alt

সারাদেশ

রাজশাহীতে শেষ সময়ে আমের দাম বৃদ্ধি

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী : বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

রাজশাহী : আড়তগুলোতে আমের স্তূপ সাজিয়ে রেখেছেন চাষিরা সংবাদ

রাজশাহী অঞ্চলে কাটিমন এবং গৌড়মতি আম সাধারণত আমের মৌসুমের শেষে পাওয়া যায়। কাটিমন আম সারা বছর পাওয়া গেলেও গৌড়মতি আম সাধারণত ১৫ জুলাই থেকে বাজারে পাওয়া যায়।

রাজশাহীতে আমের বাজার সাধারণত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় এবং জুলাই মাস পর্যন্ত চলে। আমের জাত অনুসারে বাজারজাতকরণের সময়সীমা নির্ধারিত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, গোপালভোগ আম সাধারণত ২০ মে থেকে পাওয়া যায়, ল্যাংড়া ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো ১০ জুন থেকে, এবং ফজলি ও আম্রপালি ১৫ জুন থেকে বাজারে পাওয়া যায়।

গৌড়মতি আম সাধারণত ১৫ জুলাই থেকে পাওয়া যায়, এবং এটি মৌসুমের শেষের দিকে পাওয়া যায়। কাটিমন আম সারা বছর পাওয়া গেলেও, সাধারণত আমের মৌসুমের শেষে এর সরবরাহ বাড়ে। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ম্যাংগো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আম পাড়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়, যাতে অপরিপক্ব আম বাজারজাত করা না হয়।

রাজশাহীতে আমের ভরা মৌসুম শেষ হতেই হু হু করে বেড়েছে দাম। মাসখানেক আগেও যেখানে ভালো মানের আম প্রতি মণ দেড়-দুই হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে এখন দাম উঠেছে সাত থেকে আট হাজার টাকায়। সরবরাহ কমে যাওয়া এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আমের মৌসুম প্রায় শেষ হয়ে আসায় এই দাম বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ী ও চাষিরা। এই বাড়তি দরেও ক্রেতাদের চাহিদা কমেনি, তবে পরিমাণে কম কিনছেন তাঁরা।

মঙ্গলবার রাজশাহী নগরের রেলস্টেশন রোডের পার্শ্ববর্তী আমের আড়তগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা থাকলেও ভরা মৌসুমের সেই ব্যস্ততা নেই। আড়তগুলোতে এখন মূলত আম্রপালি, বারি-৪, ফজলি, গৌরমতি, আশ্বিনা, কাটিমণ ও ব্যানানা ম্যাঙ্গোর মতো নাবি জাতের আমই বেশি। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বাজারে আমের সরবরাহ প্রায় শেষ হওয়ায় এখন রাজশাহীর বাজারই ভরসা। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বাজারেই এখন আম পাওয়া যাচ্ছে।

বাঘা উপজেলার খাবাসপুর এলাকা থেকে আসা সততা ফল ভান্ডারের মালিক সেকেন্দার আলী জানান, নওগাঁর সাপাহার থেকে বাছাই করে আম এনেছেন তিনি। তাঁর আড়তে এখন আম্রপালি, বারি-৪, ফজলি, আশ্বিনা, গৌরমতি, কাটিমণ ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো—এই সাত জাতের আম মিলছে। তিনি বলেন,“মৌসুমের শুরুতে খারাপ আবহাওয়ায় সব আম একসঙ্গে পেকে যাওয়ায় দাম একেবারে কম ছিল। পাইকারিতে ২৫ টাকা কেজিও বিক্রি করেছি। কিন্তু ১৫ দিনের ব্যবধানে সেই দাম এখন দ্বিগুণেরও বেশি।”

তাঁর আড়তে ভালো মানের আম্রপালি, কাটিমণ ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো পাইকারি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর গৌরমতি, বারি-৪ ও ফজলি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২৫ টাকা এবং আশ্বিনা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। আরেক আড়তদার শফিকুল ইসলাম জানান, মাঝারি মানের আম এখন প্রতিমণ সাড়ে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর সবচেয়ে ভালো মানের আমের দাম উঠছে সাত থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত।

চাহিদা থাকায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও চড়া দামে আম বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের আমের বড় একটি অংশ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে। কিছুটা নিম্নমানের আম স্থানীয় ভ্যানচালকেরা কিনে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় ফেরি করে বিক্রি করছেন।

