নীলফামারীর ডিমলায় পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে যুবককে গাছে উল্টো দিকে ঝুলিয়ে বেধড়ক পিঠিয়ে হত্যার চেষ্টার দৃশ্য ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করে দেয়ার ঘটনা মানবধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকার সচেতনমহল। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের গেন্দির বাজার নামক স্থানে জামাল ম-লের ছেলে আবুল কালাম আজাদের (৩০) সঙ্গে একই এলাকার ছলেমান ইসলামের ছেলে রমজান আলীর (৩২) সঙ্গে ১০ হাজার টাকা পওনা নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন গত ১৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে স্থানীয় গেন্দির বাজারে রমজান আলীর সঙ্গে আবুল কালাম আজাদের দেখা হলে আবুল কালাম আজাদ পাওনা ১০ হাজার টাকা চাইলে শিগগিরই পাওনা টাকা পরিশোধ করবে মর্মে আশ্বস্ত করে ওই বাজারের একটি চায়ের দোকানে উভয়ে চা পান করে। ঘটনা দিবাগত রাত ১২টার দিকে অভিযুক্ত রমজান আলী তার সঙ্গীয় মমিকুল ইসলামসহ আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে গিয়ে পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে আবুল কালামকে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় আবুল কালামের স্ত্রী রোজিনা বেগম ও তার মা কোহিনুর বেগম গভীর রাতে বাইরে যেতে নিষেধ করলে রমজান আলী ও তার সঙ্গী মমিকুল জানায় কিছুক্ষণের মধ্যেই আবুল কালাম আজাদকে বাড়িতে রেখে যাব। এরপর আবুল কালাম আজাদকে রমজান আলী তার নিজ বাড়িতে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে মুক্তিপণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। আবুল কালাম আজাদ ও তার পরিবারের লোকজন মুক্তিপণের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রমজান আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী তিস্তা নদীতে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিস্তা নদীতে মাছ ধরার লোকজন থাকার কারণে। পরবর্তীতে রাত ৩টার দিকে রমজান আলী তার লোকজন নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ইউক্লিপটাস গাছে উল্টো করে ঝুলিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায় এবং নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইলের ধারণ করে। আবুল কালাম আজাদ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে বিপদ বুঝতে পেরে রমজান আলী ও তার লোকজন চোর চোর বলিয়া শোর চিৎকার করে প্রতিবেশী লোকজনদের ডাকেন। আবুল কালাম আজাদকে গাছে উল্টো দিকে ঝুলে নির্যাতনের দৃশ্য ফেসবুকে ছেড়ে দিলে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সংবাদ পেয়ে পশ্চিম ছাতনাই ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও গ্রাম্য পুলিশ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধার করেন। প্যানেল চেয়ারম্যান, আতিকুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ডিমলা থানার ওসির সাহায্য চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহায়তায় অনেক পরে ঘটনাস্থলে পুলিশে এসে আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদের পিতা মো. রমজান আলী ঘটনার পরদিন ডিমলা থানায় একটি লিখিত এজাহার দিলেও অদ্যবধি আইনগত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বাদী অভিযোগ করেন, অজানা কারণে ডিমলা থানার ওসি অভিযুক্তদের বাঁচানোর জন্য ঘটনাটি ধামাচাপা দিচ্ছেন। অভিযোগ দেয়ার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাই। বারবার অনুরোধ করেও তিনি কোন কথাই শুনছেন না।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলে এলাহী জানান, এই ঘটনার ব্যাপারে মামলা না নিতে উপরের নিষেধ আছে।
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলায় পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে যুবককে গাছে উল্টো দিকে ঝুলিয়ে বেধড়ক পিঠিয়ে হত্যার চেষ্টার দৃশ্য ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করে দেয়ার ঘটনা মানবধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকার সচেতনমহল। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের গেন্দির বাজার নামক স্থানে জামাল ম-লের ছেলে আবুল কালাম আজাদের (৩০) সঙ্গে একই এলাকার ছলেমান ইসলামের ছেলে রমজান আলীর (৩২) সঙ্গে ১০ হাজার টাকা পওনা নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন গত ১৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে স্থানীয় গেন্দির বাজারে রমজান আলীর সঙ্গে আবুল কালাম আজাদের দেখা হলে আবুল কালাম আজাদ পাওনা ১০ হাজার টাকা চাইলে শিগগিরই পাওনা টাকা পরিশোধ করবে মর্মে আশ্বস্ত করে ওই বাজারের একটি চায়ের দোকানে উভয়ে চা পান করে। ঘটনা দিবাগত রাত ১২টার দিকে অভিযুক্ত রমজান আলী তার সঙ্গীয় মমিকুল ইসলামসহ আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে গিয়ে পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে আবুল কালামকে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় আবুল কালামের স্ত্রী রোজিনা বেগম ও তার মা কোহিনুর বেগম গভীর রাতে বাইরে যেতে নিষেধ করলে রমজান আলী ও তার সঙ্গী মমিকুল জানায় কিছুক্ষণের মধ্যেই আবুল কালাম আজাদকে বাড়িতে রেখে যাব। এরপর আবুল কালাম আজাদকে রমজান আলী তার নিজ বাড়িতে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে মুক্তিপণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। আবুল কালাম আজাদ ও তার পরিবারের লোকজন মুক্তিপণের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রমজান আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী তিস্তা নদীতে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিস্তা নদীতে মাছ ধরার লোকজন থাকার কারণে। পরবর্তীতে রাত ৩টার দিকে রমজান আলী তার লোকজন নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ইউক্লিপটাস গাছে উল্টো করে ঝুলিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায় এবং নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইলের ধারণ করে। আবুল কালাম আজাদ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে বিপদ বুঝতে পেরে রমজান আলী ও তার লোকজন চোর চোর বলিয়া শোর চিৎকার করে প্রতিবেশী লোকজনদের ডাকেন। আবুল কালাম আজাদকে গাছে উল্টো দিকে ঝুলে নির্যাতনের দৃশ্য ফেসবুকে ছেড়ে দিলে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সংবাদ পেয়ে পশ্চিম ছাতনাই ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও গ্রাম্য পুলিশ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধার করেন। প্যানেল চেয়ারম্যান, আতিকুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ডিমলা থানার ওসির সাহায্য চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহায়তায় অনেক পরে ঘটনাস্থলে পুলিশে এসে আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদের পিতা মো. রমজান আলী ঘটনার পরদিন ডিমলা থানায় একটি লিখিত এজাহার দিলেও অদ্যবধি আইনগত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বাদী অভিযোগ করেন, অজানা কারণে ডিমলা থানার ওসি অভিযুক্তদের বাঁচানোর জন্য ঘটনাটি ধামাচাপা দিচ্ছেন। অভিযোগ দেয়ার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাই। বারবার অনুরোধ করেও তিনি কোন কথাই শুনছেন না।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলে এলাহী জানান, এই ঘটনার ব্যাপারে মামলা না নিতে উপরের নিষেধ আছে।