চাঁপাইনবাবগঞ্জ : ভাঙনকবলিত এলাকা -সংবাদ
পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারাছুপুর ইউনিয়ন ভাঙনের কবলে পড়ে শতাধিক বাড়ি-ঘর, ফসলি জমিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হুমকির মুখে রয়েছে স্থানীয় বাজারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। পদ্মার ভাঙন থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন, আবার অনেকেই অন্যত্র স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। ভাঙনের ফলে ইউনিয়নের মানচিত্র বদলে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে নারায়ণপুর ইউনিয়নের তেররশিয়া থেকে শুরু হয়ে জহুরপুর খলিফার চর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটারজুড়ে। নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা বলেন, পানি বাড়ার পাশাপাশি কমলেও নদীভাঙনে ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। এলাকাবাসী মনে করছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙনকবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ দিলে এ ইউনিয়ন রক্ষা পাবে। নারায়ণপুরের আব্দুল মোমিন সাদ্দাম জানান, যারা স্বচ্ছল ছিল সেই পরিবারগুলো কুল হারা। বাড়িঘর করার মত আর কোনো জায়গায়ও নেই। সর্বনাশা পদ্মা গ্রাস করে নিয়েছে সবকিছু। মাথা গোঁজার ঠাই না থাকায় তারা এখন চলে গেছে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন সুন্দরপুর, আমনুরা, নাচোল ও তানোরের মন্ডুমালায়। ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বাকি এলাকা রোধ করা সম্ভব হবে। নারায়ণপুর ইউপির ১ নং ওয়ার্ড সদস্য বেনজির আহমেদ জানান, বৈদ্যনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণপুর বাতাসমোড় কমিউনিটি ক্লিনিক, বাতাসমোড় হাটবাজারসহ অনেক স্থাপনা ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পদ্মা পাড়ের মানুষ। ভাঙন থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙনের ফলে ইউনিয়নের মানচিত্রও পরিবর্তিত হচ্ছে। নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে রুস্তমমন্ডলের পাড়া, দেবীপুর, বাতাস মোড়, খলিফার চর গ্রাম। এ ছাড়া ভাঙতে ভাঙতে এখন ইউনিয়ন পরিষদটির কাছাকাছি নদী প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবনটি নদীতে যেতে পারে, এর পাশাপাশি বাজারসহ অন্যান্য স্থাপনাও রয়েছে। ভাঙনরোধ করা না গেলে আগামীতে এ ইউনিয়নটি পদ্মার গর্ভে চলে যাবে। এদিকে, আলাতুলি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, এবারের বন্যায় চর আলাতুলি ইউনিয়নের কোদালকাটি ও পোলাডাঙ্গা বিওপি এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে পোল্লাডাঙ্গা বিওপি এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব দিয়ে ভাঙন ঠেকানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব জানান, নারায়ণপুরে স্থায়ী বাঁধের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ডিপিপিতে এ প্রকল্পটি রয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে তা বাস্তবায়ন হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : ভাঙনকবলিত এলাকা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারাছুপুর ইউনিয়ন ভাঙনের কবলে পড়ে শতাধিক বাড়ি-ঘর, ফসলি জমিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হুমকির মুখে রয়েছে স্থানীয় বাজারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। পদ্মার ভাঙন থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন, আবার অনেকেই অন্যত্র স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। ভাঙনের ফলে ইউনিয়নের মানচিত্র বদলে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে নারায়ণপুর ইউনিয়নের তেররশিয়া থেকে শুরু হয়ে জহুরপুর খলিফার চর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটারজুড়ে। নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা বলেন, পানি বাড়ার পাশাপাশি কমলেও নদীভাঙনে ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। এলাকাবাসী মনে করছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙনকবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ দিলে এ ইউনিয়ন রক্ষা পাবে। নারায়ণপুরের আব্দুল মোমিন সাদ্দাম জানান, যারা স্বচ্ছল ছিল সেই পরিবারগুলো কুল হারা। বাড়িঘর করার মত আর কোনো জায়গায়ও নেই। সর্বনাশা পদ্মা গ্রাস করে নিয়েছে সবকিছু। মাথা গোঁজার ঠাই না থাকায় তারা এখন চলে গেছে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন সুন্দরপুর, আমনুরা, নাচোল ও তানোরের মন্ডুমালায়। ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বাকি এলাকা রোধ করা সম্ভব হবে। নারায়ণপুর ইউপির ১ নং ওয়ার্ড সদস্য বেনজির আহমেদ জানান, বৈদ্যনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণপুর বাতাসমোড় কমিউনিটি ক্লিনিক, বাতাসমোড় হাটবাজারসহ অনেক স্থাপনা ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পদ্মা পাড়ের মানুষ। ভাঙন থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙনের ফলে ইউনিয়নের মানচিত্রও পরিবর্তিত হচ্ছে। নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে রুস্তমমন্ডলের পাড়া, দেবীপুর, বাতাস মোড়, খলিফার চর গ্রাম। এ ছাড়া ভাঙতে ভাঙতে এখন ইউনিয়ন পরিষদটির কাছাকাছি নদী প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবনটি নদীতে যেতে পারে, এর পাশাপাশি বাজারসহ অন্যান্য স্থাপনাও রয়েছে। ভাঙনরোধ করা না গেলে আগামীতে এ ইউনিয়নটি পদ্মার গর্ভে চলে যাবে। এদিকে, আলাতুলি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, এবারের বন্যায় চর আলাতুলি ইউনিয়নের কোদালকাটি ও পোলাডাঙ্গা বিওপি এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে পোল্লাডাঙ্গা বিওপি এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব দিয়ে ভাঙন ঠেকানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব জানান, নারায়ণপুরে স্থায়ী বাঁধের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ডিপিপিতে এ প্রকল্পটি রয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে তা বাস্তবায়ন হবে।