alt

সারাদেশ

আমতলীতে কর্মব্যস্ত নৌকার কারিগররা

প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা) : বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

বর্ষার আগমনে আমতলী খাল-বিল, নদী ও যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আর এই মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি চাহিদা বেড়ে যায় ঐতিহ্যবাহী কাঠের নৌকার। এ সুযোগকে কেন্দ্র করে কুকুয়া ইউনিয়নের চুনাখালী নৌকা গ্রাম পুরোদমে চলছে নৌকা তৈরির ব্যস্ততা। এই শিল্প শুধু একটি পণ্য নয়, বরং এটি বহু পরিবারে জীবিকা নির্বাহের প্রধান অবলম্বন। বর্ষা মৌসুমে কাঠের নৌকা বিক্রি করে অনেক কারিগরই বছরের বড় অংশের আয় নিশ্চিত করে থাকেন।

চুনাখালী নৌকা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকায় নৌকা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। ঘরের পাশেই খোলা জায়গায় পলিথিন টানিয়ে, নৌকা তৈরির জন্য অস্থায়ী ঘর বানিয়েছেন। সেখানে কাজ করছেন কয়েকজন নৌকা বানানোর শ্রমিকরা। ছোট থেকে বড় সব বয়সি মানুষকেই নৌকা বানানোর কাজ করতে দেখা গেছে। কারো দম ছাড়ার উপায় নেই। তাদের কেউ কাঠ কাটছেন, কেউ নৌকায় পেরেক মারছেন। নৌকার ডাইসের মাধ্যমেই কাঠ কেটে নৌকার পাটাতন বানাচ্ছেন কেউ। কেউ বা কাঠ কাটার পর তা সমান করছেন ডাইসে বসাতে থাকে। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গ্রামবাসী হয়ে পড়েন কর্মব্যস্ত। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে কাঠের নৌকা তৈরি ও বেচা-কেনার ধুম পড়ে গ্রামটিতে। বংশপরম্পরায় শত বছরের নৌকা তৈরির ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন এই গ্রামের কারিগররা। সযতেœ কাঠ কেটে, রাঙিয়ে ও জোড়া লাগিয়ে একেকটি নৌকা তৈরি করছেন তারা। পাশে সারি সারি নতুন নৌকা সাজানো, যেন এক শিল্পের প্রদর্শনী।

চুনাখালী গ্রামের নৌকা ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম (২৫) বলেন, বর্ষা আসলে আমাদের সময় কাটে নৌকা বানিয়ে। কৃষক, জেলে, এমনকি যাত্রী পরিবহনের জন্য অর্ডার পাই। বছরের এই সময়টা আমাদের জন্য রোজগারের প্রধান সুযোগ।

বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখাতে এই ব্যবসা নিয়েছি। এই গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবার নৌকা তৈরির সঙ্গে জড়িত। ৫ জন কারিগর সপ্তাহে ৪ থেকে ৫টি নৌকা তৈরি করতে পারে। প্রতিটি ১০-১২ হাত নৌকা ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার এত খরচ হয়, বিক্রি করা হয় ৫ হাজার টাকা মতো। প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বাজার হিসেবে কলাপাড়া, মহিপুর, বাজারে এই নৌকা গুলো বিক্রি হয়। বরগুনায় বেতাগী পাথরঘাটা বামনা এদিক থেকে পাইকার এসে আমাদের এখান থেকে নৌকা নিয়ে যায়। প্রতি মাসে খরচ বাদে ৩০-৪০ হাজার টাকা উপার্জন হয়।

নূর জালাল, মবিন, রিয়াজুল, নৌকা কারিগর বলেন, দাম নির্ধারণ করা হয় তার আকার ও কাঠের মান অনুযায়ী। আমরা চুক্তিভিত্তিক কাজ করে থাকি। ৮ থেকে ৯ হাত নৌকা ৯০০ টাকা আর ১০ থেকে ১২ হাত নৌকা ১১০০ টাকা দেয় মহাজন।

