বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে শিবালয়ের জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। স্থানীয় স্কুলগুলোতে উপস্থিতি কমে গেছে সত্তর ভাগ।
শিবালয় উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি ঘর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। কয়েকটি এলাকায় ও স্কুলে ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় তারা খুবই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। একই কারণে উপজেলার অনেক স্কুলের মাঠ এবং আঙ্গিনা তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে শিবালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নিহালপুর ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে চলমান বৃষ্টিতে পানি জমে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। একটানা ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হলেও পানি নিষ্কাশনে নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গিয়ে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এদিকে আরিচা-জাফরগঞ্জ রাস্তার নিহালপুর এলাকায় রাস্তার মাঝে জলাবদ্ধতার কারণে পথচারি, রিক্সা,ভ্যান অটোসহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচলে ভীষণ অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই সমস্যা দিন দিন আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। অতিদ্রুত পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী এবং এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী জনগণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠে এখনও হাঁটু পানি রয়েছে। প্রায় ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে এই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিদিন এই পানির মধ্যেই স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ সময় অনেকে পা পিছলে পড়ে গিয়ে জামা-কাপড় পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যচ্ছে। ইতোমধ্যেই অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগ এখন তাদের নিত্য সঙ্গী। ময়লা পানিতে চলাফেরা করায় শিক্ষার্থীদের পায়ে ঘা হওয়াসহ নানা ধরনের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিদ্যালয় মাঠে পানি জমে থাকায় শরীর চর্চা ও খেলা-ধুলা করতে পারছে না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। যে কারণে স্কুলের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রমে অনেকটাই বিঘ্ন ঘটছে। মঙ্গলবার স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু শ্রেণীতে ১৮জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০জন, ১ম শ্রেণীতে ১৮ জনের মধ্যে ৪ জন, ২য় শ্রেণীতে ২১ জনের মধ্যে ৮জন, ৩য় শ্রেণীতে ১৬ জনের মধ্যে ৭ জন, ৪র্থ শ্রেণীতে ২০ জনের মধ্যে ৮ জন এবং ৫ম শ্রেণীতে ১০ জনের মধ্যে ৪ জন শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল।
শিবালয় উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম বাবুল হোসেন বাবু বলেন, পানি নিস্কাশনের কোন ব্যাবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই রাস্তা এবং স্কুলের আঙ্গিনায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিগত তিন মাসে বেশ কয়েকবার এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে একটানা ১৫দিনের বৃষ্টিতে আরিচা-জাফরগঞ্জ জন-গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর এবং স্কুলের আঙ্গিনায় হাটু পানি জমেছে। এতে রাস্তা দিয়ে পথচারি এবং রিক্সা-ভ্যান, অটো রিক্সাসহ ছোট যানবাহন চলাচলে অসুবিধার হচ্ছে।বিষয়টি শিবালয় উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে জানানো হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে উক্ত স্থানে বার বার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। জরুরি ভিত্তিতে এখানে একটি ড্রেন নির্মাণ করা দরকার বলেও তিনি জানান।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসিমা অক্তার জানান, পানি নিষ্কাশনের কোন সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তার নিচু অংশে পানি জমে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় প্রবেশ করে। বৃষ্টি বেশী হলে মাঠে হাটু পানি হয় এবং পানি উপচে মানুষের বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করে। ফলে স্কুলে আসা-যাওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এর ফলে ছেলে মেয়েরা স্কুলে আসতে চাচ্ছে না। জলাবদ্ধতার কারণে একদিকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও অনেকটা কমে যাচ্ছে এবং পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে। পানি নিস্কাশন এবং রাস্তা ও স্কুল মাঠের জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি শিবালয় উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মো.আমিনুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি তিনি জানেন না এবং তাকে কেউ অবহিতও করেননি। আপনার কাছ থেকে জানলাম। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দেন তিনি।
শিবালয় উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছেন, আরিচা-জাফরগঞ্জ রাস্তার জলাবদ্ধতার স্থানটি আমরা দেখেছি। উক্ত স্থানে একটি ড্রেন নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, উক্ত বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছি। জরুরি ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে বলে দিচ্ছি। পরবর্তীতে উক্ত স্থানে একটি ড্রেন নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে পানি নিস্কাশনের আশ্বাস দেন তিনি।
