকাংশ সময় দায়ীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে খাসিয়াদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা আরও বাড়বে।
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের প্রতাপপুর ক্যাম্প সংলগ্ন লামাপুঞ্জির হেডম্যানের পানজুমে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার গভীর রাতে খাসিয়া সম্প্রদায়ের দুটি জুমে ঢুকে কেটে ফেলা হয়েছে প্রায় ২ হাজার পান গাছ, যার বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
গতকাল গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের প্রতাপপুর পুঞ্জিতে অজ্ঞাত দুবৃত্তরা লামা পুন্জির হেডম্যান রিসন কংওয়াং ও প্রতাপপুর পুঞ্জির অধিবাসী পরমা ডিখারের পান জুমে হামলা চালিয়ে প্রায় ২,০০০ পান গাছ কেটে ফেলে। খাসিয়ারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে নিজেদের ঐতিহ্যিক উপায়ে পান ও সুপারি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা। লামাপুঞ্জির হেডম্যানের নেতৃত্বে দুইটি জুমে কয়েকজন পরিবার মিলে এসব গাছ পরিচর্যা করতেন। কিন্তু কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই দুর্বৃত্তরা অতর্কিতে পানজুমে হানা দিয়ে রাতের আঁধারে কেটে ফেলে পুরো বাগান।
ক্ষতিগ্রস্ত পানের গাছগুলো এই মাসেই উত্তোলনের উপযোগী ছিল এবং প্রতিটি গাছে গড়ে ৫৫০ টাকার পান ছিল, যার মোট বাজারমূল্য প্রায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জানা যায়, বছরে পাঁচ থেকে ছয়বার পান সংগ্রহ করা গেলেও একটি জুম উৎপাদনে উপযোগী হতে প্রায় দুই বছর সময় লাগে। প্রতিটি জুমে ১৫-২০ জন কর্মী নিয়মিতভাবে কাজ করে এবং উৎপাদিত পানের আয় থেকে প্রায় ৭৫% অর্থ ব্যয় হয় এই শ্রমিক ও চাষ ব্যবস্থাপনার পেছনে।
এ ঘটনায় শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতিই নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও চরম আঘাত পেয়েছে খাসিয়া সম্প্রদায়। পানজুম তাদের আত্মপরিচয়ের অংশ, যা একে একে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা এবং তাদের বসতি থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
খাসিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তারা বলছেন, বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও অধিকাংশ সময় দায়ীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে খাসিয়াদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা আরও বাড়বে।