কারিগরা বলেন, মহাজন আমাদের যে মজুরি দেন তা দিয়ে পরিবারের ব্যয়ভার বহন করা কষ্টসাধ্য। সরকার থেকে আমরা কোন সাহায্য পাই না।

২ নং কুকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ মাসুম তালুকদার বলেন, নৌকা কারিগড়দের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন বরাদ্দ নেই, যদি কেউ অসুস্থ হয় তাহলে আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

দশমিনায় জলাবদ্ধ জমিতে করলা চাষে কৃষাণীদের সাফল্য

সালথায় অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের বেতন বন্ধ

ছবি

তিন সীমান্ত দিয়ে ফিরলেন ৪২ বাংলাদেশি, অধিকাংশই নারী ও শিশু

বন্যা প্রবণ কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়

ঈশ্বরগঞ্জে বাবার কুড়ালের আঘাতে নিথর শিশুপুত্র

নগরকান্দায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

কক্সবাজারে ছাদ থেকে পড়ে ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

ছবি

সিকৃবি-১ শিম চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করেছেন আহসান হাবিব

ছবি

সিলেট বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় এক শ্রমিক নিহত, আহত ১

শিবালয়ে মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান

ছবি

কাঁঠালের চিপসে সফল যশোর সদরের রুপা খাতুন

রামপালে বিষপানে নারীর আত্মহত্যা

ছবি

পাউবোর উদ্ধার করা জমিতে হবে বনায়ন ও পরিবেশবান্ধব পার্ক

শরীয়তপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

ছবি

সখীপুর-ভালুকা সড়কের কাজ শুরু

কিন্ডারগার্টেন স্কুলকে বৃত্তি পরীক্ষা হতে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সিরাজগঞ্জে বিসিক শিল্পপার্কের প্লট বরাদ্দ উদ্বোধন

আগামী সংসদ নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর ভোটবাক্স হবে একটাই সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম

ছবি

পদ্মার ভাঙনে বাড়ি জমি হারিয়ে দিশেহারা মানুষ

টঙ্গীতে তামিশনার ডাইং সেকশনে শ্রমিকের মৃত্যু

নবাবগঞ্জে শিশু লাবিব হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার ১

ছবি

আতাই নদীর বাঁধ ভেঙে অভয়নগরের দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী

ছবি

ময়না জাতের লাউ চাষ করে লাভবান কৃষক

মহেশপুরে স্কুলে মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে

উৎপাদনে ফিরল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট

দিনাজপুর পৌরসভা ও পেমব্রোক পার্ক টাউনের মধ্যে সিস্টার সিটি চুক্তি স্বাক্ষর

চাটখিলে প্রতিবন্ধী যুবককে পিলারে বেঁধে নির্যাতন

রাজশাহীতে ছিনতাইকারী আটক

ছবি

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত

ধনবাড়ীতে গৃহবূধর মরদেহ উদ্ধার,স্বজনদের দাবি হত্যা!

সোনারগাঁয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী পলাতক

ছবি

বৃষ্টিপাতে আবারও জলাবদ্ধ বেগমগঞ্জ ডুবে গেছে অধিকাংশ সড়ক, বাড়িঘর

নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

সিলেটে স্কুলছাত্র হত্যা ৮ জনের ফাঁসি, ৭ জনের যাবজ্জীবন

রুয়েটে যোগাযোগে দক্ষতা শীর্ষক সেমিনার

tab

সারাদেশ

আমতলীতে কর্মব্যস্ত নৌকার কারিগররা

প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা)

বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

বর্ষার আগমনে আমতলী খাল-বিল, নদী ও যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আর এই মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি চাহিদা বেড়ে যায় ঐতিহ্যবাহী কাঠের নৌকার। এ সুযোগকে কেন্দ্র করে কুকুয়া ইউনিয়নের চুনাখালী নৌকা গ্রাম পুরোদমে চলছে নৌকা তৈরির ব্যস্ততা। এই শিল্প শুধু একটি পণ্য নয়, বরং এটি বহু পরিবারে জীবিকা নির্বাহের প্রধান অবলম্বন। বর্ষা মৌসুমে কাঠের নৌকা বিক্রি করে অনেক কারিগরই বছরের বড় অংশের আয় নিশ্চিত করে থাকেন।

চুনাখালী নৌকা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকায় নৌকা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। ঘরের পাশেই খোলা জায়গায় পলিথিন টানিয়ে, নৌকা তৈরির জন্য অস্থায়ী ঘর বানিয়েছেন। সেখানে কাজ করছেন কয়েকজন নৌকা বানানোর শ্রমিকরা। ছোট থেকে বড় সব বয়সি মানুষকেই নৌকা বানানোর কাজ করতে দেখা গেছে। কারো দম ছাড়ার উপায় নেই। তাদের কেউ কাঠ কাটছেন, কেউ নৌকায় পেরেক মারছেন। নৌকার ডাইসের মাধ্যমেই কাঠ কেটে নৌকার পাটাতন বানাচ্ছেন কেউ। কেউ বা কাঠ কাটার পর তা সমান করছেন ডাইসে বসাতে থাকে। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গ্রামবাসী হয়ে পড়েন কর্মব্যস্ত। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে কাঠের নৌকা তৈরি ও বেচা-কেনার ধুম পড়ে গ্রামটিতে। বংশপরম্পরায় শত বছরের নৌকা তৈরির ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন এই গ্রামের কারিগররা। সযতেœ কাঠ কেটে, রাঙিয়ে ও জোড়া লাগিয়ে একেকটি নৌকা তৈরি করছেন তারা। পাশে সারি সারি নতুন নৌকা সাজানো, যেন এক শিল্পের প্রদর্শনী।

চুনাখালী গ্রামের নৌকা ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম (২৫) বলেন, বর্ষা আসলে আমাদের সময় কাটে নৌকা বানিয়ে। কৃষক, জেলে, এমনকি যাত্রী পরিবহনের জন্য অর্ডার পাই। বছরের এই সময়টা আমাদের জন্য রোজগারের প্রধান সুযোগ।

বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখাতে এই ব্যবসা নিয়েছি। এই গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবার নৌকা তৈরির সঙ্গে জড়িত। ৫ জন কারিগর সপ্তাহে ৪ থেকে ৫টি নৌকা তৈরি করতে পারে। প্রতিটি ১০-১২ হাত নৌকা ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার এত খরচ হয়, বিক্রি করা হয় ৫ হাজার টাকা মতো। প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বাজার হিসেবে কলাপাড়া, মহিপুর, বাজারে এই নৌকা গুলো বিক্রি হয়। বরগুনায় বেতাগী পাথরঘাটা বামনা এদিক থেকে পাইকার এসে আমাদের এখান থেকে নৌকা নিয়ে যায়। প্রতি মাসে খরচ বাদে ৩০-৪০ হাজার টাকা উপার্জন হয়।

নূর জালাল, মবিন, রিয়াজুল, নৌকা কারিগর বলেন, দাম নির্ধারণ করা হয় তার আকার ও কাঠের মান অনুযায়ী। আমরা চুক্তিভিত্তিক কাজ করে থাকি। ৮ থেকে ৯ হাত নৌকা ৯০০ টাকা আর ১০ থেকে ১২ হাত নৌকা ১১০০ টাকা দেয় মহাজন।

কারিগরা বলেন, মহাজন আমাদের যে মজুরি দেন তা দিয়ে পরিবারের ব্যয়ভার বহন করা কষ্টসাধ্য। সরকার থেকে আমরা কোন সাহায্য পাই না।

২ নং কুকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ মাসুম তালুকদার বলেন, নৌকা কারিগড়দের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন বরাদ্দ নেই, যদি কেউ অসুস্থ হয় তাহলে আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

back to top