টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর পাইস্কা ইউনিয়নের প্যারিআটা গ্রামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি হত্যা করে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। থানা পুলিশ জানায়, গত বুধবার দুপুরে নিহত গৃহবধূ নিজ বাড়ির থাকার ঘরের বারান্দার আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়।
নিহত গৃহবধূ মুন্নী বেগমের বড় ভাই বাবু মিয়া অভিযোগ করে জানান, গত বুধবার সকালে আমার বোন জামাই মাসুদ রানা আমাকে মোবাইল করে জানিয়েছিল যে, মুন্নী আত্মহত্যা করতে পারে। পরে আবার মাসুদ ফোন কর বলে আপনার বোন মুন্নী গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই মুন্নী গলার উপরিভাগে দাঁতের নিচের পাটির (থোতা) নিচে রশি আটকে আছে, পায়ের নিচে প্লাস্টিকের চেয়ার লেগে আছে! আমাদের সন্দেহ মুন্নীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মাসুদ ও তার পরিবারের লোকজন বাঁচার জন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। মাঝে মধ্যেই মাসুদ মুন্নীর সঙ্গে ঝগড়া করতো। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা চাই মুন্নীর মরদেহ ময়নাতদন্ত করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার সঠিক বিচার দাবি করছি।
নিহত গৃহবধূ মুন্নী বেগমের মেয়ে আয়েশা কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, আমার মা ভালো মানুষ ছিল সে আত্মহত্যা করার মত মানুষ না। এ ঘটনা তদন্তু করে যদি তার মৃত্যুর পিছনো কেউ থাকে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি করছি।
নিহত গৃহবধূর স্বামী মাসুদ রানার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে প্রথমে তিনি অস্বীকৃতি জানালেও ক্যামেরার মুখে পড়ে তিনি জানান, মুন্নী বিগত ৬ বছর আগে বিদুতে শর্ট খাওয়ার পরে মাথায় সমস্যা হয়েছিল। আমি বাড়িতে ছিলাম না খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি ফাঁস দিয়ে মরে গেছে বলে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেনি।
ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এসএম শহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, খবর পাওয়া মাত্রই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো প্রকার দাগের চিহ্ন নেই। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হবে। নিহতের বাবার বাড়ির লোকজন থানায় এসেছে, তারা অভিযোগ দেয়া মাত্রই দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর পাইস্কা ইউনিয়নের প্যারিআটা গ্রামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি হত্যা করে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। থানা পুলিশ জানায়, গত বুধবার দুপুরে নিহত গৃহবধূ নিজ বাড়ির থাকার ঘরের বারান্দার আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়।
নিহত গৃহবধূ মুন্নী বেগমের বড় ভাই বাবু মিয়া অভিযোগ করে জানান, গত বুধবার সকালে আমার বোন জামাই মাসুদ রানা আমাকে মোবাইল করে জানিয়েছিল যে, মুন্নী আত্মহত্যা করতে পারে। পরে আবার মাসুদ ফোন কর বলে আপনার বোন মুন্নী গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই মুন্নী গলার উপরিভাগে দাঁতের নিচের পাটির (থোতা) নিচে রশি আটকে আছে, পায়ের নিচে প্লাস্টিকের চেয়ার লেগে আছে! আমাদের সন্দেহ মুন্নীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মাসুদ ও তার পরিবারের লোকজন বাঁচার জন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। মাঝে মধ্যেই মাসুদ মুন্নীর সঙ্গে ঝগড়া করতো। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা চাই মুন্নীর মরদেহ ময়নাতদন্ত করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার সঠিক বিচার দাবি করছি।
নিহত গৃহবধূ মুন্নী বেগমের মেয়ে আয়েশা কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, আমার মা ভালো মানুষ ছিল সে আত্মহত্যা করার মত মানুষ না। এ ঘটনা তদন্তু করে যদি তার মৃত্যুর পিছনো কেউ থাকে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি করছি।
নিহত গৃহবধূর স্বামী মাসুদ রানার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে প্রথমে তিনি অস্বীকৃতি জানালেও ক্যামেরার মুখে পড়ে তিনি জানান, মুন্নী বিগত ৬ বছর আগে বিদুতে শর্ট খাওয়ার পরে মাথায় সমস্যা হয়েছিল। আমি বাড়িতে ছিলাম না খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি ফাঁস দিয়ে মরে গেছে বলে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেনি।
ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এসএম শহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, খবর পাওয়া মাত্রই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো প্রকার দাগের চিহ্ন নেই। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হবে। নিহতের বাবার বাড়ির লোকজন থানায় এসেছে, তারা অভিযোগ দেয়া মাত্রই দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।