নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী। কলহের জের ধরে বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে সোনাখালী এলাকায় হত্যার এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সনমান্দি ইউপি’র মশুরাকান্দা গ্রামের উজ্জল মিয়ার ছেলে রায়হান (২৭)’র সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে ৪ বছর আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় একই উপজেলার মোগরাপাড়া ইউপি’র সোনাখালী গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে শোভা আক্তার (১৮)। পরবর্তিতে শোভার বাবা মা লোকলজ্জা ঢাকতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের মতকে প্রাধান্য দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ছেলের সাথেই মেয়েকে বিয়ে দেয়। ছেলে বেকার এবং মেয়ের শ্বশুর বাড়ি হতদরিদ্র বিধায় মেয়ের স্বামী রায়হানকে ঘরজামাই হিসেবে নিয়ে আসে শোভার বাবা মা। কিন্তু শ্বশুর বাড়ি থেকেও শোভার স্বামী তেমন কোনো কাজ করতো না। অপরদিকে শোভার বাবা মা তাদের মেয়ে জামাতাকে বিদেশ পাঠাবে বলে আশ্বাস দিয়ে আসছিল দেড় দুই বছর ধরে। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অধিকাংশ সময় কলহ থাকতো। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত আবারো তাদের দুজনের ঝগড়া হয় এবং শেষে তারা দুজনই ঘুমিয়ে পরে। এদিকে শোভার মা মানছুরা বেগম জানান, শোভার সাথে তার স্বামী প্রায়ই ঝগড়া করতো। বুধবার দুপুরে ঝগড়া শেষে তারা ঘুমিয়ে ছিল বলে জানতাম। বিকেলের দিকে শোভাকে অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তার ঘরে গিয়ে দেখা যায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁসি দিয়ে লটকানো অবস্থায় রয়েছে মেয়ে শোভা। কিন্তু তার স্বামী ঘরে নেই। পরে মেয়েকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, শোভার স্বামী রায়হান তাকে ঘুমের মধ্যে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরের আড়ার সাথে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। তাদের দেড় বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারের ধারণা শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহটি ঝোলানো হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের পর বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী। কলহের জের ধরে বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে সোনাখালী এলাকায় হত্যার এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সনমান্দি ইউপি’র মশুরাকান্দা গ্রামের উজ্জল মিয়ার ছেলে রায়হান (২৭)’র সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে ৪ বছর আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় একই উপজেলার মোগরাপাড়া ইউপি’র সোনাখালী গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে শোভা আক্তার (১৮)। পরবর্তিতে শোভার বাবা মা লোকলজ্জা ঢাকতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের মতকে প্রাধান্য দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ছেলের সাথেই মেয়েকে বিয়ে দেয়। ছেলে বেকার এবং মেয়ের শ্বশুর বাড়ি হতদরিদ্র বিধায় মেয়ের স্বামী রায়হানকে ঘরজামাই হিসেবে নিয়ে আসে শোভার বাবা মা। কিন্তু শ্বশুর বাড়ি থেকেও শোভার স্বামী তেমন কোনো কাজ করতো না। অপরদিকে শোভার বাবা মা তাদের মেয়ে জামাতাকে বিদেশ পাঠাবে বলে আশ্বাস দিয়ে আসছিল দেড় দুই বছর ধরে। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অধিকাংশ সময় কলহ থাকতো। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত আবারো তাদের দুজনের ঝগড়া হয় এবং শেষে তারা দুজনই ঘুমিয়ে পরে। এদিকে শোভার মা মানছুরা বেগম জানান, শোভার সাথে তার স্বামী প্রায়ই ঝগড়া করতো। বুধবার দুপুরে ঝগড়া শেষে তারা ঘুমিয়ে ছিল বলে জানতাম। বিকেলের দিকে শোভাকে অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তার ঘরে গিয়ে দেখা যায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁসি দিয়ে লটকানো অবস্থায় রয়েছে মেয়ে শোভা। কিন্তু তার স্বামী ঘরে নেই। পরে মেয়েকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, শোভার স্বামী রায়হান তাকে ঘুমের মধ্যে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরের আড়ার সাথে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। তাদের দেড় বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারের ধারণা শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহটি ঝোলানো হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের পর বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।