সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ প্রায় ১৩ দিন ধরে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ১৬ জুলাই থেকে এই উপকেন্দ্র থেকে বন্ধ বিদ্যুৎ সরবরাহ। এটি কবে নাগাদ সচল হবে তা নিয়ে নেই সঠিক কোনো নির্দেশনা। অতীতে সিলেটের যেকোনো সংকটে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এগিয়ে এলেও এবার তারাও এ বিষয়ে চুপ। এনিয়ে ক্ষোভ জমেছে সাধারণ নাগরিকের মনেও।
কুমারগাও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রের একটি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়েছে। তা সংস্কারে কাজ চলছে। আর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র সচল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমারগাও বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে সিলেট, মৌলভীবাজার সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে স্থানীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এটি বন্ধ থাকায় সিলেটে এখন শুধু জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার (এনএলডিসি)। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় সিলেট অঞ্চলে লোডশেডিং তীব্র আকার ধারণ করেছে। গরমের মধ্যে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
সংস্কার কাজ চলছে জানিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির ইমজা নিউজকে, কবে নাগাদ এটি চালু হবে তা এখনি বলা যাচ্ছে না।
সিলেটের এতো বড় ভোগান্তি নিয়ে একেবারেই চুপ সিলেটের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। বাম-ডানসহ রাজনৈতিক দল বা নেতার এ বিষয়ে কোনো কর্মসূচি, বিবৃতি বা নূন্যতম কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি নাগরিকদের। তাদের প্রশ্ন, জনগণের জন্য রাজনীতি যারা করেন, তাদের এই উদাসীনতা কেনো?
সিলেটের নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক আব্দুল করিম কিম বলেন, সরকারে মনে হচ্ছে সিলেটের প্রতিনিধি নেই। তাই এমনটি হচ্ছে।
পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো নিজের নানা সংকট, পারস্পরিক সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত। ফলে জনভোগান্তি নিয়ে আন্দোলন বা চিন্তার সময় তাদের নেই।
স্থপতি রাজন দাস বলেন, জনগণের কাছ থেকে রাজনীতিবিদরা দূরে সরে গেছেন। প্রতিটি দল নিজেদের এজেন্ডা নিয়ে ব্যস্ত। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, কর্মসূচি এসব নিয়েই তারা ব্যস্ত। জনগণের কিসে ভালো, তাতে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। কিন্তু কথা ছিলো রাজনীতি হবে জনগণের জন্য।
আর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্ল্যাহ শহিদুল ইসলাম বলেন, অসেচতনতার কারণেই সিলেটের রাজনীতিবিদদের নজরে বিষয়টি আসেনি। এটি তাদের ব্যর্থতা। নজরে এলে তারা নিশ্চয়ই পদক্ষেপ নিবেন। তবে রাজনীতিবিদদের জনগণের ইস্যু নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হয়। তা না হলে জনগণ তাদের উপর হতাশ হয়।
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ প্রায় ১৩ দিন ধরে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ১৬ জুলাই থেকে এই উপকেন্দ্র থেকে বন্ধ বিদ্যুৎ সরবরাহ। এটি কবে নাগাদ সচল হবে তা নিয়ে নেই সঠিক কোনো নির্দেশনা। অতীতে সিলেটের যেকোনো সংকটে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এগিয়ে এলেও এবার তারাও এ বিষয়ে চুপ। এনিয়ে ক্ষোভ জমেছে সাধারণ নাগরিকের মনেও।
কুমারগাও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রের একটি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়েছে। তা সংস্কারে কাজ চলছে। আর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র সচল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমারগাও বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে সিলেট, মৌলভীবাজার সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে স্থানীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এটি বন্ধ থাকায় সিলেটে এখন শুধু জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার (এনএলডিসি)। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় সিলেট অঞ্চলে লোডশেডিং তীব্র আকার ধারণ করেছে। গরমের মধ্যে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
সংস্কার কাজ চলছে জানিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির ইমজা নিউজকে, কবে নাগাদ এটি চালু হবে তা এখনি বলা যাচ্ছে না।
সিলেটের এতো বড় ভোগান্তি নিয়ে একেবারেই চুপ সিলেটের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। বাম-ডানসহ রাজনৈতিক দল বা নেতার এ বিষয়ে কোনো কর্মসূচি, বিবৃতি বা নূন্যতম কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি নাগরিকদের। তাদের প্রশ্ন, জনগণের জন্য রাজনীতি যারা করেন, তাদের এই উদাসীনতা কেনো?
সিলেটের নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক আব্দুল করিম কিম বলেন, সরকারে মনে হচ্ছে সিলেটের প্রতিনিধি নেই। তাই এমনটি হচ্ছে।
পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো নিজের নানা সংকট, পারস্পরিক সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত। ফলে জনভোগান্তি নিয়ে আন্দোলন বা চিন্তার সময় তাদের নেই।
স্থপতি রাজন দাস বলেন, জনগণের কাছ থেকে রাজনীতিবিদরা দূরে সরে গেছেন। প্রতিটি দল নিজেদের এজেন্ডা নিয়ে ব্যস্ত। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, কর্মসূচি এসব নিয়েই তারা ব্যস্ত। জনগণের কিসে ভালো, তাতে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। কিন্তু কথা ছিলো রাজনীতি হবে জনগণের জন্য।
আর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্ল্যাহ শহিদুল ইসলাম বলেন, অসেচতনতার কারণেই সিলেটের রাজনীতিবিদদের নজরে বিষয়টি আসেনি। এটি তাদের ব্যর্থতা। নজরে এলে তারা নিশ্চয়ই পদক্ষেপ নিবেন। তবে রাজনীতিবিদদের জনগণের ইস্যু নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হয়। তা না হলে জনগণ তাদের উপর হতাশ হয়।