চাটমোহর (পাবনা) : এইভাবেই কাদা মাড়িয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করে ছাত্রছাত্রীরা -সংবাদ
স্বাধীনতার ৫৫ বছর পার হলেও পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার একটি গ্রামে এখনো পা ফেলতে হয় কাদা-পানির সড়কে। উপজেলার ছাইকোলা ও নিমাইচড়া দুই ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত বনমালী নগর নামের গ্রামটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত মামাখালী নামে। গ্রামজুড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী সবই রয়েছে। নেই শুধু একটি পাকা রাস্তা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মামাখালী গ্রামের পূর্বপাড়া থেকে বরদানগর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাচা সড়কটি প্রতি বছর বর্ষায় তলিয়ে যায়। তখন তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত গ্রামের মানুষ কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটায়। শুধু যানবাহন নয়, হেঁটে চলাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। স্কুলগামী শিশুরা প্রতিদিন ভিজে যায়, হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে কাদায় বইপত্র নষ্ট হয়। গ্রামটির একাংশ ছাইকোলা ইউনিয়নের অধীনে, আরেক অংশ নিমাইচড়া ইউনিয়নে পড়ায় উন্নয়ন উদ্যোগ বিভক্ত হয়ে পড়ে। ফলে পুরো এলাকাটি থেকে যায় সুবিধাবঞ্চিত। এলাকাবাসীর দাবি, মামাখালী পূর্বপাড়া থেকে বরদানগর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি প্রথমে উঁচু করে তারপর পাকা করা হোক। এটিই তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এবং দীর্ঘদিনের স্বপ্ন।
স্থানীয় বৃদ্ধ আব্দুল হাকিম বলেন, এতদিন হইল স্বাধীনতা হইছে, কিন্তু রাস্তা পাকা হয় নাই। কাদায় গরু চলে না, মানুষ চলবে কীভাবে? বর্ষায় তো আমরা ঘরবন্দি হইয়া থাকি।
গৃহবধূ সাবিনা খাতুন বলেন, আমার ছোট ছেলে স্কুলে পড়ে। প্রায়ই বই খাতা ভিজে যায়। কখনো কাদায় পড়ে যায়, তখন খুব কষ্ট লাগে।
স্থানীয় বাসিন্দা আছান দর্জি বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় সবাই আসে রাস্তা পাকাবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। কিন্তু ভোট শেষ হলে আর কেউ ফিরে তাকায় না।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা জয়দার আলী বলেন, বর্ষাকালে রাস্তা এমন পিচ্ছিল আর কাদা হয় যে, মুসুল্লিরা সময়মতো নামাজেও আসতে পারে না। গ্রামের সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ হলেও কাচা রাস্তায় কেউ নামাজে যেতে পারে না, এটা খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
চাটমোহর (পাবনা) : এইভাবেই কাদা মাড়িয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করে ছাত্রছাত্রীরা -সংবাদ
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
স্বাধীনতার ৫৫ বছর পার হলেও পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার একটি গ্রামে এখনো পা ফেলতে হয় কাদা-পানির সড়কে। উপজেলার ছাইকোলা ও নিমাইচড়া দুই ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত বনমালী নগর নামের গ্রামটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত মামাখালী নামে। গ্রামজুড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী সবই রয়েছে। নেই শুধু একটি পাকা রাস্তা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মামাখালী গ্রামের পূর্বপাড়া থেকে বরদানগর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাচা সড়কটি প্রতি বছর বর্ষায় তলিয়ে যায়। তখন তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত গ্রামের মানুষ কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটায়। শুধু যানবাহন নয়, হেঁটে চলাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। স্কুলগামী শিশুরা প্রতিদিন ভিজে যায়, হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে কাদায় বইপত্র নষ্ট হয়। গ্রামটির একাংশ ছাইকোলা ইউনিয়নের অধীনে, আরেক অংশ নিমাইচড়া ইউনিয়নে পড়ায় উন্নয়ন উদ্যোগ বিভক্ত হয়ে পড়ে। ফলে পুরো এলাকাটি থেকে যায় সুবিধাবঞ্চিত। এলাকাবাসীর দাবি, মামাখালী পূর্বপাড়া থেকে বরদানগর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি প্রথমে উঁচু করে তারপর পাকা করা হোক। এটিই তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এবং দীর্ঘদিনের স্বপ্ন।
স্থানীয় বৃদ্ধ আব্দুল হাকিম বলেন, এতদিন হইল স্বাধীনতা হইছে, কিন্তু রাস্তা পাকা হয় নাই। কাদায় গরু চলে না, মানুষ চলবে কীভাবে? বর্ষায় তো আমরা ঘরবন্দি হইয়া থাকি।
গৃহবধূ সাবিনা খাতুন বলেন, আমার ছোট ছেলে স্কুলে পড়ে। প্রায়ই বই খাতা ভিজে যায়। কখনো কাদায় পড়ে যায়, তখন খুব কষ্ট লাগে।
স্থানীয় বাসিন্দা আছান দর্জি বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় সবাই আসে রাস্তা পাকাবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। কিন্তু ভোট শেষ হলে আর কেউ ফিরে তাকায় না।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা জয়দার আলী বলেন, বর্ষাকালে রাস্তা এমন পিচ্ছিল আর কাদা হয় যে, মুসুল্লিরা সময়মতো নামাজেও আসতে পারে না। গ্রামের সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ হলেও কাচা রাস্তায় কেউ নামাজে যেতে পারে না, এটা খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।