ভ্যানচালক আসলাম সরকার জানান, তিনি লক্ষ্মীপুর মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্যানে করে আম বিক্রি করেন। সোমবার তিনি ৬০ টাকা কেজিতে ফজলি ও বারি-৪ আম কিনেছেন, যা তিনি ৯০ টাকা দরে বিক্রি করবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, আমের মৌসুম প্রায় পাঁচ মাস চলে, যার মধ্যে জুন ও জুলাই মাসে বাজার সবচেয়ে রমরমা থাকে। এ বছর ভালো ফলন হলেও মৌসুমের শুরুতে দাম কম ছিল। কিন্তু এখন মৌসুম প্রায় শেষের দিকে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দাম বেড়েছে। আগামী মাসখানেক বাজারে আশ্বিনা, গৌরমতি, বারি-৪, ও ফজলি জাতের আম পাওয়া যাবে। এরপর এই মৌসুমের মতো আমের বেচাকেনা শেষ হয়ে আসবে।

ছবি

বগুড়ায় যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, বিক্ষোভের ডাক

ছবি

মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপির পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ৩৫

ছবি

এনসিপির কর্মসূচিতে যেতে ‘বাধ্য করার’ প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রদের বিক্ষোভ

ছবি

জেলা প্রশাসক আসবেন, তাই রাতারাতি স্কুলের মাঠে তৈরি হলো রাস্তা

ছবি

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ-হামলার ঘটনায় ১৪ মামলা, গ্রেপ্তার ৩২৮

ছবি

আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংঘর্ষ, দায় নিচ্ছে না কেউ

ছবি

পারিবারিক কলহে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামী পলাতক

তেঁতুলিয়ায় ইউপির পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তে নির্দেশ

রূপগঞ্জে স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সরকারি বই গোপনে বিক্রির অভিযোগ

ছবি

কৃষি বিভাগের উদ্যোগে সেচ মেশিন বিতরণ

ভৈরবে দুই নারী ছিনতাইকারী আটক

ছবি

ঘিওর-জিয়নপুর রাস্তাটি বেহাল

আগুন থেকে গোয়ালে গরু-ছাগল বাঁচাতে গিয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু

ব্রিজের সঙ্গে বাল্কহেডের ধাক্কা শ্রমিকের মাথা বিচ্ছিন্ন

সুন্দরগঞ্জে ১৩৩ বস্তা সার জব্দ

বদলগাছী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের ঝড়

সিলেটে ১৩ দিন ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, চালুর গরজ নেই

চাঞ্চল্যকর মাসুদ হত্যায় জড়িত চাচা রুবেল

সিরাজগঞ্জে খুনের দায়ে ভাইয়ের যাবজ্জীবন

ছবি

লক্ষ্মীপুরে মেঘনার ব্লক বাঁধের ১২ স্থানে ধস, আতঙ্কে বাসিন্দারা

সরকারি খালে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান

রায়পুরা চেয়ারম্যানের অনিয়মের অভিযোগ,তালাবদ্ধ ইউপি ভবন

ছবি

টানা বৃষ্টিতে শিবালয়ের স্কুল মাঠে হাঁটুপানি, পাঠদান ব্যাহত

ছবি

গোবিন্দগঞ্জের করতোয়ার ভাঙন রোধে মানববন্ধন

দুমকিতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ১

ছবি

মোহনগঞ্জে দেশীয় মাছের আকাল, বিপন্ন বহু প্রজাতি

কলমাকান্দায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, বালু জব্দ

শরীয়তপুরে, বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ যুবক গ্রেপ্তার

ছবি

প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনকে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

মাদারীপুরে মাদ্রাসার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

দোহারে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও নগদ অর্থ বিতরণ

ছবি

ডিমলায় পেট্রলপাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বিএনপি-যুবদলের পাঁচ নেতা বহিষ্কার

ঝালকাঠিতে হত্যা মামলায় ১ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

বনমালী নগরে স্কুল, মসজিদ, সবই আছে নেই পাকা রাস্তা

tab

সারাদেশ

রাজশাহীতে শেষ সময়ে আমের দাম বৃদ্ধি

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী : আড়তগুলোতে আমের স্তূপ সাজিয়ে রেখেছেন চাষিরা সংবাদ

বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

রাজশাহী অঞ্চলে কাটিমন এবং গৌড়মতি আম সাধারণত আমের মৌসুমের শেষে পাওয়া যায়। কাটিমন আম সারা বছর পাওয়া গেলেও গৌড়মতি আম সাধারণত ১৫ জুলাই থেকে বাজারে পাওয়া যায়।

