গাজীপুরের টঙ্গীতে তামিশনা গ্রুপের একটি কারখানার ডাইং সেকশনের গরম পানিতে দগ্ধ হয়ে আব্দুল কুদ্দুস (১৯) নামে এক তরুণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত আব্দুল কুদ্দুস কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী থানার রমনা মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আনোয়ারের ছেলে।
এলাকার লোকজন জানায়, আব্দুল কুদ্দুস টঙ্গীর ভাদামে অবস্থিত তামিশনা গ্রুপের ‘ইটালি এক্সসরিজ লিমিটেড’ কারখানায় গত ছয় মাস ধরে ডাইং সহকারী অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। গত মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে ডিউটিরত অবস্থায় তিনি ডাইং ইউনিটের গরম পানিতে পড়ে গুরুতরভাবে দগ্ধ হন। ফ্যাক্টরির সহকর্মীরা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে উত্তরা ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তামিশনা গ্রুপের কারখানায় গত চার মাসে অন্তত তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে এসব মৃত্যুর ঘটনায় কোনো সঠিক তদন্ত না হওয়ায় সংশয় প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
তাদের দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবারই স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও প্রশাসনের একটি অংশের সহায়তায় মৃতের পরিবারকে চাপের মুখে ‘ম্যানেজ’ করা হয়। এমনকি কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়, যা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ আড়াল করতে সাহায্য করে। এই ধরনের ঘটনায় কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা বলছেন, কর্তৃপক্ষের গাফিলতি এবং প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা আজ প্রশ্নের মুখে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
গাজীপুরের টঙ্গীতে তামিশনা গ্রুপের একটি কারখানার ডাইং সেকশনের গরম পানিতে দগ্ধ হয়ে আব্দুল কুদ্দুস (১৯) নামে এক তরুণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত আব্দুল কুদ্দুস কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী থানার রমনা মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আনোয়ারের ছেলে।
এলাকার লোকজন জানায়, আব্দুল কুদ্দুস টঙ্গীর ভাদামে অবস্থিত তামিশনা গ্রুপের ‘ইটালি এক্সসরিজ লিমিটেড’ কারখানায় গত ছয় মাস ধরে ডাইং সহকারী অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। গত মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে ডিউটিরত অবস্থায় তিনি ডাইং ইউনিটের গরম পানিতে পড়ে গুরুতরভাবে দগ্ধ হন। ফ্যাক্টরির সহকর্মীরা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে উত্তরা ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তামিশনা গ্রুপের কারখানায় গত চার মাসে অন্তত তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে এসব মৃত্যুর ঘটনায় কোনো সঠিক তদন্ত না হওয়ায় সংশয় প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
তাদের দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবারই স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও প্রশাসনের একটি অংশের সহায়তায় মৃতের পরিবারকে চাপের মুখে ‘ম্যানেজ’ করা হয়। এমনকি কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়, যা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ আড়াল করতে সাহায্য করে। এই ধরনের ঘটনায় কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা বলছেন, কর্তৃপক্ষের গাফিলতি এবং প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা আজ প্রশ্নের মুখে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।