গাজার একাংশ দখলের হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের এক মন্ত্রী। বুধবার দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সদস্য জিভ এলকিন বলেন, হামাসকে চাপে ফেলতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে দেশ দুটি চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।একইসঙ্গে সৌদি আরব, মিসর, কাতার ও আরব লিগের সমর্থনে একটি যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের অংশ হিসেবে হামাসকে গাজার শাসন ত্যাগ করতে হবে এবং অস্ত্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে।
তবে ইসরায়েল বরাবরের মতোই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিকে ‘হামাসকে পুরস্কার দেওয়া’ বলেই নিন্দা জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তকে ‘হামাসের পশুতুল্য সন্ত্রাসের স্বীকৃতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান-এ জিভ এলকিন বলেন, হামাস যদি যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে বিলম্বিত করে, তাহলে ইসরায়েল একটি চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়ে তাদের চাপের মুখে ফেলতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের শত্রুর জন্য সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক বিষয় হলো ভূখ- হারানো। হামাসকে যদি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তারা যদি আমাদের সঙ্গে লড়তে থাকে, তাহলে তারা যে ভূমি হারাবে তা আর কখনও ফিরে পাবে না। এটা হবে চাপ প্রয়োগের বিশাল এক হাতিয়ার।
এদিকে, গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপুষ্টি ও অনাহারে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুই বছর বয়সী এক শিশুকন্যাও রয়েছে। শিশুটির বাবা সালাহ আল-ঘারাবলি রয়টার্সকে বলেছেন, আমার ছোট্ট মেয়ে মেক্কা অপুষ্টিতে মারা গেছে। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, বিশেষ এক ধরনের দুধ খাওয়াতে হবে, কিন্তু সেই দুধই ছিল না।
যুদ্ধ শুরুর পর অপুষ্টি ও খাদ্যাভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৪ জনে। এদের মধ্যে ৮৯ জনই শিশু। বেশিরভাগ মৃত্যু গত কয়েক সপ্তাহে হয়েছে। ইসরায়েল সামরিক বাহিনী রবিবার জানায়, তারা গাজায় খাদ্য সরবরাহের পথ কিছুটা উন্মুক্ত করেছে। কিছু এলাকায় প্রতিদিন সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণ পৌঁছাতে করিডর চালুর কথা জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দফতর (ওসিএইচএ) বলছে, এই সাময়িক বিরতির প্রথম দুই দিনে গাজায় কিছুটা ত্রাণ প্রবেশ করেছে। তবে এখনও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। হামাসের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র হস্তান্তরের প্রস্তাব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। অতীতে হামাস এ ধরনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিল। অন্যদিকে ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসনের বিরোধিতা করে আসছে।
নেতানিয়াহু চলতি মাসে বলেছিলেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি চান। তবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভবিষ্যতে ইসরায়েল ধ্বংসের মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে। তাই নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতেই থাকতে হবে। তার মন্ত্রিসভায় কট্টর ডানপন্থি নেতারা ফিলিস্তিনি ভূখ- পুরোপুরি দখলের পক্ষে। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ মঙ্গলবার বলেছেন, গাজায় ইহুদি বসতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা আগের চেয়ে অনেক বেশি সম্ভাবনার কাছাকাছি এবং গাজা হলো ইসরায়েলের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
গাজার একাংশ দখলের হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের এক মন্ত্রী। বুধবার দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সদস্য জিভ এলকিন বলেন, হামাসকে চাপে ফেলতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে দেশ দুটি চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।একইসঙ্গে সৌদি আরব, মিসর, কাতার ও আরব লিগের সমর্থনে একটি যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের অংশ হিসেবে হামাসকে গাজার শাসন ত্যাগ করতে হবে এবং অস্ত্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে।
তবে ইসরায়েল বরাবরের মতোই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিকে ‘হামাসকে পুরস্কার দেওয়া’ বলেই নিন্দা জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তকে ‘হামাসের পশুতুল্য সন্ত্রাসের স্বীকৃতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান-এ জিভ এলকিন বলেন, হামাস যদি যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে বিলম্বিত করে, তাহলে ইসরায়েল একটি চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়ে তাদের চাপের মুখে ফেলতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের শত্রুর জন্য সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক বিষয় হলো ভূখ- হারানো। হামাসকে যদি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তারা যদি আমাদের সঙ্গে লড়তে থাকে, তাহলে তারা যে ভূমি হারাবে তা আর কখনও ফিরে পাবে না। এটা হবে চাপ প্রয়োগের বিশাল এক হাতিয়ার।
এদিকে, গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপুষ্টি ও অনাহারে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুই বছর বয়সী এক শিশুকন্যাও রয়েছে। শিশুটির বাবা সালাহ আল-ঘারাবলি রয়টার্সকে বলেছেন, আমার ছোট্ট মেয়ে মেক্কা অপুষ্টিতে মারা গেছে। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, বিশেষ এক ধরনের দুধ খাওয়াতে হবে, কিন্তু সেই দুধই ছিল না।
যুদ্ধ শুরুর পর অপুষ্টি ও খাদ্যাভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৪ জনে। এদের মধ্যে ৮৯ জনই শিশু। বেশিরভাগ মৃত্যু গত কয়েক সপ্তাহে হয়েছে। ইসরায়েল সামরিক বাহিনী রবিবার জানায়, তারা গাজায় খাদ্য সরবরাহের পথ কিছুটা উন্মুক্ত করেছে। কিছু এলাকায় প্রতিদিন সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণ পৌঁছাতে করিডর চালুর কথা জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দফতর (ওসিএইচএ) বলছে, এই সাময়িক বিরতির প্রথম দুই দিনে গাজায় কিছুটা ত্রাণ প্রবেশ করেছে। তবে এখনও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। হামাসের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র হস্তান্তরের প্রস্তাব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। অতীতে হামাস এ ধরনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিল। অন্যদিকে ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসনের বিরোধিতা করে আসছে।
নেতানিয়াহু চলতি মাসে বলেছিলেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি চান। তবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভবিষ্যতে ইসরায়েল ধ্বংসের মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে। তাই নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতেই থাকতে হবে। তার মন্ত্রিসভায় কট্টর ডানপন্থি নেতারা ফিলিস্তিনি ভূখ- পুরোপুরি দখলের পক্ষে। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ মঙ্গলবার বলেছেন, গাজায় ইহুদি বসতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা আগের চেয়ে অনেক বেশি সম্ভাবনার কাছাকাছি এবং গাজা হলো ইসরায়েলের অবিচ্ছেদ্য অংশ।