মানিকগঞ্জের ঘিওর-দৌলতপুর ২টি উপজেলা সদরের সাথে ঘিওর-কুস্তা, পারমাস্তুল- বিষ্টপুর, জিয়নপুর ও খলসী সড়টি দীর্ঘদিন যাবত মেরামত না করার দরুন ৪টি ইউনিয়নের ২০/২২টি গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জনগনকে চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, কয়েক বছরের অতি বৃষ্টি এবং বন্যায় রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে পানি জমে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নারচী, পারমাস্তুল বিষ্টপুর, কুমুরিয়া, বেগুন নারচী, কুস্তা, জিয়নপুর, খলসী সহ ৪টি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক লোকজনকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যার কারনে গ্রামীন রাস্তাগুলোতে ঘটছে প্রতিনিয়ত দুঃর্ঘটনা। দীর্ঘ ১৬/১৭টি বছর অতিবাহিত হবার পরেও রাস্তাটি মেরামত না করায় এলাকার জনগনের মাঝে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ঘিওর- পারমাস্তুল-খলসী সড়কটি সব চেয়ে গুরত্বপূর্ন ও ব্যস্ততম সড়ক। দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি মেরামত না করার দরুন ২০/২২টি গ্রামের লোকজন অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। এলাকার ব্যবসায়ীদের ধান, চাল, আলু, পাট ভুট্রাসহ কৃষিপণ্য বিভিন্ন ধরনের মালামাল এবং স্কুল, কলেজের কমলমোতি শিক্ষার্থীরা বহু কষ্ট করে আসা যাওয়া করে। ব্যবসায়ীদের নিতৃপ্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিক ভাড়া ব্যয় করতে হচ্ছে। রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে অটোরিকসা, সিএনজি অটোবাইক সাইড দিতে গিয়ে খাদে পরে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সকল প্রকার যানবাহন। সড়কগুলোর উন্নয়ন কাজে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন মাথা ব্যথা নেই। স্থানীয় লোকজন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে রাস্তাটির অবস্থা খুবই ভয়াবহ। অসুস্থ রোগী ও প্রসুতি মায়েদের নিয়ে আমরা ঘিওর ও দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে পারিনা। শুস্ক মৌসুমে হাটু পর্যন্ত বালু থাকে। বৃষ্টির সময়ে কাঁদা ও খানাখন্দে চলাচল করা কঠিন হয়ে পরে। ভোটের সময়ে অনেক নেতারা রাস্তাটি পাঁকা করনের আশ^াস দিলেও আলোর মুখ দেখেনি। প্রশাসন যদি রাস্তাটি মেরামত করে দিতেন তা হলে আমাদের কষ্ট লাঘব হতো। পারমাস্তুল গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, এই রাস্তাটি কাঁচা থাকায় বৃষ্টির সময়ে কাঁদা জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরে। গ্রামীন রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। বহুবার রাস্তাটি পাঁকা করনের দাবি করলেও কাজ হচ্ছেনা। এ জন্য দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকার সচেতন মহলের । খলসী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, রাস্তাটি বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ হয়েছে। চলাচলের জন্য ইতোমধ্যে কিছু বালু ফেলা হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মহাসিন উল হাসান বলেন, আমি রাস্তাটি সর্স্পকে অবগত আছি। রাস্তাটি মেরামতের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিয়ান নুরেন জানান, আমরা ইতোমধ্যে নারচী, পারমাস্তুল, বিনোদপুর, বিষ্টপুর, কুমুরিয়া, বেগুন নারচী, কুস্তা, রাস্তাটির একটি প্রস্থাবনা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে জরুরী ভিত্তিত্বে কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
মানিকগঞ্জের ঘিওর-দৌলতপুর ২টি উপজেলা সদরের সাথে ঘিওর-কুস্তা, পারমাস্তুল- বিষ্টপুর, জিয়নপুর ও খলসী সড়টি দীর্ঘদিন যাবত মেরামত না করার দরুন ৪টি ইউনিয়নের ২০/২২টি গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জনগনকে চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, কয়েক বছরের অতি বৃষ্টি এবং বন্যায় রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে পানি জমে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নারচী, পারমাস্তুল বিষ্টপুর, কুমুরিয়া, বেগুন নারচী, কুস্তা, জিয়নপুর, খলসী সহ ৪টি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক লোকজনকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যার কারনে গ্রামীন রাস্তাগুলোতে ঘটছে প্রতিনিয়ত দুঃর্ঘটনা। দীর্ঘ ১৬/১৭টি বছর অতিবাহিত হবার পরেও রাস্তাটি মেরামত না করায় এলাকার জনগনের মাঝে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ঘিওর- পারমাস্তুল-খলসী সড়কটি সব চেয়ে গুরত্বপূর্ন ও ব্যস্ততম সড়ক। দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি মেরামত না করার দরুন ২০/২২টি গ্রামের লোকজন অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। এলাকার ব্যবসায়ীদের ধান, চাল, আলু, পাট ভুট্রাসহ কৃষিপণ্য বিভিন্ন ধরনের মালামাল এবং স্কুল, কলেজের কমলমোতি শিক্ষার্থীরা বহু কষ্ট করে আসা যাওয়া করে। ব্যবসায়ীদের নিতৃপ্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিক ভাড়া ব্যয় করতে হচ্ছে। রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে অটোরিকসা, সিএনজি অটোবাইক সাইড দিতে গিয়ে খাদে পরে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সকল প্রকার যানবাহন। সড়কগুলোর উন্নয়ন কাজে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন মাথা ব্যথা নেই। স্থানীয় লোকজন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে রাস্তাটির অবস্থা খুবই ভয়াবহ। অসুস্থ রোগী ও প্রসুতি মায়েদের নিয়ে আমরা ঘিওর ও দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে পারিনা। শুস্ক মৌসুমে হাটু পর্যন্ত বালু থাকে। বৃষ্টির সময়ে কাঁদা ও খানাখন্দে চলাচল করা কঠিন হয়ে পরে। ভোটের সময়ে অনেক নেতারা রাস্তাটি পাঁকা করনের আশ^াস দিলেও আলোর মুখ দেখেনি। প্রশাসন যদি রাস্তাটি মেরামত করে দিতেন তা হলে আমাদের কষ্ট লাঘব হতো। পারমাস্তুল গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, এই রাস্তাটি কাঁচা থাকায় বৃষ্টির সময়ে কাঁদা জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরে। গ্রামীন রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। বহুবার রাস্তাটি পাঁকা করনের দাবি করলেও কাজ হচ্ছেনা। এ জন্য দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকার সচেতন মহলের । খলসী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, রাস্তাটি বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ হয়েছে। চলাচলের জন্য ইতোমধ্যে কিছু বালু ফেলা হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মহাসিন উল হাসান বলেন, আমি রাস্তাটি সর্স্পকে অবগত আছি। রাস্তাটি মেরামতের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিয়ান নুরেন জানান, আমরা ইতোমধ্যে নারচী, পারমাস্তুল, বিনোদপুর, বিষ্টপুর, কুমুরিয়া, বেগুন নারচী, কুস্তা, রাস্তাটির একটি প্রস্থাবনা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে জরুরী ভিত্তিত্বে কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।