দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) : উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের শরীফপুর সাইডিংঘাট এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি সড়ক দখল করে চলছে অবৈধ ও রমরমা বালুর ব্যবসা -সংবাদ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের শরীফপুর সাইডিংঘাট এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি সড়ক দখল করে চলছে অবৈধ ও রমরমা বালুর ব্যবসা। দিনের পর দিন সড়কের পাশে ও ওপর বালু স্তূপ করে রাখা হচ্ছে, আর শত শত ট্রাক রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে নির্বিঘ্নে চলছে লোড-আনলোড কার্যক্রম। এতে তৈরি হয়েছে যানজট, জনদুর্ভোগ ও সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
সড়কের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রাখা বালুর স্তূপ ও ট্রাকগুলোর কারণে স্থানীয়দের ভোগান্তির শেষ নেই। জরুরি প্রয়োজনে রোগী বহনের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছাতে সময়এত অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, শরীফপুর সাইডিংঘাট হয়ে দোয়ারাবাজার টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। সকাল ও বিকেলে বালুবাহী পিকআপ এবং ট্রাকগুলোর আধিক্যে রাস্তায় হাঁটাও দায় হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শরীফপুর সাইডিংঘাট থেকে সুরমা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম পর্যন্ত সড়কে প্রতিনিয়ত চলছে বালু বোঝাই ট্রাক ও পিকআপের চলাচল।
প্রতিদিন শত শত ট্রাক হাজার হাজার টন বালু রাস্তার পাশে ফেলে, সেখানে থেকেই বাল্কহেড ও অন্যান্য নৌযানে লোড করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে। ভারী ট্রাক চলাচলের ফলে পিচঢালা সড়কের ইট-বিটুমিন উঠে গেছে। কোথাও কোথাও রাস্তা দেবে গিয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
বালু জমে থাকার কারণে পাকা রাস্তাগুলো এখন দেখতে অনেকটা কাঁচা রাস্তার মতো। গর্ত, ফাটল আর খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা শরীফপুর সাইডিংঘাট এলাকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন বিভাগ সড়কের পাশে পরিবেশ রক্ষায় যে গাছ লাগিয়েছে, তা বালু ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাওয়া সড়কের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বালু স্তূপ ও ট্রাকের চাপের ফলে বহু চারা গাছ মরে গেছে বা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এতসব সমস্যা সত্ত্বেও উপজেলা প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও এই বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। স্থানীয়রা মনে করেন, প্রভাবশালী একটি মহলের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অবৈধ কার্যক্রম চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চালক জানান, এই রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। আমরা বাধ্য হয়েই চলাচল করছি। কিন্তু ট্রাক দাঁড় করিয়ে লোড-আনলোড করার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকেই যায়।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুপ রতন সিংহ বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। আমি সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) : উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের শরীফপুর সাইডিংঘাট এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি সড়ক দখল করে চলছে অবৈধ ও রমরমা বালুর ব্যবসা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের শরীফপুর সাইডিংঘাট এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি সড়ক দখল করে চলছে অবৈধ ও রমরমা বালুর ব্যবসা। দিনের পর দিন সড়কের পাশে ও ওপর বালু স্তূপ করে রাখা হচ্ছে, আর শত শত ট্রাক রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে নির্বিঘ্নে চলছে লোড-আনলোড কার্যক্রম। এতে তৈরি হয়েছে যানজট, জনদুর্ভোগ ও সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
সড়কের বেশিরভাগ অংশ দখল করে রাখা বালুর স্তূপ ও ট্রাকগুলোর কারণে স্থানীয়দের ভোগান্তির শেষ নেই। জরুরি প্রয়োজনে রোগী বহনের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছাতে সময়এত অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, শরীফপুর সাইডিংঘাট হয়ে দোয়ারাবাজার টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। সকাল ও বিকেলে বালুবাহী পিকআপ এবং ট্রাকগুলোর আধিক্যে রাস্তায় হাঁটাও দায় হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শরীফপুর সাইডিংঘাট থেকে সুরমা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম পর্যন্ত সড়কে প্রতিনিয়ত চলছে বালু বোঝাই ট্রাক ও পিকআপের চলাচল।
প্রতিদিন শত শত ট্রাক হাজার হাজার টন বালু রাস্তার পাশে ফেলে, সেখানে থেকেই বাল্কহেড ও অন্যান্য নৌযানে লোড করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে। ভারী ট্রাক চলাচলের ফলে পিচঢালা সড়কের ইট-বিটুমিন উঠে গেছে। কোথাও কোথাও রাস্তা দেবে গিয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
বালু জমে থাকার কারণে পাকা রাস্তাগুলো এখন দেখতে অনেকটা কাঁচা রাস্তার মতো। গর্ত, ফাটল আর খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা শরীফপুর সাইডিংঘাট এলাকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন বিভাগ সড়কের পাশে পরিবেশ রক্ষায় যে গাছ লাগিয়েছে, তা বালু ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাওয়া সড়কের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বালু স্তূপ ও ট্রাকের চাপের ফলে বহু চারা গাছ মরে গেছে বা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এতসব সমস্যা সত্ত্বেও উপজেলা প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও এই বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। স্থানীয়রা মনে করেন, প্রভাবশালী একটি মহলের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অবৈধ কার্যক্রম চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চালক জানান, এই রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। আমরা বাধ্য হয়েই চলাচল করছি। কিন্তু ট্রাক দাঁড় করিয়ে লোড-আনলোড করার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকেই যায়।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুপ রতন সিংহ বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। আমি সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।