রাজশাহীতে আমের বাজার সাধারণত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় এবং জুলাই মাস পর্যন্ত চলে। আমের জাত অনুসারে বাজারজাতকরণের সময়সীমা নির্ধারিত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, গোপালভোগ আম সাধারণত ২০ মে থেকে পাওয়া যায়, ল্যাংড়া ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো ১০ জুন থেকে, এবং ফজলি ও আম্রপালি ১৫ জুন থেকে বাজারে পাওয়া যায়।

গৌড়মতি আম সাধারণত ১৫ জুলাই থেকে পাওয়া যায়, এবং এটি মৌসুমের শেষের দিকে পাওয়া যায়। কাটিমন আম সারা বছর পাওয়া গেলেও, সাধারণত আমের মৌসুমের শেষে এর সরবরাহ বাড়ে। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ম্যাংগো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আম পাড়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়, যাতে অপরিপক্ব আম বাজারজাত করা না হয়।

রাজশাহীতে আমের ভরা মৌসুম শেষ হতেই হু হু করে বেড়েছে দাম। মাসখানেক আগেও যেখানে ভালো মানের আম প্রতি মণ দেড়-দুই হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে এখন দাম উঠেছে সাত থেকে আট হাজার টাকায়। সরবরাহ কমে যাওয়া এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আমের মৌসুম প্রায় শেষ হয়ে আসায় এই দাম বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ী ও চাষিরা। এই বাড়তি দরেও ক্রেতাদের চাহিদা কমেনি, তবে পরিমাণে কম কিনছেন তাঁরা।

মঙ্গলবার রাজশাহী নগরের রেলস্টেশন রোডের পার্শ্ববর্তী আমের আড়তগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা থাকলেও ভরা মৌসুমের সেই ব্যস্ততা নেই। আড়তগুলোতে এখন মূলত আম্রপালি, বারি-৪, ফজলি, গৌরমতি, আশ্বিনা, কাটিমণ ও ব্যানানা ম্যাঙ্গোর মতো নাবি জাতের আমই বেশি। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বাজারে আমের সরবরাহ প্রায় শেষ হওয়ায় এখন রাজশাহীর বাজারই ভরসা। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বাজারেই এখন আম পাওয়া যাচ্ছে।

বাঘা উপজেলার খাবাসপুর এলাকা থেকে আসা সততা ফল ভান্ডারের মালিক সেকেন্দার আলী জানান, নওগাঁর সাপাহার থেকে বাছাই করে আম এনেছেন তিনি। তাঁর আড়তে এখন আম্রপালি, বারি-৪, ফজলি, আশ্বিনা, গৌরমতি, কাটিমণ ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো—এই সাত জাতের আম মিলছে। তিনি বলেন,“মৌসুমের শুরুতে খারাপ আবহাওয়ায় সব আম একসঙ্গে পেকে যাওয়ায় দাম একেবারে কম ছিল। পাইকারিতে ২৫ টাকা কেজিও বিক্রি করেছি। কিন্তু ১৫ দিনের ব্যবধানে সেই দাম এখন দ্বিগুণেরও বেশি।”

তাঁর আড়তে ভালো মানের আম্রপালি, কাটিমণ ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো পাইকারি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর গৌরমতি, বারি-৪ ও ফজলি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২৫ টাকা এবং আশ্বিনা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। আরেক আড়তদার শফিকুল ইসলাম জানান, মাঝারি মানের আম এখন প্রতিমণ সাড়ে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর সবচেয়ে ভালো মানের আমের দাম উঠছে সাত থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত।

চাহিদা থাকায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও চড়া দামে আম বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের আমের বড় একটি অংশ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে। কিছুটা নিম্নমানের আম স্থানীয় ভ্যানচালকেরা কিনে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় ফেরি করে বিক্রি করছেন।

ভ্যানচালক আসলাম সরকার জানান, তিনি লক্ষ্মীপুর মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্যানে করে আম বিক্রি করেন। সোমবার তিনি ৬০ টাকা কেজিতে ফজলি ও বারি-৪ আম কিনেছেন, যা তিনি ৯০ টাকা দরে বিক্রি করবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, আমের মৌসুম প্রায় পাঁচ মাস চলে, যার মধ্যে জুন ও জুলাই মাসে বাজার সবচেয়ে রমরমা থাকে। এ বছর ভালো ফলন হলেও মৌসুমের শুরুতে দাম কম ছিল। কিন্তু এখন মৌসুম প্রায় শেষের দিকে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দাম বেড়েছে। আগামী মাসখানেক বাজারে আশ্বিনা, গৌরমতি, বারি-৪, ও ফজলি জাতের আম পাওয়া যাবে। এরপর এই মৌসুমের মতো আমের বেচাকেনা শেষ হয়ে আসবে।

back to top