কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উপজেলার আল্লাহু চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাজুড়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। ঘটনার সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরে গিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেয়। পরে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
উপজেলা নাগরিক সমাজ ও আসিফ মাহমুদের অনুসারীদের দাবি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে তাঁদের অন্তত ৫০ জনকে আহত করেছে। অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন (অঞ্জন) অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগপন্থী আসিফের অনুসারীরাই বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে বিএনপির কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আল্লাহু চত্বরে আয়োজিত সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। প্রথমে আসিফের অনুসারীরা ধাওয়া দিলে কায়কোবাদের অনুসারীরাও পাল্টা ধাওয়া দেন। দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, আতঙ্কে লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে।
আহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন—স্টার নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মারুফ, খোলা কাগজের প্রতিনিধি শাহ ইমরান, এসএ টিভির ক্যামেরাপারসন এ এস বাপ্পী এবং নয়াদিগন্তের সাংবাদিক ফাহিম মুনতাছিম। সাংবাদিক মারুফ অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তাঁকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছে এবং ভিডিও বন্ধ করতে বলেন।
সমাবেশে আসিফের অনুসারীরা ‘চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘চাঁদাবাজ ধর, জেলে ভর’, ‘মুরাদনগরের মাটি, আসিফের ঘাঁটি’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন। এর আগে গতকাল কায়কোবাদের অনুসারীরা উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছিল।
উপজেলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, কায়কোবাদের অনুসারীরা আসিফ মাহমুদের উন্নয়ন কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত হয়ে একের পর এক অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁদের এক অনুসারী চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। তাঁকে থানায় হামলা করে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে কায়কোবাদের লোকজন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বলেন, এনসিপির ব্যানারে আওয়ামী লীগপন্থী লোকজন তাঁদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। সাংবাদিকদের ওপরও হামলা হয়েছে। তাঁর দাবি, আসিফ মাহমুদের মদদে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
মুরাদনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিন কাদের খান বলেন, এনসিপির লোকজন লিখিতভাবে কর্মসূচির অনুমতি নিয়েছিলেন। বিএনপির পাল্টা কর্মসূচির বিষয়ে পূর্বতথ্য ছিল না। সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উপজেলার আল্লাহু চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাজুড়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। ঘটনার সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরে গিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেয়। পরে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
উপজেলা নাগরিক সমাজ ও আসিফ মাহমুদের অনুসারীদের দাবি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে তাঁদের অন্তত ৫০ জনকে আহত করেছে। অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন (অঞ্জন) অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগপন্থী আসিফের অনুসারীরাই বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে বিএনপির কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আল্লাহু চত্বরে আয়োজিত সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। প্রথমে আসিফের অনুসারীরা ধাওয়া দিলে কায়কোবাদের অনুসারীরাও পাল্টা ধাওয়া দেন। দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, আতঙ্কে লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে।
আহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন—স্টার নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মারুফ, খোলা কাগজের প্রতিনিধি শাহ ইমরান, এসএ টিভির ক্যামেরাপারসন এ এস বাপ্পী এবং নয়াদিগন্তের সাংবাদিক ফাহিম মুনতাছিম। সাংবাদিক মারুফ অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তাঁকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছে এবং ভিডিও বন্ধ করতে বলেন।
সমাবেশে আসিফের অনুসারীরা ‘চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘চাঁদাবাজ ধর, জেলে ভর’, ‘মুরাদনগরের মাটি, আসিফের ঘাঁটি’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন। এর আগে গতকাল কায়কোবাদের অনুসারীরা উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছিল।
উপজেলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, কায়কোবাদের অনুসারীরা আসিফ মাহমুদের উন্নয়ন কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত হয়ে একের পর এক অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁদের এক অনুসারী চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। তাঁকে থানায় হামলা করে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে কায়কোবাদের লোকজন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বলেন, এনসিপির ব্যানারে আওয়ামী লীগপন্থী লোকজন তাঁদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। সাংবাদিকদের ওপরও হামলা হয়েছে। তাঁর দাবি, আসিফ মাহমুদের মদদে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
মুরাদনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিন কাদের খান বলেন, এনসিপির লোকজন লিখিতভাবে কর্মসূচির অনুমতি নিয়েছিলেন। বিএনপির পাল্টা কর্মসূচির বিষয়ে পূর্বতথ্য ছিল না। সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।