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে শিবালয়ের জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। স্থানীয় স্কুলগুলোতে উপস্থিতি কমে গেছে সত্তর ভাগ।
শিবালয় উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি ঘর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। কয়েকটি এলাকায় ও স্কুলে ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় তারা খুবই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। একই কারণে উপজেলার অনেক স্কুলের মাঠ এবং আঙ্গিনা তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে শিবালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নিহালপুর ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে চলমান বৃষ্টিতে পানি জমে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। একটানা ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হলেও পানি নিষ্কাশনে নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গিয়ে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এদিকে আরিচা-জাফরগঞ্জ রাস্তার নিহালপুর এলাকায় রাস্তার মাঝে জলাবদ্ধতার কারণে পথচারি, রিক্সা,ভ্যান অটোসহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচলে ভীষণ অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই সমস্যা দিন দিন আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। অতিদ্রুত পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী এবং এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী জনগণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠে এখনও হাঁটু পানি রয়েছে। প্রায় ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে এই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিদিন এই পানির মধ্যেই স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ সময় অনেকে পা পিছলে পড়ে গিয়ে জামা-কাপড় পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যচ্ছে। ইতোমধ্যেই অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগ এখন তাদের নিত্য সঙ্গী। ময়লা পানিতে চলাফেরা করায় শিক্ষার্থীদের পায়ে ঘা হওয়াসহ নানা ধরনের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিদ্যালয় মাঠে পানি জমে থাকায় শরীর চর্চা ও খেলা-ধুলা করতে পারছে না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। যে কারণে স্কুলের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রমে অনেকটাই বিঘ্ন ঘটছে। মঙ্গলবার স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু শ্রেণীতে ১৮জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০জন, ১ম শ্রেণীতে ১৮ জনের মধ্যে ৪ জন, ২য় শ্রেণীতে ২১ জনের মধ্যে ৮জন, ৩য় শ্রেণীতে ১৬ জনের মধ্যে ৭ জন, ৪র্থ শ্রেণীতে ২০ জনের মধ্যে ৮ জন এবং ৫ম শ্রেণীতে ১০ জনের মধ্যে ৪ জন শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল।
শিবালয় উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম বাবুল হোসেন বাবু বলেন, পানি নিস্কাশনের কোন ব্যাবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই রাস্তা এবং স্কুলের আঙ্গিনায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিগত তিন মাসে বেশ কয়েকবার এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে একটানা ১৫দিনের বৃষ্টিতে আরিচা-জাফরগঞ্জ জন-গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর এবং স্কুলের আঙ্গিনায় হাটু পানি জমেছে। এতে রাস্তা দিয়ে পথচারি এবং রিক্সা-ভ্যান, অটো রিক্সাসহ ছোট যানবাহন চলাচলে অসুবিধার হচ্ছে।বিষয়টি শিবালয় উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে জানানো হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে উক্ত স্থানে বার বার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। জরুরি ভিত্তিতে এখানে একটি ড্রেন নির্মাণ করা দরকার বলেও তিনি জানান।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসিমা অক্তার জানান, পানি নিষ্কাশনের কোন সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তার নিচু অংশে পানি জমে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় প্রবেশ করে। বৃষ্টি বেশী হলে মাঠে হাটু পানি হয় এবং পানি উপচে মানুষের বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করে। ফলে স্কুলে আসা-যাওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এর ফলে ছেলে মেয়েরা স্কুলে আসতে চাচ্ছে না। জলাবদ্ধতার কারণে একদিকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও অনেকটা কমে যাচ্ছে এবং পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে। পানি নিস্কাশন এবং রাস্তা ও স্কুল মাঠের জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি শিবালয় উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মো.আমিনুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি তিনি জানেন না এবং তাকে কেউ অবহিতও করেননি। আপনার কাছ থেকে জানলাম। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দেন তিনি।
শিবালয় উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছেন, আরিচা-জাফরগঞ্জ রাস্তার জলাবদ্ধতার স্থানটি আমরা দেখেছি। উক্ত স্থানে একটি ড্রেন নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, উক্ত বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছি। জরুরি ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে বলে দিচ্ছি। পরবর্তীতে উক্ত স্থানে একটি ড্রেন নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে পানি নিস্কাশনের আশ্বাস দেন তিনি।