গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে নোয়াখালীর চৌমুহনী শহরসহ বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে আবারও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ সড়ক ও বাড়িঘর ডুবে গেছে। আগের পানি নামতে না নামতেই নতুন বৃষ্টিতে আবারও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত গত ২০ দিন ধরে থেমে থেমে মুশলধারে বৃষ্ট্রিতে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার অধিকাংশ সড়ক ও বাড়িঘর আবারো ডুবে গেছে। এতে করে হাজার হাজার পরিবার পানিবদ্ধি হয়ে বর্তমানে মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে দ্রুত মুক্তি চায় বেগমগঞ্জবাসী। জানা গেছে, চলতি জুলাই মাসে একাধিকবার টানা বৃষ্টির ফলে উপজেলার গ্রামাঞ্চলে ও পৌর এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আগের পানি নামতে না নামতেই নতুন বৃষ্টিতে আবারও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। জলাবদ্ধতার কারণে বিপাকে পড়েন অফিস-আদালতের কর্মজীবী, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব,খাল-জলাশয় এবং পোল কালভার্ডগুলোর মুখভরাট হয়ে দ্রুত পানি সরতে না পারার কারণেই এই দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
বিশেষ করে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর, চৌমুহনী পৌরসভা, হাজীপুর, রসুলপুর, বেগমগঞ্জ, মিরওয়ারিশপুর, জিরতলী, শরীফপুর, কুতুবপুর ও কাদিরপুর এলাকার অনেক গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে ও বসতবাড়িতে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। হাজীপুর এলাকার বাসিন্দা রেজোয়ান বলেন, পানি নামছে ধীরগতিতে। গত ২০ দিন ধরে অনেক মানুষ এখনো পানিবন্দী। সড়ক ডুবে থাকায় চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। চৌমুহনী শহরের অলিগলির রাস্তাঘাট এমনকি অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ধীর গতিতে পানি নামার কারণে সড়কের পাশাপশি রাস্তাঘাট ও কিছু বাসা বাড়ি, শহরের সরকারি, বেসরকারি অফিসসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনায় পানি উঠে গেছে। এতে সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জলাবদ্ধতায় উপজেলার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। স্থানীয়রা জানায়, গত ২০ দিন ধরে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কসহ বাড়ির আঙিনায় পানি জমে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং পানি নিষ্কাশনের ছোট বড় সরকারি খাল, নালা ও জলাশয়গুলো ধাপে ধাপে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বেগমগঞ্জবাসীর এ দুর্ভোগ। রাজনৈতিক প্রভাব এবং জনসচেতনতার অভাবে স্থানীয় ভাবে সকল দলের একশ্রেনির ভুমিদস্যুরা মিলে মিশে চৌমুহনী খালসহ বেগমগঞ্জের অধিকাংশ সরকারি খাল, নালা-নর্দমা বিভিন্ন ভাবে তাদের অবৈধ দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান জানান, এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ কমাতে খাল উদ্ধারে আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তায় কাজ শুরু করেছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবো। সর্বশেষ বাংলাদেশ জরিপ (বিএস) রেকডিয় ও নকশা-খতিয়ান অনুযায়ী সরকারি মালিকিয় জনগুরুত্বপুর্ন পানি প্রবাহের চৌমুহনী খালসহ উপজেলার পানি প্রবাহের খালগুলো উদ্ধার করতে আইন অনুযায়ী সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে । এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে নোয়াখালীর চৌমুহনী শহরসহ বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে আবারও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ সড়ক ও বাড়িঘর ডুবে গেছে। আগের পানি নামতে না নামতেই নতুন বৃষ্টিতে আবারও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত গত ২০ দিন ধরে থেমে থেমে মুশলধারে বৃষ্ট্রিতে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার অধিকাংশ সড়ক ও বাড়িঘর আবারো ডুবে গেছে। এতে করে হাজার হাজার পরিবার পানিবদ্ধি হয়ে বর্তমানে মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে দ্রুত মুক্তি চায় বেগমগঞ্জবাসী। জানা গেছে, চলতি জুলাই মাসে একাধিকবার টানা বৃষ্টির ফলে উপজেলার গ্রামাঞ্চলে ও পৌর এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আগের পানি নামতে না নামতেই নতুন বৃষ্টিতে আবারও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। জলাবদ্ধতার কারণে বিপাকে পড়েন অফিস-আদালতের কর্মজীবী, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব,খাল-জলাশয় এবং পোল কালভার্ডগুলোর মুখভরাট হয়ে দ্রুত পানি সরতে না পারার কারণেই এই দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
বিশেষ করে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর, চৌমুহনী পৌরসভা, হাজীপুর, রসুলপুর, বেগমগঞ্জ, মিরওয়ারিশপুর, জিরতলী, শরীফপুর, কুতুবপুর ও কাদিরপুর এলাকার অনেক গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে ও বসতবাড়িতে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। হাজীপুর এলাকার বাসিন্দা রেজোয়ান বলেন, পানি নামছে ধীরগতিতে। গত ২০ দিন ধরে অনেক মানুষ এখনো পানিবন্দী। সড়ক ডুবে থাকায় চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। চৌমুহনী শহরের অলিগলির রাস্তাঘাট এমনকি অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ধীর গতিতে পানি নামার কারণে সড়কের পাশাপশি রাস্তাঘাট ও কিছু বাসা বাড়ি, শহরের সরকারি, বেসরকারি অফিসসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনায় পানি উঠে গেছে। এতে সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জলাবদ্ধতায় উপজেলার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। স্থানীয়রা জানায়, গত ২০ দিন ধরে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কসহ বাড়ির আঙিনায় পানি জমে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং পানি নিষ্কাশনের ছোট বড় সরকারি খাল, নালা ও জলাশয়গুলো ধাপে ধাপে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বেগমগঞ্জবাসীর এ দুর্ভোগ। রাজনৈতিক প্রভাব এবং জনসচেতনতার অভাবে স্থানীয় ভাবে সকল দলের একশ্রেনির ভুমিদস্যুরা মিলে মিশে চৌমুহনী খালসহ বেগমগঞ্জের অধিকাংশ সরকারি খাল, নালা-নর্দমা বিভিন্ন ভাবে তাদের অবৈধ দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান জানান, এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ কমাতে খাল উদ্ধারে আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তায় কাজ শুরু করেছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবো। সর্বশেষ বাংলাদেশ জরিপ (বিএস) রেকডিয় ও নকশা-খতিয়ান অনুযায়ী সরকারি মালিকিয় জনগুরুত্বপুর্ন পানি প্রবাহের চৌমুহনী খালসহ উপজেলার পানি প্রবাহের খালগুলো উদ্ধার করতে আইন অনুযায়ী সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে । এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।